হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহানবী (সা.) ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এর জন্ম উপলক্ষে এক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন।
ভাষণের শুরুতে লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব মহানবী (সা.) ও ইমাম জাফর সাদিক (সা.)-এর জন্ম ও ইসলামী ঐক্য সপ্তাহের শুভেচ্ছা জানান।
ইয়েমেনের বিশ্বস্ত জনগণের প্রশংসা করে, সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, অবরোধের মধ্যে থাকা লোকেরা যারা অনেক জীবিকা, প্রতিদিন, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সংকটে ভুগছে, কিন্তু তারা এই উপলক্ষে অভূতপূর্ব সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল। মুসলিম বিশ্ব, আরব ও মুসলমানদের উচিত তাদের নবীর জন্ম উদযাপন করা।
হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) মহানবী (সা.)-এর জন্ম নিয়ে মতবিরোধের বিন্দুকে অভিন্নতার বিন্দুতে পরিণত করেছিলেন এবং ১২ এবং ১৭ রবি আল-আউয়ালের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করেছিলেন, যাকে বলা হয় ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ। এই উপলক্ষ্যে আমাদের বোঝাপড়া এবং সমঝোতার পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করা উচিত। সকল কল্যাণ, রহমত ও বরকতের সূচনা হল নবী (সা.)-এর জন্ম।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এমন একজন মানুষের জন্ম, যিনি তাঁর বরকতময় অস্তিত্ব সত্ত্বেও কল্যাণ, আশীর্বাদ ও করুণার কারণ ছিলেন।
মহানবী (সা.)-এর স্মরণ তাঁর মৃত্যুর পরেও রয়ে গেছে এবং তাঁর মহান কৃতিত্বের কারণে কিয়ামত পর্যন্ত স্মরণ করা হবে।
সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহ আরো বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) যখন মানুষকে মূর্তি পূজা থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইবাদত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তখন তা তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রহমত ছিল।
আল্লাহর রসূল (সা.) এসে রক্তপাতের পবিত্রতা এবং মানুষের ইজ্জত ও সম্পদের পবিত্রতার বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেন।
ইসলামের আইনগুলো বাইরের দিক থেকে কঠোর মনে হলেও তার ভিতরে করুণাময় কারণ ইসলাম মানুষের মর্যাদা লঙ্ঘন করতে বাধা দেয়।
মুসলমান হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব এবং বিশেষ করে আলেম, বুদ্ধিজীবী ও অভিজাতদের দায়িত্ব হলো নবী (সা.) কে রক্ষা করা।