۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
13 rajab
হযরত আলী (আ.) এর ফযিলত ও মর্যাদা

হাওজা / হযরত আলী (আ.) ফযিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সা.)থেকে বর্ণিত অসংখ্য হাদীসের মধ্যে অল্প কিছু হাদীস নিম্নে আলোচনা করা করা হচ্ছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, রাসূলে আকরামের (সা.) পরে আলী (আ.)-এর চেয়ে উত্তম ব্যক্তি তো নাই-ই বরং নবীর উম্মতের মধ্যে এমন কেউ নেই যে অনুরূপ মর্যাদায় আলী (আ.)-এর নিকটবর্তী হতে পারে। আলী (আ.)-এর মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সা.) ও তার সাহাবীগণ হতে যে সমস্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা অন্যান্য সকল সাহাবীর মর্যাদায় বর্ণিত হাদীসের তুলনায় অধিক। যদিও শুধু ক্ষমতার জোরেই অনেক সত্যকে দমিয়ে রাখা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। রাজনীতির ধ্বংসাত্মক হাত যতদূর সম্ভব হয়েছে তার মর্যাদাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং নিজের অবস্থানকে রক্ষা করার জন্য তার (আলীর) সম্পর্কে কুৎসা পর্যন্ত রটনা করেছে, তারপরেও তার মর্যাদা এত অধিক যে, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল বলেন- রাসূল (সা.)-এর সাহাবীগণের মধ্যে অন্য কারো সম্পর্কে আলী (আ.)-এর মত এত অধিক মর্যাদা বর্ণিত হয়নি।(মুনতাহাল আমাল, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-১২০ ও তারিখে হাবিবুস সাঈর, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪১১।)

এক ব্যক্তি ইবনে আব্বাসের উপস্থিতিতে বললঃ সুবহানাল্লাহ! আলী (আ.)-এর মর্যাদায় বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা এত অধিক যে, আমার ধারণা তা তিন হাজারের মত হবে। ইবনে আব্বাস বললেন- কেন তুমি বললে না যে, আলীর মর্যাদায় বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ত্রিশ হাজারের কাছাকাছি।(সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩০৯)

আব্বাসীয় খলিফা মনসুর দাওয়ানিকী, সুলাইমান আমেশ’কে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, আলী (আ.) সম্পর্কে তুমি কতগুলো হাদীস বর্ণনা করেছ?

জবাবে সুলাইমান আমেশ বলেছিলঃ সামান্য সংখ্যক হাদীসই আমি তার সম্পর্কে বর্ণনা করতে পেরেছি, যার সংখ্যা প্রায় দশ হাজার অথবা কিছুটা বেশী হবে।(সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩০৯।)

ইবনে হাজার তার সাওয়ায়েক নামক গ্রন্থে লিখেছেনঃ আলী (আ.)-এর শানে (সম্পর্কে) যত কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে, অন্য কোন ব্যক্তির শানে এত পরিমাণ আয়াত নাজিল হয়নি।(ইমতাউল আসমা, পৃষ্ঠা-৫১০)

তার ফযিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সা.)থেকে বর্ণিত অসংখ্য হাদীসের মধ্যে অল্প কিছু হাদীস নিম্নে আলোচনা করা করব। যা তাকে মুসলমানদের নেতা এবং রাসূল (সা.)-এর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার যোগ্যতা দান করেছে:

১। রাসূল (সা.) আলী (আ.)-এর কাঁধে হাত রেখে বলেছেন :

هذا إمام البررة قاتل الفجرة منصور من نصره,مخذول من خذله

“এই আলী সৎ কর্মশীলদের ইমাম,অন্যায়কারীদের হন্তা,যে তাকে সাহায্য করবে সে সাফল্য লাভ করবে (সাহায্য প্রাপ্ত হবে) এবং যে তাকে হীন করার চেষ্টা করবে সে নিজেই হীন হবে।”

হাদীসটি হাকিম নিশাবুরী তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৯ পৃষ্ঠায় জাবের বিন আবদুল্লাহ্ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেন,“এই হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে তদুপরি বুখারী ও মুসলিম তা বর্ণনা করেন নি।”

تبصرہ ارسال

You are replying to: .