হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা তাকী আব্বাস রিজভী
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ইরানে হিজাব বিতর্ক এবং ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে যা ঘটেছে বা ঘটছে তা পুরো বিশ্বের সামনে!
শুধু ইরানের ৮০টিরও বেশি শহরেই নয়, বর্তমানে গোটা বিশ্বে ইসলাম বিরোধীরা ‘হিজাব’ নিয়ে হৈচৈ করছে। এবং তারা হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছে এবং এটা নতুন কিছু নয়, স্বাধীনতার নামে নারীদের হিজাব খুলে ফেলা অপশক্তির কৌশল।
স্বাধীনতা ও আধুনিক সভ্যতার নামে নতুন প্রজন্মের শিরায় অশ্লীলতা ও অনৈতিকতার বিষ প্রবেশ করানো তাদের পথ।
আমি আশা করি মুসলিম নারীরা বুঝবে যে নারীর স্বাধীনতা হলো উলঙ্গ ও হিজাব ছাড়া নয়, মর্যাদা ও মর্যাদার উচ্চতা থেকে লাঞ্ছনা ও অপমানের অতল গহ্বরে পতিত হওয়া।
নারীদের বে-হিজাব সমাজে অশ্লীলতা ও যৌন নৈরাজ্য প্রচারের একটি শক্তিশালী অস্ত্র, যা শত্রুরা তার স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করছে।
১৬ জানুয়ারী, ১৯৭৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আমরা ইরানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং অস্থিরতার যে ঢেউ দেখেছি তা ছিল ইসলাম বিরোধী উপাদানগুলির ষড়যন্ত্রের সূচক।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হওয়া পশ্চিমা শক্তি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী মার্কিন ও ইসরাইল ইরানের সমাজের উদ্দেশ্যমূলক সৃষ্টি, ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সামাজিক মূল্যবোধকে বিকৃত করেছে এবং ইরানীদের বঞ্চিত করেছে। ইসলামী বিপ্লব ও ঐতিহ্যের পথপ্রদর্শক ও পথপ্রদর্শক জনগণকে শোষণ করতে চায় আর মানবাধিকার ও হিজাবের নামে ইসলামী ব্যবস্থা পরিবর্তনের ঘৃণ্য অভিপ্রায় চরিতার্থ করতে তারা তার বিপুল শক্তি ব্যয় করছেন।আর এর কারণ শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান সামরিক, রাজনৈতিক ও ভৌগলিক শক্তি, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
তাই ইসলামি বিপ্লবের সূচনা থেকেই পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে এবং ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে এবং তার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত স্বার্থ রক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সাথে প্রতি বছর বিভিন্ন অজুহাতে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু সেখানকার উদ্যমী বিপ্লবী জনগণ এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
এই শোরগোল, এই বিক্ষোভ এবং এই আগ্রাসী দাঙ্গা সাময়িক এবং ফেনার মত স্থির হবে, তবে ইরানের শাসকের উচিত জনগণের কল্যাণের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া এবং দেশের অর্থনীতির সাম্প্রতিক অবনতি সম্পর্কে চিন্তা করা।
(শত্রুদের ছোরায় রক্তের দাগ দৃশ্যমান)