হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তিন থেকে প্রাপ্ত খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি যুবকদের এই হামলার পর ইহুদিবাদী বসতিতে অ্যালার্ম সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং দখলদার ইহুদিবাদীরা তাদের ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশ করে।
ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর মুখপাত্রও গাজা থেকে রকেট হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে আশকেলন ছাড়াও জেকেম, কিবুতজ এবং কারমিয়ার ইহুদিবাদী বসতিতে অ্যালার্ম সাইরেন বাজানো হয়েছিল।হিব্রু সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাতের মধ্যে গাজার কাছে আশকেলনের ইহুদিবাদী বসতিতে অন্তত চারটি রকেট ছোড়া হয়।
উল্লেখ্য, ইহুদিবাদী সৈন্যরা মাথা থেকে পা পর্যন্ত সজ্জিত হয়ে বৃহস্পতিবার পশ্চিম জর্ডানের জেনিন ক্যাম্পে নৃশংস হামলা চালালেও তারা ফিলিস্তিনি মুজাহিদিনদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়।বলা হচ্ছে, এ সময় ইহুদিবাদী সৈন্যরা ১০ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা এবং ১৯ জনের বেশি আহত করেছে।
ফিলিস্তিনি যুবকদের প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়ে জেনিন ক্যাম্প থেকে ইহুদি সৈন্যদের সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি সূত্রে জানা গেছে, জেনিনের ওপর চলমান ইহুদিবাদী হামলায় পুরো ফিলিস্তিনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যার উদাহরণ গাজা, রামাল্লা ও নাবলুসে প্রতিবাদ মিছিলের আকারে দেখা গেছে। এসব বিক্ষোভের পর ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়।
বেইতুল-মাকদিস, রামাল্লাহ, নাবলুস ও বইতুল লেহেমেও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। জনিনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব শহরে সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস জেনিনে ইহুদিবাদীদের প্রকাশ্য অপরাধের নিন্দা করেছেন এবং ফিলিস্তিন জুড়ে সাধারণ শোক ঘোষণা করেছেন। এদিকে সরকারি ভবনে লাগানো ফিলিস্তিনি পতাকাও ভাঙচুর করা হয়েছে।