۲۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۴ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 12, 2024
মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী

হাওজা / ইমাম আলী (আঃ) বলেন, শহীদদের সওয়ারী এই ভূমিতে থামবে এবং এই স্থানে তাঁদের রক্ত ঝরানো হবে। হে ভূখণ্ড! তুই কতই না ভাগ্যবান যে, শহীদদের রক্ত তোর উপর ঝরানো হবে।

হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী

قَالَ الْبَاقِرُ عَلَیْهِ السَّلاٰمُ :مَرَّ عَلِیّ بِکَرْبَلاَ فِیْ اِثْنَیْنِ مِنْ اَصْحَابِهِ قَالَ : فَلَمَّا مَرَّ بِھَا تَرَقْرَقَتْ عَیْنَاہُ لِلْبُکَاءِ ثُمَّ قَالَ : ھَذَا مَنَاخُ رِکَابِھِمْ وَھَذَا مُلْقَی رِحَاِلھِمْ وَھَیْھُنَا تُھْراقُ دِمَاوُھُم ،طُوْبٰی لَكِ مِنْ تُرْبَةٍ عَلَیْكِ تُھْراقُ دِمَاءُ الْاَحِبَّةِ

ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) বলেন : "ইমাম আলী (আঃ) তাঁর দুই সাহাবীর সাথে কারবালা প্রান্ত দিয়ে প্রস্থান করেছিলেন এবং যখন তিনি কারবালার ভূখণ্ডে পৌঁছলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে অঝরে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে। আর তিনি বললেন : শহীদদের সওয়ারী এই ভূমিতে থামবে এবং এই স্থানে তাঁদের রক্ত ঝরানো হবে। হে ভূখণ্ড! তুই কতই না ভাগ্যবান যে, শহীদদের রক্ত তোর উপর ঝরানো হবে।"

কারবালা ভূখণ্ডের ফযিলত।

প্রত্যেক মোমিন-মোমিনার অন্তরে ইচ্ছা থাকে যে, জীবনে একবার অন্তত কারবালা যিয়ারাত করি। তাই জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য সবার আগে এ ভূখণ্ডের কিছু ফজিলত সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন।

ইমাম যয়নুল আবিদীন (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তাআলা মক্কাকে পবিত্র স্থান বানানোর চব্বিশ হাজার বছর আগেই কারবালাকে পবিত্র স্থান বানিয়েছিলেন।

অন্য এক রেওয়ায়েত আলোকে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যে নম্রতা নির্ধারণ করেছেন, যে সর্বপ্রথম নিজে নম্রতা মনোভাব পোষণ করেছিল এবং যার নম্রতা যতদীর্ঘ ছিল, তার অবস্থান সেই সময় থেকে অন্যদের চেয়ে উচ্চতর এবং উত্তম ছিল। তাই পনির মধ্যে সবার আগে ফোরাতের পানি এবং ভূখণ্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম কারবালার ভূখণ্ড নম্রতার সাথে মাথা নত করেছিল, যার ফলস্বরূপ মহান প্রতিপালক সর্বপ্রথম ফোরাতের পানি এবং কারবালার ভূমিকে পবিত্র ও সম্মানিত ঘোষণা করেছিলেন।

চতুর্থ ইমাম হযরত যয়নুল আবেদীন (আঃ) বলেনঃ

একবার মক্কার ভূমি তার গুণাবলী উল্লেখ করে বলল : কে আমার সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে? পবিত্র ক্বাবা শরীফকে আমার পিঠে নির্মাণ করা, প্রতি বছর পৃথিবীর কোণ কোণ থেকে আমার ভক্তরা আমার যিয়ারাত করতে আসে ইত্যাদি ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক মক্কার ভূমিকে ওহী করলেন : নিজের ফযিলত অবশ্যই বর্ণনা কর। কিন্তু তোর অবগত হওয়া উচিত যে, তোকে যে সমস্ত ফযিলত দেওয়া হয়েছে, তুই যদি সেগুলিকে কারবালার জমিনের সাথে তুলনা করিস তবে তুই জানতে পারবি যে, তোর সমস্ত ফযিলত কারবালার ভূমির ফযিলতের সাথে ওই তুলনা, যেমন এক ফোঁটা পানির সমুদ্রের সাথে তুলনা করা হয়।

স্মরণ রাখ! যদি কারবালার ভূমিকে সৃষ্টি না করতাম, তাহলে তোকে এসব ফযিলত দেওয়া হতো না। যদি কারবালার ভূমি দাফন স্থান না হতো, তাহলে তোকে সৃষ্টি করতামই না। যদি কারবালার ভূমি দাফন স্থান না হতো, তাহলে আল্লাহর ঘর, যার জন্য তুই গর্বিত, তোর পিঠে নির্মাণ করা হতো না।

তিনি (আঃ) আরও বর্ণনা করেন যে, "যখন কিয়ামতের দিন পৃথিবীতে ভূমিকম্প আসবে, তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিখুঁত ক্ষমতা দিয়ে কারবালার ভূমিকে তুলে নেবেন এবং কারবালার ভূমি হবে জান্নাতের সর্বোচ্চ অঞ্চলের একটি অংশ। তা হবে সর্বোত্তম অঞ্চল যেখানে নবী-রাসূলগণ বসবাস করবেন। কারবালার জমিন জান্নাতে এমন ভাবে রশ্মিচ্ছটায় ঝলমল করবে যেমনভাবে একটি উজ্জ্বল গ্রহ অন্যান্য নক্ষত্রের মাঝে ঝলমল করে। তেমনভাবে কারবালার ভূমি তার নূর দিয়ে জান্নাতবাসীদের চোখ'কে হকচকিয়ে দেবে। সেই সাথে কারবালার ভূমি সশব্দে বলবে : "আমি আল্লাহর ওই পবিত্র, বরকতময় এবং মহিমান্বিত ভূমি, যাকে আল্লাহ শহীদদের দেহের আমানতদার এবং বেহেশতের প্রধান বানিয়েছেন।"

تبصرہ ارسال

You are replying to: .