۲۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۰ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 18, 2024
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল , বিবিসি সহ সকল পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (২৯-১০-২০২২)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল , বিবিসি সহ সকল পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম। শীরাযে শাহচেরাগ মাযারে টেরোরিস্ট হামলা বলে ইরান সরকারের কাজ যাতে ইরানে চলমান বিক্ষোভ ও আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ফেরানো যায় !!!! কিন্তু যখন আইসিস এ হামলার দায়িত্ব নেয় তখন থেকে এ সব মিডিয়া সুর পাল্টাতে বাধ্য হয় । এ সব পশ্চিমা ও ইরান বিরোধী মিডিয়া গত বুধবার ( ২৬-১০-২০২২) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় শীরাযের শাহচেরাগের মাযারে টেরোরিস্ট হামলার খবর বেশ কয়েক ঘন্টা প্রচার না করে ইরানের ভিতরে মাহসা আমীনীর চল্লিশা উদযাপন উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ভুয়া খবর প্রচারে ব্যস্ত ছিল । শীরাযের এত বড় ঘটনা এদের কাছে কোনো গুরুত্বই পায় নি । তারপর যখন এ বর্বর সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রচার শুরু করে এ সব মিডিয়া তখন সংবাদ টা বিকৃত করে প্রচার করতে থাকে যে ইরান সরকার নাকি এ জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে ইরানে চলমান অসন্তোষ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য অর্থাৎ ইরান সরকার জঘন্য লাশ ফেলার রাজনীতি করছে !!! কিন্তু যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট কুখ্যাত আইসিস ( ইসলামিক স্টেট বা দায়েশ ) যা হচ্ছে ভয়ঙ্কর চরমপন্থী জঙ্গী সন্ত্রাসী তাকফীরী সংগঠন তা এ হামলা চালানোর দায়িত্ব স্বীকার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে তখন এ সব মিডিয়া সুর ও ভোল পাল্টাতে বাধ্য হয় ।https://www.reuters.com/world/middle-east/islamic-state-claims-responsibility-shrine-attack-iran-2022-10-26/ ।দেখুন হারামজাদা পশ্চিমা পাশ্চাত্যের জঘন্য মিথ্যাচার ও ডাহা মিথ্যা প্রোপ্যাগ্যান্ডা ইরানের বিরুদ্ধে ।

স্মর্তব্য যে , এই অতি জঘন্য ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন আইসিসের ( দায়েশ ) প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটন যা ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে তার নির্বাচনী ভাষণে উল্লেখ করে ছিল। অতএব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থন , সর্বাত্মক মদদ , পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই কুখ্যাত আইসিস ( দায়েশ ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ফ্রান্সের বিশ্ববিখ্যাত সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লা ফার্জ্ ( La Farge ) সিরিয়ায় নিজ শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা , উৎপাদন ও বিপণন হেফাজত ও সংরক্ষণ এবং নিজ কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার ( ইউরো ) এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী সংগঠন আইসিস ( ইসলামিক স্টেট )কে দিয়েছে!! ব্যস তাহলে বোঝা যায় যে পাশ্চাত্য ( পশ্চিমা দেশগুলো) তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই আইসিসের (দায়েশ) মতো রক্তপিপাসু জঘন্য মানবতা বিরোধী অপরাধী উগ্রবাদী তাকফীরী জঙ্গী সংগঠন সমূহ সৃষ্টি করেছে বা করে। তাই এ সব পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স জার্মানি ইত্যাদি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের হোতা ও গড ফাদার এবং এ কারণে এ সব পশ্চিমা দেশ ই আসলে সবচেয়ে বড় উগ্রবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং এ সব দেশের সরকার ও রাজনীতিকদের হাত বিশ্ব ব্যাপী অসংখ্য অগণিত বেগুনাহ নিরীহ মানব সন্তানের রক্তে রঞ্জিত। আর ইরানের শীরায নগরীর শাহচেরাগ মাযারে গত বুধবার ( ২৬-১০-২০২২) মাগরিবের ওয়াক্তে আইসিস ( দায়েশ ) কর্তৃক পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ ও আহতদের রক্তে এ সব অপরাধী পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের হাতও রক্ত রঞ্জিত হয়েছে। আর আইসিস বা এ ধরণের জঙ্গি উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও সংগঠন সমূহ যে সব অপরাধ করেছে ও করছে সেগুলোয় পাশ্চাত্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমান ভাগীদার ও অপরাধী । কারণ এ সব জঙ্গি উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলো পশ্চিমা দেশগুলো , তাদের মিত্র আরব প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র সমূহ এবং ইসরাইলের সৃষ্টি ও তাদেরই পোষ্য পা চাটা কুত্তা।

আজ শুক্রবার ( ২৯-১০-২০২২) ইরানের ১০০০এর অধিক শহরে জুমার নামাজের পর মিলিয়ন মিলিয়ন ( কোটি কোটি) জনতা শীরাযের শাহ চেরাগ মাযারে টেরোরিস্ট হামলার প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় ১৫ জন শহীদ ও ১৯ জন আহতের স্মরণে শোক মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ইরানী জনগণের আজকের সমাবেশের এ খবর কি বিবি ছি ( বিবিসি ) ছিছি এন ( সিএন এন ) সহ পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করবে ?!! কখনোই করবে না বরং এ সব চরম মিথ্যুক , মিথ্যাচারী ও মিথ্যা খবর ও গুজব রটনা কারী পশ্চিমা মিডিয়া সারা ইরান জুড়ে ইরান সরকার ও বিপ্লব বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ভুয়া , কাল্পনিক বানোয়াট খবর গত ৪০ দিনের অধিক কাল ধরে প্রচার করেই যাচ্ছে এবং এ ভাবে পশ্চিমারা ইরানের বিরুদ্ধে যে সর্বাত্মক জটিল যৌগিক হাইব্রিড বহুমুখী প্রচার যুদ্ধ শুরু করেছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল বরং অতুলনীয় সর্ব বৃহৎ প্রচার যুদ্ধ ( propaganda war ) । " একটি মিথ্যা যদি শতবার বলা হয় তা সবার কাছে সত্য বলে পরিগণিত হবে । " - হিটলারের প্রচার মন্ত্রী গুয়েবলসের এ তত্ত্ব কাজে লাগাচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়া ইরানের বিরুদ্ধে এবং তারা সমগ্র ইরান জুড়ে ব্যাপক বিশাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মিথ্যা খবর গত ৪০ দিনের অধিক কাল ধরে শতবার কেন হাজার হাজার বার প্রচার করছে যাতে বিশ্ব বাসী বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় যে ইরানী জনগণ আর এখন ইসলামী বিপ্লব ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও সরকারি ব্যবস্থা চাচ্ছে না। তারা ইরানের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন চাচ্ছে। একারণেই পাশ্চাত্য ও তার বশংবদ তল্পীবাহক মিডিয়া ও প্রচার যন্ত্র সমূহ ইরান সংক্রান্ত প্রকৃত সত্য খবর প্রচার করছে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না ।

ইরানে অতীতের মতো আজও যে বিশাল সমাবেশে ও মিছিল হয়েছে তা ইরানের বাইরে যারা আছেন তারা বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পারবে না । একটা কথা : যদি বিপ্লব বিরোধীরা ইরানে এ ধরণের মিলিয়ন মিলিয়ন জনতার অংশগ্রহণে বিশাল বিশাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করতে পারত তাহলে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সরকার কেন যে কোনো দেশের সরকারের পতন হয়ে যেত । আসলে এ সব বিপ্লব ও ইসলামী সরকার বিরোধীদের গণ ভিত্তি ও মিলিয়ন মিলিয়ন জনতার সমর্থন নেই। তাই তারা এ ধরণের মিলিয়ন মিলিয়ন জনতার অংশগ্রহণে বিশাল বিশাল মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করতে পারে না। তারা যা পারে সেটা হলো কয়েক জন বা কয়েক ডজন দুষ্কৃতকারী বিপথগামী অর্বাচীন উঠতি বয়সের উদ্ভ্রান্ত উচ্ছৃঙ্খল অবুঝ বিপথগামী তরুন তরুণীদের দিয়ে কোলাহল , হট্টগোল, হৈচৈ ও ভাঙচুর করানো । আর এটাকে পশ্চিমা মিডিয়া দেখায় যে গোটা ইরান জুড়ে জনগণ আর ইসলামী বিপ্লব ও প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাচ্ছে না । আবার তাদের দাবির সমর্থনে এ সব মিডিয়া ফটোশপ করা অলীক বানোয়াট ছবি ও ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে প্রচার করে , কখনো কখনো তারা অন্য দেশের যেমন ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের বিক্ষোভের চিত্র এমনকি কিছু কিছু সিনেমার দৃশ্য এনে তা ইরানের বিক্ষোভ মিছিলের চিত্র বলে প্রচার করে। আবার ইরানের ইসলামী বিপ্লব , ইসলামী তন্ত্র ও ব্যবস্থার পক্ষে ইরানের মিলিয়ন মিলিয়ন জনতার অংশগ্রহণের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ইরান সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বলে চালিয়ে দেয় । কয়েক বছর আগে ইরানে দাঙ্গার ছবির সাথে সেই দাঙ্গা বিরোধী এবং ইসলামী বিপ্লব ও সরকারের সমর্থনে বিশাল গণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের চিত্র জুড়ে দিয়ে ইরানে দাঙ্গা ও রায়টের খবর বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদ পত্রে ছাপা হয়েছিল যা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম । যারা ফার্সী ভাষা বোঝেন এবং পড়তে পারেন তাঁরা মিছিল ও সমাবেশের শ্লোগান শুনে এবং শ্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি পড়ে বুঝতে পারবেন যে আসলে এটা ইসলামী বিপ্লব ও প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থার সমর্থনে ইরানী জনতার বিশাল মিছিলের চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ। অথচ ছবি ও ফুটেজের নীচে পত্রিকাটি লিখেছিল : ইরান সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের ছবি !!! আর এ ধরণের বহু জালিয়াতি, ডাহা মিথ্যা ও ভুল সংবাদ ও তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে যাচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়া সবসময় ইরানের বিরুদ্ধে । তাই সবার উচিত মিথ্যাবাদী , সাম্রাজ্যবাদী , প্রভুত্বকামী এবং মানবতা ও ধর্মের দুশমন স্বার্থপর যালেম ফাসেক ( দুর্নীতি পরায়ণ পাপাচারী লম্পট ) পাশ্চাত্য এবং তাদের সেবাদাস সংবাদ মাধ্যম সমূহের পরিবেশিত ও প্রচারিত তথ্য ও খবর সঠিক ভাবে পরীক্ষা , অনুসন্ধান , যাচাই বাছাই অর্থাৎ এগুলোর সত্যতা নিরূপণ করা । পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে: হে বিশ্বাসীগণ ! যদি কোনো ফাসেক ( অবাধ্য পাপাচারী লম্পট দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি ) তোমাদের কাছে কোনো (গুরুত্বপূর্ণ) খবর আনয়ন করে তবে তোমরা তা (উত্তমরূপে ) অনুসন্ধান , পরীক্ষা ও যাচাই বাছাই ( ঐ খবরের সত্যতা নিরূপণ ) করবে যাতে অজ্ঞতা বশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি না কর ; অতঃপর নিজেদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদের অনুশোচনা করতে না হয় ( সূরা -ই হুজুরাত ৪৯ : ৬ ) ।

یَا أَیُّهَا الَّذِیْنَ آمَنُوْا إِنْ جَاءَکُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَیَّنُوْا أَنْ تُصِیْبُوْا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوْا عَلَیٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِیْنَ .

শুক্রবার ( ২৮-১০-২০২২ ) ইরানের ১০০০ এর অধিক শহরে শীরাযের শাহ চেরাগের মাযারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট চরম সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী কুখ্যাত আইসিসের (দায়েশ) সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ ও আহতদের স্মরণে জুমার নামাজের পর মিলিয়ন মিলিয়ন ইরানী নারী ও পুরুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য বিরোধী যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে তা কি পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম গুলো প্রচার করেছে ? এখন শনিবার (২৯-১০-২০২২ ) ভোররাত ১টা: ২০

পর্যন্ত কোনো পশ্চিমা ও আঞ্চলিক বার্তা সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম ইরান সংক্রান্ত এত বড় গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ না করে মাহসা আমীনীর চল্লিশা উপলক্ষে সমগ্র ইরান জুড়ে কল্পিত ও কাল্পনিক বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করতেই ব্যস্ত আছে । এ সব মিথ্যাবাদী সংবাদ মাধ্যম ও সংস্থার চোখে শুক্রবারে ( ২৮-১০-২০২২ ) জুমার নামাজের পর ইরানের ১০০০ এর অধিক শহরে মিলিয়ন মিলিয়ন ইরানী জনতার মিছিলের খবর ধরা পড়ে নি ! বরং এ সব সংবাদ মাধ্যম গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিরোধী শুক্রবারের মিলিয়ন মিলিয়ন জনতার মিছিল ও সমাবেশকে ইরান সরকার বিরোধী মিছিল বলে চালিয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস করছে না তো ?!!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .