মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (২-১১-১৪০১)
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমারাই ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের গ্রন্থ ইবনে সিনার আল- কানূন ফিত্ তিব্ব্ পোড়ায় বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বাহানায় এবং জ্ঞান - বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে । আর এতে কোনো অসুবিধা নেই পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে । অথচ বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ও ছত্রছায়ায় ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো আসলে পশ্চিমাদের চরম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা , দেউলিয়া পনা , চরম সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ , ধর্ম বিরোধিতা ও ধর্ম দ্রোহিতারই নামান্তর । সেক্যুলারিজম কি আসলে ধর্ম নিরপেক্ষতা নাকি তা ধর্মের বিরোধিতা ও শত্রুতা ? পশ্চিমারা কর্তৃক বাকস্বাধীনতার নামে মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ পবিত্র কুরআন পোড়ানো থেকে প্রমাণিত হয় যে পশ্চিমারা ধর্ম নিরপেক্ষের অর্থে সেক্যুলার নয় বরং ধর্ম বিরোধী শত্রুর অর্থে সেক্যুলার। মুখে মুখে অর্থাৎ শুধু কথায় ও কাগজে কলমে সেক্যুলার বললে তো সেক্যুলার হওয়া যায় কি ? পশ্চিমাদের কার্যত প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে তারা সেক্যুলার । কিন্তু পশ্চিমাদের কার্যকলাপ যেমন : সুইডিশ সরকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সুইডেনের চরম ডানপন্থী একটি সংগঠন একটি মুসলিম দেশ তুর্কিয়ের দূতাবাসের সামনে দেড় বিলিয়ন ( ১৫০ কোটি ) মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে প্রমাণ করল যে সুইডেন সহ সকল পশ্চিমা দেশ চরমভাবে ধর্মীয় অসহিষ্ণু এবং চরম ইসলাম ধর্ম বিরোধী ও তীব্র ধর্ম বিদ্বেষী । আবার তিন চার শো বছর আগে পশ্চিমারা মুসলিম দার্শনিক ও চিকিৎসা শাস্ত্রবিদ ইবনে সিনার আল কানুন ফিত তিব্ব্ পুড়িয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা (পশ্চিমারা) জ্ঞানবিজ্ঞানেরও শত্রু ও বিরোধী বটে। পশ্চিমারা ধর্ম , জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কেবল নিজেদের অভিমত ও ধারণা ছাড়া অন্যদের অভিমত ও গবেষণার স্বীকৃতি দেয় না । এ ক্ষেত্রেও পশ্চিমারা চরম অসহিষ্ণু। এ ভাবে তারা ( পশ্চিমারা ) তাদের ন্যাক্কারজনক সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শোষণ আমলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদ্যাপীঠ , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , লাইব্রেরী ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। ঐ সব দেশের বহু মূল্যবান বই - পুস্তক পাশ্চাত্যে নিয়ে গেছে এবং যেগুলো নিতে পারে নি সেগুলোর অধিকাংশই ধ্বংস করে ফেলে জাতিসমূহকে অজ্ঞতা ও মুর্খতার গভীরে আধারে নিমজ্জিত করেছে ।
পশ্চিমাদের ইসলাম ও পবিত্র কুরআন বিরোধী এ সব অপ তৎপরতা ও কার্যকলাপ রীতিমতো চরম উস্কানিমূলক । এগুলো বরদাস্ত করা যায় না এবং এ ক্ষেত্রে পশ্চিমাদেরকে প্রশ্রয় ও আস্কারা দেওয়া একান্ত অনুচিত । তাই ইসলাম,পবিত্র কুরআন ও মুসলিম উম্মাহর চরম অবমাননা , অসম্মান ও হেয় করার অপরাধে চরম দুর্নীতি পরায়ণ অসভ্য ইতর নোংরা বদমাইশ হারামজাদা হারামী পাশ্চাত্য ও পশ্চিমাদেরকে সমুচিত দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া ঈমান ও বিশ্বাসের দাবি । পাশ্চাত্যের জনগণের এক বিরাট উল্লেখ যোগ্য অংশ হারামজাদা অর্থাৎ হারাম নিষিদ্ধ যিনা ও ব্যভিচারের সন্তান ও ফসল । অবাধ যৌনতা , যিনা ও ব্যভিচার এবং অবৈধ সন্তান দিয়ে সয়লাব হয়ে গেছে পাশ্চাত্যের সমাজ তাই পশ্চিমাদের হারামজাদা বলা যায় । বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে অর্ধেকের বেশি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে যে সব দেশে সেগুলোর মধ্যে সুইডেন রয়েছে। এ দেশে ৫৪•৯% শিশু বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে জন্মগ্রহণ করে অর্থাৎ জারজ ও হারামজাদা !!!!
যারা পাশ্চাত্যে ভালো ও বিবেকবান তারা ভীষণভাবে কোণঠাসা এবং তাদের করার কিছু নেই। আর চরমভাবে হারামী ও হারামজাদা হওয়ার কারণেই এ সব অসভ্য বদমাইশ সুইডিশ হার্বী কাফির পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে (পবিত্র এ গ্রন্থের) চরম অবমাননা করেছে।