হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের আরবাইন কমিটির প্রধান জাভেদ কান্বারি বলেছেন যে
২৩ আগস্ট থেকে, ২০,০০০ এরও বেশি পাকিস্তানী জিয়ারতকারী মীর জাওয়াহ এবং রামদান সীমান্ত দিয়ে ইরানে প্রবেশ করেছে এবং কারবালার জন্য ইরাকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
তিনি বলেন, মিরজাওয়াহ ও রমদান সীমান্তে জিয়ারতকারীদের আগমনের পরিপ্রেক্ষিতে জিয়ারতকারীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য কয়েক মাস আগে থেকেই মৌলিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপরদিকে ইরান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রাদেশিক কর্মকর্তা আলী রেজা মীর বাহাউদ্দিন মিরজাওয়া সীমান্তে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
আমাদের পাঁচটি দল দৈনিক ভিত্তিতে রামদান ও মিরজাওয়া সীমান্তে পাকিস্তানি জিয়ারতকারীদের সেবা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রেড ক্রিসেন্টের ৬১টি স্বেচ্ছাসেবক, দুটি অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি, দুটি ডিসপেনসারী, দুটি মোটরসাইকেল সহায়তা কর্মী এবং দুটি উদ্ধার শিবির ইরান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশকারী জিয়ারতকারীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
আলী রেজা বাহাউদ্দীন আরও বলেন, মিরজাওয়াহ ও রামদান সীমান্তে ১০টি তাঁবুসহ দুটি অস্থায়ী ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে যাতে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে জিয়ারতকারীদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা যায়।
এদিকে ইরাকি সূত্র বলছে, আরবাইন হুসাইনিতে অংশ নিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ জিয়ারতকারী কারবালায় পৌঁছেছেন।
এবং তাদের সংখ্যা প্রতি মিনিটে বাড়ছে। করোনা বন্ধের দুই বছর পর এ বছর আরবাইন হুসাইনি পালিত হচ্ছে বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক জিয়ারতকারী কারবালাতে পৌঁছাচ্ছেন।