۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
সানা মারিন ( ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ) তার পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।
সানা মারিন

হাওজা / গত মাসে নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মারিন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিক কেলেঙ্কারিতে ( নৈতিক চারিত্রিক ও আর্থিক কেলেঙ্কারি ) জড়িয়ে পড়েন।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সিএনএন বলছে : " সানা মারিন ( ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ) তার পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। "

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয় : " গত মাসে নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মারিন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিক কেলেঙ্কারিতে ( নৈতিক চারিত্রিক ও আর্থিক কেলেঙ্কারি ) জড়িয়ে পড়েন। "

ফিনিশ এ মহিলা প্রধানমন্ত্রী ১৯ বছর পূর্বে ১৮ বছর বয়সে তার বর্তমান স্বামীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত লিভ টুগেদার শুরু করে এবং পাঁচ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ বহির্ভূত লিভ টুগেদারের ফসল এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয় ( ২০১৮ সালে )। ২০১৯ সালে সানা মারিন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয় এবং তিন বছর পূর্বে ২০২০ সালে ১৬ বছর বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক লিভ টুগেদারের ( একত্রে বসবাস ) পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তার জীবন সঙ্গী ও শরীক মার্কাস রাইকোনেনের সাথে ! স্মর্তব্য যে তাদের ( বিদায়ী ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন ও মার্কাস রাইকোনেন দম্পতি ) কন্যা সন্তান তাদের বিয়ের দু বছর আগেই জন্ম গ্রহণ করে অর্থাৎ ফিনিশ প্রধানমন্ত্রীর এ কন্যা সন্তান অবৈধ জারজ বিবাহ বহির্ভূত হারামজাদা সন্তান । সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পাশাপাশি ১৯ বছরের লিভ টুগেদার ( ১৬ বছর ) ও বৈবাহিক জীবন ( ৩ বছর ) থেকেও বিদায় নিচ্ছে !!!

আর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সানা মারিন একাধিক নৈতিক চারিত্রিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতেও জড়িয়ে পড়ে !!!

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে : " দীর্ঘ ১৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন সানা মারিন। ৩৭ বছর বয়সী মারিনের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে, যার নাম এমা আমালিয়া মারিন। "

এই হলো পাশ্চাত্য ও পশ্চিমা সংস্কৃতি যার সাথে অনৈতিকতা , চরিত্রহীনতা , অশালীনতা , লাম্পট্য , লুচ্চামি, অবাধ - অবৈধ যৌনতা , অপরাধ ও দুর্নীতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ও আছে । আর এই সংস্কৃতি যে দেশে যাবে ও বিস্তৃত হবে সে দেশেও এই একই অবস্থার সৃষ্টি হবে ।

তাই বস্তুবাদী অনৈতিক অবাধ ও বিকৃত যৌনতার চর্চায় উদ্বুদ্ধ কারী পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির বিস্তার ও প্রভাবের কারণেই আমাদের দেশেও এক বিশেষ মহলে এমনকি কিশোর কিশোরীরাও গোপন যৌনাচারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে । দেখুন : দেশে গোপন যৌনাচারে আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা বিডিমর্নিং | নিউজ | bdmorning | news

https://www.bdmorning.com/bn/article/2023/420590

পশ্চিমারা দেশে দেশে তাদের লাম্পট্য , অবাধ অবৈধ যৌনতার এ অপসংস্কৃতির ( লিভ টুগেদার ইত্যাদি ) ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে । আর আমরাও যদি পশ্চিমা বিকৃত যৌনতার এ অপসংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেই তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের মতো লম্পট লুচ্চা দুশ্চরিত্র বদমাইশ রাষ্ট্রনায়কদের আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করব আমাদের মত মুসলিম দেশসহ বিভিন্ন অইউরোপীয় দেশে !!!

আধুনিক পাশ্চাত্য ( পশ্চিমা ) শিক্ষা ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি যে কিশোর কিশোরী তথা উঠতি বয়সের যুবক যুবতীদের নৈতিক চারিত্রিক পদস্খলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা লেখিকা মানদা দেবীও তার লেখায় বারবার স্বীকার করেছেন। সূত্র : বই রিভিউ : শিক্ষিতা পতিতার আত্ম চরিত by সাকু চৌধুরী ২০/২/২০১৮ Gleeta Era , Mon , Feb 26 , 2018 gleetaera.com লেখক সাকু চৌধুরী লিখেছেন :

এখানে লেখিকা মানদা দেবী স্বয়ং বারবার স্বীকার করেছেন তার পদস্খলনের পিছনে দায়ী কৈশর থেকে যৌবনের শুরুতে নিজের শারীরিক চাহিদাকে - তার ভাষায় প্রবৃত্তির উত্তেজনা! আরো বিস্ময়কর ব্যাপার হলো তিনি এর জন্য বারবার দোষ দিয়েছেন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তথা সংস্কৃতিকে যেখানে গল্প , নাটক, থিয়েটার, উপন্যাস সবখানে প্রেমের ও নারী পুরুষের মিলনের জয়জয়কার। তার মতে উঠতি বয়সে ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে যখন কোন কিশোরী এ সকল সাহিত্য কলায় মজে যায় আর মা - বাবার স্নেহের স্থলে যখন যুবক শিক্ষক বা তরুণ নিকটাত্মীয়দের সাথে চলাফেরা বেশি করে , তখন এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি এমনটাই।

কেউ কেউ বলে যে স্কুলের পাঠ্য সূচীতে যৌন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হলে নাকি গোপন যৌনাচার ও বিকৃত যৌনতায় আকৃষ্ট হবে না ছাত্র ছাত্রীরা! কিন্তু এটা একদম ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন কথা । কারণ, পশ্চিমা দেশগুলোয় অবাধ যৌনতা ও যৌন শিক্ষা বহু আগে থেকেই বলবৎ করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও সেখানে ( সমগ্র পাশ্চাত্য জুড়ে ) যৌন হেনস্থা , নিগ্রহ , নির্যাতন , ধর্ষণ ও বিকৃত যৌনাচার অহরহ ঘটছে।

বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতি তিনজন নারীর একজনের ( অথবা ১৮৩ মিলিয়ন নারীর মধ্যে ৬১ মিলিয়ন নারী ) ১৩ বছর বয়স থেকেই শারীরিক অথবা যৌন অথবা উভয় ধরনের নির্যাতনের শিকার

হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে । ২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত এজেন্সির ডাটা ( তথ্য উপাত্ত ) থেকে দেখা যাচ্ছে যে ডেনমার্কে ৫২% নারীর ১৫ বছর বয়স থেকেই শারীরিক এবং / অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে .... ।

( দ্র: Combatting violence against women in Denmark )

ব্রিটেনের ডেইলি মেইলের খবরে প্রকাশ : Nearly 60 % of female students say they have been sexually assaulted at university , surveys reveal . ( প্রায় ৬০% ব্রিটিশ ছাত্রী বলছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছে । সমীক্ষায় প্রকাশ ) তাই যে ইউরোপ, ব্রিটেন ও ডেনমার্কে বহু যুগ ধরে যৌন শিক্ষা স্কুলের পাঠ্য সূচীর অন্তর্ভুক্ত করেছে কৈ সেখানে বিকৃত যৌন রুচি ও নারীর ওপর নিষ্ঠুর যৌন আক্রমণ ও সহিংসতা তো কমে নি বরং মারাত্মকভাবে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এত যৌন শিক্ষা ( sex education ) দেওয়া ও নেওয়ার পর ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ৬০% এর বেশি কেন যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছে বা হচ্ছে ? ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় পার্লামেন্টের নারী সদস্য ও কর্মচারীরাও পুরুষ সদস্য ও কর্মচারীদের দ্বারা যৌন নিগ্রহ , নির্যাতন ও ধর্ষণ সহ বিভিন্ন ধরণের যৌন আক্রমণের শিকার হন ?! তাহলে কোথায় গেল স্কুলের পাঠ্য সূচীতে যৌন শিক্ষার গুরুত্ব ও সুপ্রভাব ?!! বরং ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদ্যাপীঠ হওয়ার পাশাপাশি বেশ্যালয় এবং নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কেন্দ্রর খেতাবেও ভূষিত করা উচিত ।

সব দিক থেকে উন্নত হওয়ার দাবিদার জাপানেও প্রতিটি মেয়ে যৌন আক্রমণের শিকার ( দেখুন : Sexual assault in Japan : Every girl was a victim , by Annette Ekin , Aljazeera , 8 -3 - 2017 ) জাপানের পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ( গণপরিবহন ) স্কুল ছাত্রীদের ওপর যৌন হামলা খুবই সাধারণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।

জাপানের চিবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনাল ল ( অপরাধ আইন ) বিষয়ক নারীবাদী প্রফেসর হিরোকো গোতো বিশ্বাস করেন যে বহু জাপানী নারীদেহে খোঁচা দেওয়া ও হাতড়ানো অপরাধ নয় বলে বিবেচনা করে। মাতসুনাগা বলেন : আমি বহু মেয়েকে বলতে শুনেছি যে তাদের স্কার্টের নিচে পুরুষদের হাত এবং তাদের যোনীতে খোঁচা দানকারীদের আঙ্গুলের খোঁচার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। মাত্সুনাগা বলেন : এটাই ধর্ষণ ( It is rape ) ।

ধর্ষণের শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্র - কানাডা - ব্রিটেন ও ভারত ( দ্র: যুগান্তর , ২৬-১০-২০১৬ ) । গোটা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার উন্নত দেশগুলোতেই ব্যক্তি নিরাপত্তা ব্যাহত হচ্ছে। ধর্ষণের মতো বর্বর ঘটনার মতো অপরাধের শীর্ষে রয়েছে সেই সব উন্নত রাষ্ট্র সমূহ । বিশ্বের নানা বিষয়ে সেরা ১০ নির্বাচনকারী ওয়ার্লডলিস্টের তথ্যানুসারে ধর্ষণ অপরাধে সেরা দশের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন , ব্রিটেন, কানাডা , নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশের নাম । শীর্ষ দশে রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও। তালিকায় এ দেশের স্থান পঞ্চমে । তালিকার শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

লক্ষ্যণীয় যে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা বাদে ধর্ষণে বিশ্বের সেরা দশ দেশের ৮ টি হচ্ছে পশ্চিমা দেশ অর্থাৎ ইউরোপ , আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশ এবং এ দেশ গুলোর স্কুল পাঠ্যসূচীতে বহু দশক আগেই যৌন শিক্ষা ( Sex education) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা তো পুরোপুরি পাশ্চাত্য শিক্ষা সংস্কৃতি প্রভাবিত দেশ এবং ভারতেও পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করছে !! সুতরাং স্কুলের পাঠ্য সূচীতে যৌন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বহু দশক পরেও এ সব দেশ ধর্ষণে বিশ্বের সেরা দশ দেশে পরিণত হয়েছে এবং এটা যৌন শিক্ষার বদৌলতে বহুত অসাধারণ উন্নতি বলতেই হবে ! আর আমাদের দেশে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অবৈধ গোপন যৌনাচারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে পশ্চিমা বস্তুবাদী শিক্ষা ও অবাধ যৌনতা ও মেলামেশার পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রসার , সামাজিক মাধ্যমসমূহের ( সোস্যাল মিডিয়া ) বদৌলতে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা এবং খাঁটি ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশাসনের অনুপস্থিতি বা অভাব ।

আসলে তড়াতাড়ি বিয়ে এবং নৈতিক চারিত্রিক ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা না করে উঠতি বয়সের তরলমতির কিশোর কিশোরীদেরকে যৌন শিক্ষা ও অবাধ অবৈধ মেলামেশার সুযোগ দিলে তো গোপন অবৈধ যৌনাচার সহ নানা ধরনের বিকৃত অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও যৌন আচরণ প্রত্যক্ষ করতেই হবে তখন ।

নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে অবাধ যৌনতা ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক অর্থাৎ যিনা ব্যভিচারের আত্মিক , আধ্যাত্মিক , মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি তো আছেই এবং পরকালে রয়েছে ব্যভিচারী নারী পুরুষের জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তি । যদি দুনিয়ায় ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিনী তৌবা সহ যিনা ব্যভিচার সংক্রান্ত শরিয়তের দণ্ড ( হদ্দ ) ভোগ করে ও সাজা প্রাপ্ত হয় অথবা তৌবা করে তাহলে কঠোর পারলৌকিক শাস্তি থেকে রেহাই পেতে পারে। আর যারা ধর্ষণের মতো বিভিন্ন ধরনের যৌন আক্রমণ , নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হয় তাদের অনেকেই সারা জীবন মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত থাকে অর্থাৎ তারা শারীরিক আঘাত ও ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক আঘাত ও বিপর্যয়ের চিহ্ন ও প্রভাব বয়ে বেড়াতে পারে সারা জীবন ধরে যার ব্যক্তিগত , পারিবারিক ও সামাজিক নেতিবাচক বিরূপ প্রভাব সমাজের সবার ওপরই বর্তায় । অতএব অবাধ অবৈধ যৌনতা ও নারী পুরুষের অবৈধ অবাধ মেলামেশা ও মিলন আসলেই এ ধরনের চরম অকল্যণকর ও দু:খ জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বলেই দ্বীন - ধর্ম , শরিয়ত , আখলাক ( নীতি - নৈতিকতা ) এবং বিবেক বুদ্ধি ( আকল ) ও বিশ্বের জ্ঞানী বিজ্ঞ - বুদ্ধিমান ও বিবেকবানদের ( উকালাউল আলম ) দৃষ্টিতে এ ধরনের যৌনতা ও মেলামেশা সম্পূর্ণ অবৈধ ও নাজায়েয । শুধু তাই নয় এ ধরনের অবাধ অবৈধ যৌনতা ও মেলামেশা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপকর্ম ও অপরাধেরও জন্ম দেয় । তাই তো প্রবাদ বাক্য আছে : " মদ ও (নষ্টা ও ভ্রষ্টা ) নারী ( অর্থাৎ বিপথগামী দুশ্চরিত্রবান নারী - পুরুষের অবাধ অবৈধ যৌন সম্পর্ক ) সকল অনিষ্টের মূল ।"

অতএব পাশ্চাত্য পন্থী ও পূজারীদের এ সব ভ্রান্ত ধ্যান - ধারণায় কর্ণপাত করে স্কুলের পাঠ্য সূচীতে অবিবেচকের মতো যৌন শিক্ষা ঢুকালে

অবস্থার তো কোনো উন্নতি হবেই না বরং নীতি নৈতিকতা ও চারিত্রিক মূল্যবোধের এতটা অবনতি হবে যে তা কল্পনা করা মোটেও সম্ভব নয় এবং পশ্চিমারা যে সব অবক্ষয় ও ক্ষতির শিকার হয়েছে ঠিক সেগুলোর শিকার তখন আমরাও হব ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .