হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, (NPT) মানে পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি। NPT চুক্তিটি ১ জুলাই ১৯৬৮ তারিখে বিশ্বের দেশগুলির স্বাক্ষর করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এবং সেই তারিখে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং বিশ্বের ৫৯টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল।
মার্কিন পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর চুক্তিটি ৫ মার্চ ১৯৭০ তারিখে কার্যকর হয়।বর্তমানে ১৮৬টি দেশ এই চুক্তির সদস্য। শুধুমাত্র কিউবা, ইহুদিবাদী শাসক, ভারত ও পাকিস্তান এই চুক্তির সদস্য নয়।এ ছাড়া উত্তর কোরিয়াও কয়েক বছর আগে এই চুক্তি থেকে সরে আসে।পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে চুক্তিটি অনুমোদিত এবং বাস্তবায়িত হয়েছিল।
ইহুদিবাদী শাসকের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এবং তাদের কাছে ২০০ থেকে ৪০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে বলে জানা গেছে, কিন্তু সরকার পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তিতে (এনপিটি) যোগ দিতে অস্বীকার করেছে।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ তেল আবিবকে এনপিটি-তে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেও এই সরকার ইরানের মতো দেশগুলোর বিরোধিতা করছে এবং এসব পদক্ষেপ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ পর্যন্ত ইরান, কুয়েত ও কাতারসহ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ তেল আবিবকে এনপিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে।কিন্তু পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, এনপিটিতে যোগ দিতে সরকারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি থেকে ইসরাইলের পারমাণবিক কর্মসূচি গোপন করাকে সমর্থন করে। প্রকৃতপক্ষে, এই সমর্থনকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী এনপিটিতে যোগ না দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
কুয়েত সরকার পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের সরকারগুলির মধ্যে একটি যারা বারবার এনপিটিতে যোগদান না করার জন্য ইহুদিবাদী সরকারের সমালোচনা করেছে।
কুয়েতের দৃষ্টিতে, এনপিটি চুক্তিতে ইসরাইলের অ-অংশগ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানের বাইরে তার পারমাণবিক কার্যকলাপ কেবল নিরাপত্তা হুমকি নয়, পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি বলে বিবেচিত হয়।
শুধু তাই নয়, ইসরাইলের পারমাণবিক তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্য কৌশলগত হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এখন আবারও কুয়েত সরকার ও ভিয়েনায় জাতিসংঘে কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি তালাল আল ফাসাম দাবি জানিয়েছেন যে ইহুদিবাদী সরকারের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।