۸ آذر ۱۴۰۳ |۲۶ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 28, 2024
সন্তানকে দেখতে পেলেন না মা
সন্তানকে দেখতে পেলেন না মা

হাওজা / পশ্চিমারা আসলেই সমগ্র বিশ্বকে এক মহাজঙ্গলেই পরিণত করে ফেলেছে এবং পৃথিবী জুড়ে জংলা আইন চালু ও বলবৎ করেছে ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (১৬-১২-২০২২)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেন , ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য ও সমর্থনপুষ্ট হয়ে ইসরাইল হচ্ছে শিশু হত্যাকারী , শিশু নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী সরকার। মানব হত্যা , নারী পুরুষ হত্যা , শিশু হত্যা , শিশু নির্যাতন , নারী নির্যাতন, বর্ণ বৈষম্য , সন্ত্রাস , জবর দখল, ফিলিস্তিনিদের বলপূর্বক তাদের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ ও নিজ মাতৃভূমি থেকে তাদের বহিষ্কার ও বিতাড়ন , আশে পাশের আরব দেশ গুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও আগ্রাসন, তাদের ভূমি ও ভূখণ্ড জবর দখল এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে কারারুদ্ধ করা ইত্যাদি হচ্ছে সন্ত্রাসী জায়নবাদী ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটির

অগণিত কালো জঘন্য অপরাধের অন্তর্গত । মানবতার বিরুদ্ধে ইসরাইল নামক জঘন্য বর্ণবাদী সন্ত্রাসী অপরাধী রাষ্ট্রটির সকল পাপ , অপকর্ম ও অপরাধে পশ্চিমারা এক সমান ভাগীদার। এই জঘন্য অপরাধী জায়নবাদী সরকারটি আহমাদ মনশ্র নামক ১৩ বছর বয়সী মানসিক ভাবে অসুস্থ এক ফিলিস্তিনি বালককে বন্দী করে রেখেছে।

ইসরাইলী পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে তার অবস্থা আরো খারাপ । কিন্তু ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ ঐ ফিলিস্তিনি বালকের মাকেও তার সাথে দেখা করতে দেয় নি । এই পাশ্চাত্যই ১৮ বছরের কম বয়সীদেরকে এমনকি ১৭ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কিছু কম হলেও অপরাধ জনিত গুরু শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত রাখে এ অজুহাতে যে অপরাধী অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না অথবা লঘু শাস্তি দেওয়া যা তাকে সংশোধন করবে ।

অথচ ইসরাইলের হাতে বন্দী মানসিক ভাবে অসুস্থ ফিলিস্তীনী বালক আহমাদ মনশ্রের বয়স মাত্র ১৩ বছর যা অনেক কম । সে একদম অপ্রাপ্ত বয়স্ক । সুতরাং তাকে এত কঠোর শাস্তি দেওয়া ( বন্দীশালায় আটকে রাখা ও তার ওপর নির্যাতন চালানো) এবং তার মাকে তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে না দেওয়া ইত্যাদি পাশ্চাত্যের আইন কানুনেরও পরিপন্থী ।

অথচ ইসরাইল এ বেআইনী অবৈধ কাজটা করছে পশ্চিমাদের চোখের সামনে। আর তারা কিছুই বলছে না ইসরাইলকে । এ কেমন কথা ? ওদিকে ইরানের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য উঠে পড়ে লেগেছে গোলযোগ সৃষ্টি কারী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।

ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের এমনকি ১৩ বছরের নাবালেগ বালককেও ধরে বন্দী করা ইসরাইলের অধিকার। কারণ শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা সহ মজলুম অত্যাচারিত ফিলিস্তিনিরা হচ্ছে সবাই সন্ত্রাসী , দুষ্কৃতকারী ও অপরাধী ইসরাইল ও পাশ্চাত্যের দৃষ্টিতে। তাই ১৩ বছরের ফিলিস্তিনি বালককেও ইসরাইল গ্রেফতার করে জেলে আটক ও বন্দী করে রাখতে পারে । আর পশ্চিমারা সবাই ইসরাইলকে এ সব ক্ষেত্রে সমর্থন দিচ্ছে আত্মরক্ষার অধিকারের ধুয়ো তুলে। অতএব মানসিক ভাবে অসুস্থ ১৩ বছরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ফিলিস্তিনি বালক আহমাদ মনশ্রকে জেলে আটক রেখেছে ইসরাইল নাকি নিজের আত্মরক্ষার জন্য !!

অতএব ইসরাইল এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্দোষ ! বরং ঐ ফিলিস্তিনি বালকই হচ্ছে অপরাধী এমনকি ১৩ বছরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক হয়েও। অপরাধের শাস্তি ভোগের জন্য ফিলিস্তিনিদের ১৮ বছর বয়সী অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ারও কোনো দরকার নেই !!

এই হলো পাশ্চাত্য ও ইসরাইলের যুক্তি যে ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও বলপূর্বক উচ্ছেদ এবং তাদের বাস্তুভিটা ও দেশ জবরদখল করেও বহিরাগত জায়নবাদী ইহুদীরা এবং তাদের রাষ্ট্র ইসরাইল সম্পূর্ণ নির্দোষ বরং ফিলিস্তিনিরাই হচ্ছে দোষী নিজ মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য অবৈধ দখলদার হানাদার ইসরাইলীদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম করার জন্য !!

এ ধরণের অপযুক্তি ও জঘন্য মনোভাব যে পাশ্চাত্য ও ইসরাইল পোষণ করে তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে কী ধরণের যে নীতি অবস্থান গ্রহণ করবে তা সহজেই অনুমেয়। আর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী এবং ফিলিস্তিনীদের ন্যায্য বৈধ অধিকারের সমর্থক ।

সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য ইরানে গোলযোগ, ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে অধিকার অর্জনের জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভকারী বলেই চিহ্নিত ও প্রচার করছে । কারণ এরা পশ্চিমাদের সমর্থক ও এজেন্ট। তাই পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে গোলযোগ সৃষ্টিকারী দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার ও বিচার করে সাজা দেওয়ার অধিকার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেই এবং যে কেউ পাশ্চাত্য ও তাদের বশংবদ চর ও সমর্থকদের অপকর্ম , দুষ্কর্ম , চক্রান্ত ও নীল নক্সার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তারাই অপরাধী পশ্চিমাদের চোখে । তাই ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের দমন , হত্যা ও ধরপাকড় ঠিক আছে। কিন্তু ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কর্তৃক গোলযোগ সৃষ্টি কারী দুষ্কৃতকারীদের ধরপাকড় , বিচার ও শাস্তি দান সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি বলে প্রচার করছে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ও সরকারগুলো ।

আর এ কারণেই ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের মেরে কেটে ফেললেও এমনকি ফিলিস্তিনি শিশু ও বালক - বালিকাকে হত্যা বা জেলে আটকিয়ে রাখাতে কোনো আপত্তি ও অসুবিধা নেই । এ যেন জালেমকে মজলুম ও মজলুমকে জালেম দেখানো এবং সন্ত্রাসীকে সন্ত্রাসের শিকার ও সন্ত্রাস দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সন্ত্রাসের শিকার ও সন্ত্রাসে ভুক্তভোগীদেরকে সন্ত্রাসী বলে গণ্য করা !!! যদি দেয় রাজায় চর থাপ্পড় তোমার বাম গালে তাহলে তোমার ডান গালও পেতে দিও চর থাপ্পড় খাওয়ার তরে ।

ঠিক এটাই চাচ্ছে পাশ্চাত্য ও ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের কাছ থেকে। ইসরাইল শুধু ফিলিস্তিনিদের একতরফা মেরেই যাবে এবং ফিলিস্তিনিদের উচিত ইসরাইলের কাছ থেকে মারের ওপর মার খেয়েই যাওয়া !!! তাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তীনীদের প্রতিরোধ সংগ্রাম অবৈধ ও অন্যায় পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে !!! ইসরাইলের অস্তিত্ব জুড়ে রয়েছে অন্যায় ও জুলুম। ইসরাইলের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে অন্যায় ও জুলুমের ওপর । সুতরাং ইসরাইল সাক্ষাৎ জালেম ছাড়া আর কিছুই নয়।

আর এ থেকে প্রমাণিত হয় যে পশ্চিমারা আসলেই সমগ্র বিশ্বকে এক মহাজঙ্গলেই পরিণত করে ফেলেছে এবং পৃথিবী জুড়ে জংলা আইন চালু ও বলবৎ করেছে ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .