মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত শীতকালে ( ডিসেম্বর ২০২২ থেকে এপ্রিল ২০২৩ ) এনার্জি ( জ্বালানি শক্তি ) ব্যয়বহুল হওয়ার জন্য ইউরোপে শীত ও ঠান্ডায় মৃত্যু সংখ্যা ঐ একই সময় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে !
শীতে গ্যাস ( জ্বালানি) ও বিদ্যুৎ বিল অনেক বাড়িয়ে দেয়ার কারণে শয়নকক্ষ গরম করতে না পারার জন্য সম্ভবত ৬৮০০০ লোক ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই শীতে মারা গেছে। দেখুন : ১০মে ২০২৩ প্রকাশিত দ্য ইকোনমিস্ট এর নিম্নোক্ত প্রতিবেদন:
Expensive energy may have killed more Europeans than covid-19 last winter | The Economist
https://www.economist.com/graphic-detail/2023/05/10/expensive-energy-may-have-killed-more-europeans-than-covid-19-last-winter
High utility bills may have killed more people this winter than the coronavirus
https://hungary.postsen.com/world/175105/High-utility-bills-may-have-killed-more-people-this-winter-than-the-coronavirus.html
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জনকল্যাণ মূলক রাষ্ট্র ও সমাজ হয়ে এ কেমন জন ও সমাজ কল্যাণ সাধন করল ?!! এদের অঢেল টাকা পয়সা , বিত্ত - বিভব এবং অর্থ সম্পদের প্রাচুর্য থাকার পরেও পর্যাপ্ত জ্বালানি শক্তির ব্যবস্থা করে জোসেফ বোরেলের ভাষায় বেহেশতের বাগান বলে খ্যাত ইউরোপ বেচারা ৬৮০০০ বাসিন্দার জীবন তো অন্ততঃ পক্ষে রক্ষা করতে পারত ?! কৈ গেল এদের জনকল্যাণ ?!! মানব জীবনের চেয়েও কি জ্বালানি গ্যাস , বিদ্যুৎ , পেট্রল , কেরোসিন , ডিযেল ইত্যাদি অধিক ভ্যালুয়েবল ( মূল্যবান ) ?! তাহলে পশ্চিমারা যে এতসব সমাজ কল্যাণের কথা বলে সেগুলো ফাঁকা বুলি ছাড়ি আর কিছুই নয় !
আর ইউরোপীয়রা ( পশ্চিমারা ) যদি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের খাতিরে নিজেদের হাজার হাজার অসহায় লোককে মেরে খতম করে ফেলতে পারে তাহলে অইউরোপীয় ও অপশ্চিমাদের প্রতি এদের ব্যবহার ও আচরণ যে কেমন হবে তা খুব সহজেই অনুমেয় ? এরা নিজেদের অসহায় লোকদেরকেই যেখানে মৃত্যুর মুখে ঠেলে পাঠায় সেখানে অপশ্চিমা দেশ ও জাতিসমূহকে তো তারা ধ্বংস ই করে ফেলবে । তাই এ পশ্চিমাদের বিশ্বাস করতে নেই।
গত তিন শো বছর ধরে বিভিন্ন দেশ ও জাতিকে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী শাসনাধীনে এনে পৃথিবী ব্যাপী মিলিয়ন মিলিয়ন ( কোটি কোটি ) মানুষকে হত্যা করেছে পশ্চিমারা । তাই তাদের (পশ্চিমাদের) হাত জাতিসমূহের রক্তে রঞ্জিত ।
এই হলো তথাকথিত মানবতাবাদী , মানবাধিকারের প্রবক্তা , গণতান্ত্রিক , মুক্ত ও উদার মনা , মহান দানশীল ও দাতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পাশ্চাত্যের প্রকৃত (আসল) চেহারা ।
পশ্চিমারা এভাবে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষকে মৃত্যুপুরীতে ঠেলে পাঠিয়েও নিজেদেরকে মানবতাবাদী, মানবদরদী , মুক্তমনা ও উদার বলে প্রচার করেই যাচ্ছে নিজেদের তল্পিবাহক প্রচার মাধ্যম সমূহে । আসলে এরা প্রচার - প্রপ্যাগ্যান্ডায় খুবই দক্ষ , চৌকস , নিপুণ ও পারদর্শী । তাই এরা দিনকে রাত ও রাতকে দিন, তিলকে তাল ও তালকে তিল , যালেমকে মযলূম ও মযলূমকে যালেম , অন্যায়কারীকে ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়পরায়ণকে জঘন্য অন্যায় কারী , দুষ্টু কে ভদ্র ও ভদ্রকে দুষ্টু এবং অপরাধীকে নিরাপরাধ এবং নিরাপরাধকে অপরাধী দেখাতে খুবই পটু ও সিদ্ধহস্ত।
তাই এরা ( পশ্চিমারা ) নিজেদেরকে নেক সালেহ ( পূণ্যবান সৎকর্মশীল ) সংস্কারবাদী ও সংশোধনকামী ( মুসলেহ ) বলে জাহির করে অথচ এরা ( পশ্চিমারা ) আসলেই মুফসিদ ফীল আর্দ্বের ( পৃথিবীর বুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারী ) প্রকৃত বাস্তব নমুনা যাদেরকে মহান আল্লাহ মোটেও ভালোবাসে না । অন্ততঃ গত তিন শতাব্দীর বিশ্ব ইতিহাস পশ্চিমাদের সকল দুর্নীতি , অপরাধ ও অন্যায়ের সাক্ষী ।