হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ফারাহজাদ তার ভাষণে হযরত জাহরা (রা.)-এর জিয়ারত নামার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বলেন: মহানবী (সা.) বলেছেন: «أَوْلَی اَلنَّاسِ بِی یَوْمَ اَلْقِیَامَةِ أَکْثَرُهُمْ عَلَیَّ صَلاَةً فِی دَارِ اَلدُّنْیَا»
"কিয়ামতের দিন সর্বোত্তম মানুষ তারাই হবে যারা পৃথিবীতে আমার উপর সবচেয়ে বেশি দরূদ পাঠ করবে।"
তিনি আরো বলেন: দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোত্তম নিয়তি খোঁজা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হযরত ফাতেমা জাহরা বলেন: «مَنْ أصْعَدَ إلی اللّهِ خالِصَ عِبادَتِهِ…»
অর্থাৎ, "যে ব্যক্তি সর্বোত্তম ইবাদতের দায়িত্ব আল্লাহর উপর অর্পণ করে, আল্লাহতায়ালাও তার সামনে সর্বোত্তম নিয়তি ও সমীচীন ঘোষণা করেন"।
হযরত মাসুমা (সা:)-এর খতিব বলেছেন: মানুষের মর্যাদা তাদের আন্তরিকতা অনুসারে।আর আল্লাহতায়ালা সেই ব্যক্তির কর্মের নিয়ত ও বিশুদ্ধতা অনুযায়ী আমলের হিসাব করেন। তাই যে ইবাদতগুলো আমরা আন্তরিকতার সাথে পালন করেছি শুধুমাত্র সেই ইবাদতগুলোই আমাদের জন্য ত্রাণকর্তা হবে।
ভাষণের শেষ অংশে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন ফারাহজাদ হযরত ফাতেমা জাহরা (আ.)-এর ভালোবাসা এবং আহলে বাইত (আ.)-এর দুঃখ-কষ্টে অশ্রু-কান্না মুমিনদের জন্য আশা আলো হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন: হজরত ফাতেমা জাহরা (আ.)-এর ভালোবাসায় এবং আহলে বাইত (আ.)-এর দুঃখ-কষ্টে অশ্রু ঝরানো ও কান্না কিয়ামতের দিনে মুমিনদের থেকে মুক্তির আশা আলো।