۱۸ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۸ شوال ۱۴۴۵ | May 7, 2024
নিরাপত্তাহীন অনিরাপদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বকে নিরাপদ করবে ? !!!
নিরাপত্তাহীন অনিরাপদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বকে নিরাপদ করবে ? !!!

হাওজা / নিরাপত্তাহীন অনিরাপদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বকে নিরাপদ করবে ? !!! বিশ্ব কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই নিরাপদ হবে ?!!

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (৮-১-২০২৩)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের বাসিন্দা , নাগরিক ও অধিবাসীদেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নি ।

ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে প্রকাশ : " ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র জনিত সহিংসতায় ৪০০০০ এর বেশি মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে ! "

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত এক বছরে ( ২০২২ সাল ) ৪০০০০ এর বেশি মানুষ নিহত হওয়া থেকে মনে হচ্ছে যেন দেশটিতে মহাগৃহযুদ্ধ বেধে গেছে ! এ কেমন আজব অসভ্য অমানুষ দেশ ও জাতি ? এই সময়ে - বিশ্বায়ন ও আধুনিক তথ্য প্রবাহের যুগে যখন গোটা পৃথিবী একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে তখন মার্কিন মুলুকে এত মানুষ হত্যা ( ৪০০০০ এর বেশি ) - তাও এক বছরে ( ২০২২ সালে ) - কি প্রমাণ করে না যে বিগত শতাব্দীগুলোতে শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসীরা আমেরিকার অধিকাংশ রেড ইন্ডিয়ান আদিবাসীকে মেরে কেটে গণহত্যা চালিয়ে খতম ও নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে যখন এক গ্রামে কী ঘটেছে বা ঘটছে তার খবর পাশের গ্রামের লোকেরাই রাখত না এবং সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পারে অবস্থিত আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কী ঘটছে ও সেখানকার আদিবাসীদের যে মহা হত্যা ও জাতি নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে অবৈধ বহিরাগত জবরদখলকারী ইউরোপীয় অভিবাসীরা তা কেমন করে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের লোকেরা জানবে ? আর তখন এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে খবর পৌঁছাতেই অনেক সময় লেগে যেত এবং তখনকার মানুষদের সে সব সংবাদ শোনার না ছিল আগ্রহ ও সুযোগ আর না ছিল সংবাদ মাধ্যম সংক্রান্ত তাদের সাক্ষরতা ও জ্ঞান ( media literacy ) !! আর এখন পৃথিবীর

এক প্রান্তে বসে কেউ হাঁচি দিলে সেটার শব্দ পৃথিবীর অপর প্রান্তের লোক টের পেয়ে যায় ! অর্থাৎ আগের শতাব্দীগুলোর তূলনায় এখন কোন ঘটনা গোপন রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। ঐ বিগত শতকগুলোয় অস্ট্রেলিয়া, উত্তর , দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা , আফ্রিকা ও এশিয়ায় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের পরিচালিত বহু ব্যাপক বিশাল হত্যাকাণ্ড , গণহত্যা ও জাতি নিধনযজ্ঞ বিশ্ববাসীদের দৃষ্টির অন্তরালে গোপনই থেকে গেছে ।

গোটা মধ্য ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে ঊনবিংশ শতকের কাও বয় সংস্কৃতি - যা ছিল বসচা , ঝগড়া , উগ্রতা , মারামারি , কাটাকাটি , হানাহানি , হত্যা , সহিংসতা ও হিংস্রতার অপসংস্কৃতিরই নামান্তর তা - এখনও ঐ কাওবয়দেরই বিদ্যমান বংশধর অর্থাৎ বর্তমান মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান ( রয়েছে ) যার প্রমাণ হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র জনিত সহিংসতায় গত এক বছরেই ৪০০০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু !! এ থেকে প্রমাণিত হয় যে এখনও মার্কিনীদের শিরা - উপশিরা ও ধমনীতে চরম হিংস্র অসভ্য রক্তপিপাসু দস্যু প্রকৃতির কাওবয় পূর্বপুরুষদের রক্তই প্রবহমান। অস্ত্র , মদ ও নারীর ( অবারিত অবাধ যৌনতা) প্রতি প্রবল ঝোঁক ও আসক্তি , সহিংসতা , হিংস্রতা , পাশবিকতা, বর্বরতা অতীতের কাওবয়দের মতো তাদের বর্তমান বংশধর মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান আছে। তাই এ সব জঘন্য বদ অভ্যাস ও বদ গুণ মার্কিনীরা কোনো দিন ছাড়তে পারবে না । এরা চতুষ্পদ পশুর চাইতেও অধম ও হীন - নীচ। এদের বিশ্বাস করতে নেই। অতএব এদের থেকে সাবধান।

যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের নাগরিকদেরই জান , মাল ও মান - সম্ভ্রমের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম সেই দেশ ও রাষ্ট্র কিনা সমগ্র বিশ্ববাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি করে এবং আমাদের মধ্যে অনেকেরও বিশ্বাস : " মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে নাকি নিরাপত্তা দেবে ? " যা সত্যি খুব হাস্যকর । তাই না । অনেকটা এ কথার মতো যে যার যেটা নেই সে সেটা দিতে পারে !!! যদি এ কথা সত্য হয় তাহলে তো বলতে হয় যে অনিরাপদ ( নিরাপত্তাহীন ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে নিরাপত্তা দেবে !!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .