হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর পবিত্র মাজারে লক্ষাধিক জিয়ারতকারী ও প্রতিবেশীদের সমবেত বার্ষিক ভাষণে ইসলামী বিপ্লবী নেতা বলেন: করোনার বিধিনিষেধের কারণে আপনাদের কাছে আসতে পারিনি আজ আসার সুযোগ পেয়েছি তাই আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
ইসলামী বিপ্লবী নেতা ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শত্রুদের শত্রুতার কথা উল্লেখ করে বলেন: তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং এর মর্মকে ধ্বংস ও পরিবর্তন করা।
তিনি বলেন: শত্রু ইমাম খোমেনির নাম শুনতে পারে না, তাঁর শিক্ষার বিরুদ্ধে, আল-কুদস দিবসের বিরুদ্ধে, মিছিলে জনগণের উপস্থিতি এবং ইরানের নির্বাচনে জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে।
ইসলামি বিপ্লবী নেতা জোর দিয়ে বলেছেন যে শত্রু যে জিনিস গুলির বিরুদ্ধে সেটাই ইরানি জনগণের শক্তি।
আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী খামেনি বলেছেন যে শত্রু ও সাম্রাজ্যবাদ ইরানে এমন একটি সরকার চায় যেটি কেবল সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের অনুগত এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে এবং ইরানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতে পারে।
আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানী জনগণকে মোমিন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন: ইরানি জনগণ গত কয়েক দশকে শত্রুদের নিরন্তর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে তাদের ওপর আধিপত্য অর্জন করেছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ইরানে বিগত মাসগুলোতে বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: শত্রু বাহিনী সরাসরি বিদ্রোহকে সমর্থন করেছে। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রধানরা প্রকাশ্যে মুষ্টিমেয় কিছু বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা, আর্থিক ও সামরিক সহায়তায় সমর্থন দিয়েছিলেন এবং তারা ভেবেছিলেন যে তারা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে সক্ষম হবেন, কিন্তু ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রমাণ করেছে যে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী।
তিনি বলেন: এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারির সমাবেশ আগের বছরের সমাবেশের চেয়ে বেশি উত্সাহী ছিল এবং প্রমাণ করে যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং ইরানের জনগণ শক্তিশালী।