۱۵ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۵ شوال ۱۴۴۵ | May 4, 2024
hj
ইরানের আত্তঘাতী ড্রোন পরীক্ষা

হাওজা / ইরানের আত্তঘাতী ড্রোন পরীক্ষা। ড্রোনটি গাড়ির উপর থেকে উড়ানো যেতে পারে। জেনারেল কুহেস্তানি জানান, এই ড্রোনটি ৫০ কেজি ওজনের।

মুহাম্মদ আবদুর রহমান

হাওজা নিউজ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের আত্তঘাতী ড্রোন পরীক্ষা। এ খবরের একাংশে বলা হয়েছে : ড্রোনটি গাড়ির উপর থেকে উড়ানো যেতে পারে। জেনারেল কুহেস্তানি জানান, এই ড্রোনটি ৫০ কেজি ওজনের।

ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ড্রোনটি খুব সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা যেতে পারে। ফলে, এই ড্রোন ব্যবহারে কম সময় লাগে।

বহু সুবিধা সম্বলিত এ ধরণের ড্রোন প্রযুক্তি বাংলাদেশ ইরানের কাছ থেকে নিয়ে ড্রোন তৈরি করতে পারে কম খরচে এবং তাতে এক দিকে যেমন জাতীয় প্রতিরক্ষা শক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও শত্রুও জাতীয় সার্বভৌমত্ব লংঘন করতে সাহস করবে না এ ধরনের কামিকাৎযে ( আত্মঘাতী বা ইনতিহারী ) ড্রোন থাকার কারণে ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর। আর ইরানী প্রযুক্তির এ ড্রোনগুলো ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রয়োজনীয় কার্যকারিতা ও রণ নৈপুণ্য প্রদর্শন ও প্রমাণ করেছে। আর ২০২১ সালে পশ্চিম এশিয়ায় ( মধ্য প্রাচ্য অঞ্চল ) মার্কিন সেন্টকম প্রধান জেনারেল ম্যাক্কেনযি কংগ্রেসের এক শুনানিতে সাক্ষ্য দান কালে স্পষ্ট বলেছিলেন : কোরিয়া যুদ্ধের পর ৭০ বছরে এই প্রথম বার বিশ্বে মার্কিন সামরিক বাহিনী আকাশ শক্তির শ্রেষ্ঠত্বকে ইরান তার ড্রোন শক্তি ও রাডার সিস্টেম দিয়ে নষ্ট ও ভণ্ডুল করেছে ! তাঁর বক্তব্যে ইরান বারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ওপর বারবার ড্রোন হামলা চালিয়ে নাজেহাল ও ক্ষয়ক্ষতি সাধন করছে এবং নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি আবিষ্কার করা পর্যন্ত সেন্টকম তা প্রতিহত করতে অপারগ !!!

এ ছাড়া ২০১৯ সালের জুন মাসে ইরান তার ১৫ খোর্দাদ রাডার ও মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে দামী ড্রোন ( যার মূল্য ২১০ মিলিয়ন ডলার তা ) ইরানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করলে ভূপাতিত করে । অথচ অত্যাধুনিক প্রমোদ তরী টাইটানিক নিয়ে যেমন ব্রিটেন গর্ব করেছিল যে তা কখনো ডুববে না ঠিক তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী গর্ব করে বলেছিল উক্ত গ্লোবাল হক ড্রোন সম্পর্কে যে বিশ্বের কোনো রাডার সিস্টেম তা শনাক্ত এবং কোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তা ভূপাতিত করতে পারবে না। কিন্তু ইরানী আকাশ প্রতিরক্ষার ১৫ খোর্দাদ রাডার ও মিসাইল সিস্টেম তা শনাক্ত ও ভূপাতিত করে ঐ দিন এবং এ ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চুনকালি লেপে দেয় ইরান। এ ছাড়া ইয়েমেনের হুসিরা ( হুথি যোদ্ধারা ) ইরানী ড্রোন প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের তৈরি করা ড্রোন সৌদি আরবের ১০০০ কিলো মিটারেরও বেশি অভ্যন্তরে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রুড পেট্রোলিয়াম তেল উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান আরামকো প্রধান স্থাপনা সমূহ যেগুলো অত্যাধুনিক মার্কিন এ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সুসজ্জিত হওয়া সত্তেও তাতে সফল হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং ঐ হামলার ফলে সৌদি আরবের দৈনিক ক্রুড পেট্রোলিয়াম তেল উৎপাদন ১০ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে ৫ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে আসে অর্থাৎ অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০২০ এর জানুয়ারীর প্রথম দিকে জেনারেল কাসেম সুলাইমানীকে হত্যার পর ইরান ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি আইনাল আসাদে সফল ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে ঐ ঘাঁটিটির সামরিক স্থাপনা সমূহের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছিল এবং উক্ত ঘাঁটি এবং ইরাকে স্থাপিত মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটা ইরানী ক্ষেপনাস্ত্রও শনাক্ত ও চিহ্নিত করে তা প্রতিহত ও ধ্বংস করতে পারে নি ! আর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পার্ল হারবার ঘাঁটিতে জাপানের বিমান হামলার পর থেকে ঐ সময় ( অর্থাৎ ২০২০ এর জানুয়ারি ) পর্যন্ত ইরান ব্যতীত কোনো দেশই প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় নি । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বলছে যে ইরানের সরবরাহ কৃত ড্রোন নাকি রাশিয়া ইউক্রেন অভিযানে ব্যাপক ব্যবহার করছে যেগুলোর মধ্যে আত্মঘাতী ড্রোন ও রয়েছে এবং ওয়াশিংটন ও ইউক্রেনের দাবি যে সে সব ইরানী ড্রোন নাকি ইউক্রেনে সামরিক ও অন্যান্য স্থাপনা সমূহের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে । কিন্তু ইরানী কর্তৃপক্ষ যুদ্ধের সময় রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহের কথা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে রাশিয়ার সাথে ইরানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতার আওতায় ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের আগেই ইরান রাশিয়াকে ড্রোন প্রযুক্তি দিয়েছিল এবং ইরানের নির্মিত ও সরবরাহ কৃত ড্রোন নয় বরং প্রযুক্তি হস্তান্তরের পর ইরানী প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের নির্মিত ড্রোন রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করছে । কিন্তু পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে যুদ্ধবাজ ও নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবসায় লিপ্ত বলে আন্তর্জাতিক ভাবে দোষী ও যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করার জন্য এ ধরণের ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ করেছে যাতে ইউক্রেন সংকটে অস্ত্র বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে ইরানের ওপর আরেক

দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা অন্ততঃ ইরানকে বিশ্ব পরিসরে নিন্দিত ও একঘরে করা যায়। যা হোক

এ সব তথ্য থেকে প্রমাণিত হয়ে যায় যে ইরানী ড্রোন , রাডার সিস্টেম , আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা ও রণ নৈপুণ্য । আর বাংলাদেশের মতো দেশগুলো পারে ইরানের কাছ থেকে সস্তা মূল্যের অথচ উচ্চ পর্যায়ের কার্যকর এ সব প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার ও শক্তিশালী করতে । আর রাশিয়ার মতো সুপার পাওয়ার ও মহাশক্তিধর দেশ যদি ইরানী ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে তা হলে বাংলাদেশের মতো দেশ গুলো কেন স্বল্প মূল্যের অথচ কার্যকর ইরানী ড্রোন ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে না ? পশ্চিমাদের চোখ রাঙানির পরোয়া করা বোধ হয় এ ক্ষেত্রে ঠিক হবে না।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .