۱۷ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۷ شوال ۱۴۴۵ | May 6, 2024
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / প্রখ্যাত আলিম ইবনে ক্বূলাওয়াইহ্ ( রহ:) ইমাম রিযা ( আ.) থেকে ইমাম কাযিম ( আ. )-এর যিয়ারত নামাটি বর্ণনা করেছেন।

অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রখ্যাত আলিম ইবনে ক্বূলাওয়াইহ্ ( রহ:) ইমাম রিযা ( আ.) থেকে সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন : তিনি ( ইমাম রিযা - আ. -) বলেছেন : ইমাম কাযিম ( আ. )-এর কবরের পাশে যিয়ারতকারী এই যিয়ারত নামাটি পড়বে :

اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ یَا وَلِيَّ اللّٰهِ ، اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ یَا حُجَّةَ اللّٰهِ ، اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ یَا نُوْرَ اللّٰهِ فِيْ ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ ، اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ یَا مَنْ بَدَا اللّٰهُ فِيْ شَأْنِهٖ ، أَتَیْتُکَ زَائِرَاً عَارِفَاً بِحَقِّکَ مُعَادِيَاً لِأَعْدَائِکَ فَاشْفَعْ لِيْ عِنْدَ رَبِّکَ ، یَا مَوْلَايَ .

আপনার উপর সালাম ( শান্তি বর্ষিত হোক ) হে আল্লাহর ওয়ালী ( বন্ধু ) , আপনার উপর সালাম (শান্তি বর্ষিত হোক ) হে আল্লাহর হুজ্জাত ( আল্লাহ পাকের হিদায়ত ও রহমত - বরকতের দলীল ) , আপনার উপর সালাম শান্তি বর্ষিত হোক ) অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে হে আল্লাহর নূর ( আলো ) , আপনার উপর সালাম ( শান্তি বর্ষিত হোক ) হে ঐ সত্ত্বা ও ইমাম যাঁর শা'নে ( ব্যাপারে ) মহান আল্লাহর বাদা ( জ্ঞান ও সিদ্ধান্ত ) প্রকাশ পেয়েছিল (( অর্থাৎ মহান আল্লাহর জ্ঞান ও সিদ্ধান্ত ছিল ও আছে যে ৬ষ্ঠ ইমাম জাফার আস - সাদিকের জৈষ্ঠ্য পুত্র ইসমাইল পরবর্তী ইমাম হবেন না বরং ৭ম ইমাম হবেন হযরত জাফার আস সাদিকের ২য় পুত্র মূসা আল কাযিম ( আ.) ; আর এই ঐশ্বরিক জ্ঞান ও সিদ্ধান্ত সংগত কারণেই আহলুল বাইতের ( আ .) অনুসারীদের কাছে গোপণ ও লুক্কায়িত রাখা হয়েছিল যার ফলে তারা মনে করত যে ইমাম জাফার আস সাদিকের ( আ.) পরে পরবর্তী ইমাম হবেন ইসমাইল ইবনে জা'ফার । কিন্তু তিনি ইমাম জাফার আস সাদিকের ( আ.) জীবদ্দশায় মৃত্যু বরণ করলে মহান আল্লাহর জ্ঞান ও সিদ্ধান্ত যে ইমাম জাফার আস সাদিকের ( আ.) পরবর্তী ইমাম মূসা ইবনে জাফার আল কাযিম ( আ.) তা আহলুল বাইতের ( আ.) অনুসারীদের কাছে প্রকাশিত হয় । )) আপনার হক ( অধিকার ) চিনে ও তা স্বীকৃতি দিয়ে এবং আপনার শত্রুদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে আপনাকে যিয়ারত করার জন্য আপনার ( সমাধির ) কাছে এসেছি । তাই আপনি আপনার প্রভুর কাছে আমার জন্য শাফায়াত করুন হে আমার মাওলা ( ইমাম ও নেতা মূসা ইবনে জা'ফার আল - কাযিম আ. ) ।

এরপর মহান আল্লাহর কাছে যিয়ারতকারী নিজের অভাব ও প্রয়োজন ( হাজত ও মনোস্কামনা )সমূহ পূর্ণ করে দেয়ার জন্য প্রার্থনা করবে ।

সূত্র : শেখ আব্বাস কোমী প্রণীত নেগহী বে যেন্দেগীয়ে চাহরদাহ মা'সূম ( আলাইহিমুস সালাম ) , পৃ : ৩২১

সাইয়েদ ইবনে তাঊস ( রহ : ) মিসবাহুয যায়ের ( যিয়ারতকারীর প্রদীপ ) গ্রন্থে ইমাম কাযিম ( আ: ) - এর যিয়ারত কালে এই দরূদ ও সালাত সমূহ উল্লেখ ( যিকর ) করেছেন :

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَیٰ مُحَمَّدٍ وَ أَهْلِ بَیْتِهٖ ، وَ صَلِّ عَلَیٰ مُوْسَی بْنِ جَعْفَرٍ ، وَصِيِّ الْأَبْرَارِ وَ إِمَامِ الْأَخْیَارِ وَ عَیْنَةِ/ عَیْبَةِ الْأَنْوَارِ ، وَ وَارِثِ السَّکِیْنَةِ وَ الْوَقَارِ وَ الْحِکَمِ وَ الْآثَارِ ، الَّذِيْ کَانَ یُحْيِي اللَّیْلَ بِالسَّهَرِ إِلَی السَّحَرِ بِمُوَاصَلَةِ الاِسْتِغْفَارِ ، حَلِیْفِ السَّجْدَةِ الطَّوِیْلَةِ وَ الدُّمُوْعِ الْغَزِیْرَةِ وَ الْمُنَاجَاةِ الْکَثِیْرَةِ وَ الضَّرَاعَاتِ الْمُتَّصِلَةِ ، وَ مَقَرِّ النُّهَیٰ وَ الْعَدْلِ وَ الْخَیْرِ وَ الْفَضْلِ وَ النَّدَیٰ وَ الْبَذْلِ وَ مَأْلَفِ الْبَلْوَیٰ وَ الصَّبْرِ وَ الْمُضْطَهَدِ بِالظُّلْمِ وَ الْمَقْبُوْرِ بِالْجَوْرِ الْمُعَذَّبِ فِيْ قَعْرِ السُّجُوْنِ وَ ظُّلْمِ الْمَطَامِیْرِ وَ السَّاقِ الْمَرْضُوْضِ بِحَلْقِ الْقُیُوْدِ وَ الْجَنَازَةِ الْمُنَادَیٰ عَلَیْهِ بِذُلِّ الاِسْتِخْفَافِ ، وَ الْوَارِدِ عَلَیٰ جَدِّهٖ الْمُصْطَفَیٰ وَ أَبِیْهِ الْمُرْتَضَیٰ وَ أُمِّهٖ سَیِّدَةِ النِّسَاءِ بِإِرْثٍ مَغْصُوْبٍ وَ وَلَاءٍ مَسْلُوْبٍ وَ أَمْرٍ مَغْلُوْبٍ وَ دَمٍ مَطْلُوْبٍ وَ سَمٍّ مَشْرُوْبٍ اَللّٰهُمَّ وَ کَمَا صَبَرَ عَلَیٰ غَلِیْظِ الْمِحَنِ وَ تَجَرَّعَ غُصَصَ الْکُرَبِ ، وَ اسْتَسْلَمَ لِرِضَاکَ ، وَ أَخْلَصَ الطَّاعَةِ لَکَ وَ مَحَضَ الْخُشُوْعَ وَ اسْتَشْعَرَ الْخُضُوْعَ وَ عَادَی الْبِدْعَةَ وَ أَهْلَهَا ، وَ لَمْ یَلْحَقْهُ فِيْ شَيْءٍ مِنْ أَوَامِرِکَ وَ نَوَاهِیْکَ لَوْمَةُ لَائِمٍ ، صَلِّ عَلَیْهِ صَلَوٰةً نَامِيَةً مُنِيْفَةً زَاکِيَةً تُوْجِبُ لَهُ شَفَاعَةَ أُمَمٍ مِّنْ خَلْقِکَ ، وَ قُرُوْنٍ مِّنْ بَرَایَاکَ وَ بَلِّغْهُ عَنَّا تَحِيَّةً وَ سَلَامَاً وَ رِضْوَانَاً إِنَّکَ ذُو الْفَضْلِ الْعَمِيْمِ وَ التَّجَاوُزِ الْعَظِيْمِ بِرَحْمَتِکَ یَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ .

হে আল্লাহ , আপনি হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর আহলুল বাইতের উপর দরূদ ও সালাত প্রেরণ করুন ; আপনি হযরত মূসা ইবনে জা'ফারের ( আ:) ( ইমাম কাযিম ) উপর দরূদ ও সালাত প্রেরণ করুন

যিনি পূণ্যবানদের ওয়াসী ( ওয়াসিয়ত বাস্তবায়নকারী অর্থাৎ ইমাম ) , সাধু সৎ জনদের নেতা ( ইমাম ) এবং আলোসমূহের উৎস্য ( ভাণ্ডার ) , প্রশান্তি , ভাবগাম্ভীর্য , প্রজ্ঞাবলী এবং মহানবীর ( সা.) সুন্নতসমূহের উত্তরাধিকারী , যিনি বিরামহীন ইস্তিগফার ( ক্ষমা প্রার্থনা ) , দীর্ঘ সিজদা আঞ্জাম দেয়া , অজস্র অশ্রুপাত , বহু বহু প্রার্থনা , লাগাতার ক্রন্দন করে সাহার ( ভোর ) পর্যন্ত রাত জেগে থাকতেন , যিনি আক্ব্ল ও বুদ্ধিমত্তা , আদল ( ন্যায়পরায়ণতা ) , কল্যাণ ও মঙ্গল , কৃপা , পূণ্য ও দানের খনি ও উৎস্য স্থল , যিনি বালা - মুসীবতের সাথে পূর্ণ পরিচিত ( যাঁর সাথে বালা - মুসীবতের রয়েছে পূর্ণ সখ্যতা ও সুপরিচিতি ) , যালিমদের অন্যায় ও অত্যাচারে নিষ্পেষিত ও অত্যাচারিত , যাতনা ও নিপীড়নের দ্বারা যাঁকে শহীদ ও কবরে দাফন করা হয়েছে , কারাগারের অন্ধকূপে ও অন্ধকার গহ্বরে যিনি নির্যাতিত হয়েছেন , লোহার শিকলের বেড়ী দিয়ে বেঁধে রাখার ফলে যাঁর পদদ্বয় থেঁতলে গিয়েছিল ; ঐ পবিত্র জানাযার ( শবদেহ ) উপর সালাম যাঁকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা সহকারে ডাকা হয়েছে ( অপমান জনক ও অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করে যাঁকে সম্বোধন করা হয়েছে ) ; মাতামহ হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা , পিতা হযরত আলী মুর্তাযা , মাতা হযরত ফাতিমা সাইয়েদাতুন নিসার ( নারীদের নেত্রী ) সান্নিধ্যে গমণকারী ও স্থিতি লাভকারী ; যাঁর উত্তরাধিকার জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে , যাঁর ইমামত ( নেতৃত্ব ও খিলাফত ) অবৈধ ভাবে কেড়ে নেয়া ( জবর দখল করা ) হয়েছে ; যাঁর কর্তৃত্ব ও ওয়িলায়ত বলপূর্বক ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে ; যাঁর সমুদয় বিষয় দমন করা হয়েছে ; যাঁর খুনের বদলা ও প্রতিশোধের দাবি (মহান আল্লাহর দরবারে) উত্থাপিত হয়েছে এবং যাঁকে বিষ প্রয়োগে হত্যা ও শহীদ করা হয়েছে ।

হে আল্লাহ ! যেভাবে তিনি ( ইমাম মূসা আল - কাযিম আ.) কঠিন তীব্র বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ করেছেন , দু:খ - কষ্ট , যাতনা ও শোক তিনি পানি পান করার মতো পান করেছেন , আপনার সন্তুষ্টির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন , নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ( খুলূসিয়ত ) সাথে আপনার ইবাদত বন্দেগী ও আনুগত্য করেছেন , আপনার প্রতি বিশুদ্ধ চিত্তে বিনয়াবনত হয়েছেন ( মহান আল্লাহর প্রতি নিজের বিনয় , ভক্তি শ্রদ্ধা বিশুদ্ধ ও পরিশুদ্ধ করেছেন ) , আপনার প্রতি আত্ম সমর্পণের বিষয়টি অনুভব করেছেন , বিদআত ও বিদ'আত পন্থী দের সাথে শত্রুতা পোষণ করেছেন , আপনার আদেশ নিষেধ ( আমর ও নাহি ) পালন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো নিন্দুকের নিন্দা ও তিরষ্কারের মোটেও পরোয়া করেন নি ঠিক সেভাবে আপনি তাঁর উপর বর্ধন শীল ( বর্ধিষ্ণু ) , অফুরন্ত , অত্যন্ত পবিত্র রহমত , দরূদ ও সালাত প্রেরণ করুন যার ছায়ায় আপনার মখলূক ( সৃষ্ট ) জাতি ও প্রজন্মসমূহকে তাঁর শাফায়াত করার বিষযটি অবধারিত ও নির্ধারিত করে দিন ; আর আমাদের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি আমাদের অভিনন্দন বার্তা ও সালাম পৌঁছে দিন ;

হে আল্লাহ ! তাঁর প্রতি ভালোবাসা পোষণের জন্য আমাদেরকে আপনার কৃপা ( ফযল ) , ইহসান ( দয়া ) , মাগফিরাত ( ক্ষমা ) ও সন্তুষ্টি দান করুন ; কারণ আপনি সর্বজনীন কৃপা ও অশেষ ক্ষমার মালিক ; আপনার রহমতের ( করুণা ) দ্বারা আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন হে সবচেয়ে দয়ালু ।

সূত্র : মরহূম শেখ আব্বাস কোমী প্রণীত নেগহী বে যেন্দেগীয়ে চাহরদাহ মা'সূম আলাইহিমুস সালাম , পৃ : ৩২১ - ৩২৩

تبصرہ ارسال

You are replying to: .