۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
ইউরোপের তাপমাত্রা লাফিয়ে বাড়ছে
ইউরোপের তাপমাত্রা লাফিয়ে বাড়ছে

হাওজা / সম্প্রতি জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গোটা বিশ্বেই তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে ইউরোপের গড় তাপমাত্রা বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দুই দশকে গোটা বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ হারে তাপমাত্রা বেড়েছে ইউরোপের। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গোটা বিশ্বেই তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে ইউরোপের গড় তাপমাত্রা বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে।

শিল্পোন্নত ইউরোপ ( পশ্চিমা দেশ সমূহ ) তথাকথিত শিল্প ও প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটিয়ে পরিবেশ ও প্রকৃতির যে অবর্ণনীয় অপূরণীয় ক্ষতি ও দূষণ করেছে তার পুরষ্কার এ সব প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংসকারী বস্তুবাদী জড়বাদী মুস্তাকবির ( উদ্ধত দাম্ভিক ) পাশ্চাত্য কড়ায় গন্ডায় পাবে ।

বিশ্ব উষ্ণায়ন হচ্ছে এই অবাঞ্ছিত অনাকাঙ্ক্ষিত অমানবিক শিল্পবিপ্লব এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির তথাকথিত উন্নয়নের অনিবার্য পরিণতি ও ফল । আর শীতল শীতপ্রধান মহাদেশ ইউরোপেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পৃথিবীর অন্য যে কোন স্থানের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি এবং তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে !!! আর এ বছরের গ্রীষ্মে ইউরোপের তাপমাত্রা উত্তর আফ্রিকা ও সাহারা মরুভূমির মতো হয়েছিল !! কেন এমন হল ?

ইউরোপের সবচেয়ে বড় গর্ব তথাকথিত শিল্পবিপ্লব ও লাগামহীন শিল্পায়ন এই লাগামহীন উষ্ণায়নের কারণ । এ ধরণের শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বিশ্বকে অবশ্যই নরকের অগ্নিকুণ্ডে পরিণত করছে । দাম্ভিক বস্তুবাদী অসভ্য জানোয়ার প্রকৃতির পাশ্চাত্য নিজেদের কৃতকর্মের উপযুক্ত শাস্তি বা পুরষ্কার পাচ্ছে । এ ধরণের লাগামহীন প্রকৃতি বৈরী শিল্পায়ন ও প্রযুক্তির গতি প্রকৃতি ও স্বরূপ সংশোধন করা না হলে সমগ্র বিশ্ব আরো ভয়াবহ ও ভয়ংকর পরিণতি বরণের দিকে ধাবিত হবে ।

তাই বিশ্ববাসীকে সঠিক শিল্পায়ন ও প্রকৃতি বান্ধব প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকতে হবে । বিংশ শতাব্দীতে তথাকথিত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পের বিকাশ হওয়ায় বহু বিজ্ঞানীর মনে করতেন ও বলতেন যে মানুষ আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে প্রকৃতির ওপর প্রভুত্ব স্থাপন করেছে ! আরে নাদান তোরা কিছু বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক উন্নতির বদৌলতে প্রকৃতি ও পরিবেশ নষ্ট করে বলছিস যে আমরা প্রকৃতির ওপর কর্তৃত্ব, আধিপত্য ও প্রভুত্ব স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করেছি । গর্বে যেন তোরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছিস ! প্রকৃতি ও পরিবেশ তোদের মতো কতকগুলো বস্তুবাদী নাস্তিক জাহেল গণ্ড মূর্খ লম্পটের চেয়ে অনেক অনেক বড় ও শক্তিশালী ;

তোরা প্রকৃতিকে কাবু , জয় ও পদানত করতে পারিস নি বরং প্রকৃতি তোদেরকে কাবু ও বেচারা করে দিচ্ছে। প্রকৃতির প্রতিশোধ এই বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিশ্বে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও উষ্ণায়ন হয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ উষ্ণায়ন হয়েছে ও তাপমাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গর্বে অন্ধ বস্তুবাদী দাম্ভিক জাহেল ইউরোপে ।

এ সব তথাকথিত বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ এখনকার চেয়ে লক্ষ্য লক্ষ গুণ উন্নতি কেন অসীম পর্যন্ত উন্নতি করলেও প্রকৃতির ওপর কর্তৃত্ব করা তো দূরের কথা প্রকৃতির নাগাল পাবে না । অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী ।

আসলে এ সব তথাকথিত বস্তুবাদী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ অল্প কিছু বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক পরিভাষা ও কিছু সূত্র আয়ত্ত করে এবং কিছু যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করে যে গর্ব ও দম্ভ দেখাচ্ছে তাতে আবারও প্রমাণিত হল যে অল্প বিদ্যা সত্যিই ভয়ংকরী। প্রকৃতি বিধ্বংসী ও বৈরী শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে নৌচা ( আনাড়ি অপরিপক্ক ভৃত্য তুল্য ) গোছের ইউরোপ মনে করেছে যে তারা প্রকৃতি জয় করে ফেলেছে ! ভালো কথা তোরা প্রকৃতি জয় করে ফেললে প্রকৃতির ঠেলায় এবার গ্রীষ্মে কেন ইউরোপের করুণ দশা হয়েছিল ?!!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .