۴ آذر ۱۴۰۳ |۲۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 24, 2024
সৌদি আরবের নিওম প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
সৌদি আরবের নিওম প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

হাওজা / রাজা বাদশাদের উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা ও প্রকল্প সব সময় সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন করেই হয়েছে এবং হচ্ছে।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজা বাদশাদের উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা ও প্রকল্প( সৌদি যুবরাজ এমবিএসের যেমন স্বপ্নীল নিওম প্রোজেক্ট ) সব সময় সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন করেই হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রকৃতি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এ সব প্রকল্পের বলি হয় । আর এই নিওম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কিছু জার্মান কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান । তার মানে এ সব উদ্ভট উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবতা থেকে বহু দূরে কল্পনার আকাশে বিচরণকারী এ সব স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী ও রাজা বাদশাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করিয়ে পশ্চিমারা বিশাল অঙ্কের টাকা পয়সা হাতিয়ে ও কামিয়ে নিচ্ছে। বলা হচ্ছে যে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের এই নিওম প্রকল্প নাকি গ্রীণ ( সবুজ ) অর্থাৎ প্রকৃতি বান্ধব । কত খানি যে এ প্রকল্প প্রকৃতি বান্ধব হবে তা বোঝাই যায় । সামনে চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে মডেল সিটি নির্মাণ বা মানব বসতি স্থাপন বা মহাকাশে ভাসমান শহর নির্মাণের প্রকল্পের উদ্যোগ যদি সৌদি আরব, আরব আমিরাত বা কাতার নেয়

তাতে বিস্মিত হবার কিছু নেই। কারণ এদের বিপুল অর্থ, অঢেল সম্পদ ও ঐশ্বর্য হাতিয়ে নিতে পশ্চিমা কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান সমূহ উদ্ভট উদ্ভট পরিকল্পনার প্রস্তাব দিতে পারে সামনে।

নিওম আসলে রাজা বাদশাদের খামখেয়ালি পনার মূর্ত প্রতীক !!

পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের নেতৃত্বে অবাস্তবধর্মী প্রকৃতি বৈরী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির তথাকথিত অগ্রগতি ( বিশেষ করে গত দুই শতাব্দী ধরে ) মানব জাতিকেই প্রয়াত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং এর দৃষ্টিতে খুব অল্প সময় যেমন এক হাজার বছরের মধ্যে বিলুপ্ত করে ছাড়বে !! নিওম ফিওম টিওম ধাঁচের প্রকল্প সমূহ এ ধরনের বিলুপ্তি করণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত ও বেগবান করতেই বরং সহায়ক হবে । পশ্চিমা বিশ্ব বা প্রাচ্যের তথাকথিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবক ও ধারক বাহকেরা অমানবিক অনৈতিক দিক সম্বলিত এ সব মেগা প্রোজেক্ট ও প্রকল্পের সুদূর প্রসারী ধ্বংসাত্মক প্রভাব ও ফলাফলের মোটেও তোয়াক্কা না করে কেবল ক্ষণিক ও ক্ষণস্থায়ী লাভ ও স্বার্থের কথাই চিন্তা করে। তাদের দৃষ্টি বর্তমানের এই ক্ষণিক ও ক্ষণস্থায়ী স্বার্থ ও লাভকে ছাড়িয়ে ভয়াবহ ভয়ঙ্কর ভবিষ্যত পরিণামের দিকে ধাবিত ও প্রসারিত হয় না । বলা যায় যে এ সব বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ দূরদর্শী নয় । আর সৌদি যুবরাজ এমবিএসের মতো উদ্ভট খেয়ালী রাজ বাদশাহ ও যুবরাজরা হচ্ছে অদূরদর্শী ও অপরিণামদর্শী এ সব বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক উদ্ভট প্রকৃতি বৈরী এ সব প্রোজেক্ট ও প্রকল্প বাস্তবায়নে !!! কারণ এ সব রাজা - বাদশাহ ও সরকার প্রধান এবং বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ ভয়ানক ধরণের বস্তুবাদী , সুবিধাবাদী , স্বার্থপর ও মুনাফা খোর এবং যশ ও সুখ্যাতির প্রত্যাশী । আর এ সব স্বৈরাচারী শাসকবর্গ নিজেদের প্রভাব - প্রতিপত্তি এবং যশ ও খ্যাতির জন্য এ সব আজব উদ্ভট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাতে এগুলো যেন তাদের অপকর্ম , অন্যায় ও অত্যাচারকে ধামাচাপা দেয় এবং জনগণ যেন তাদের অন্যায় , অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও সোচ্চার না হয়ে বরং তাদের চোখ ধাঁধানো এ সব উদ্ভট আজব কীর্তি নিয়ে শুধু আলোচনা করে এবং তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে। আর ওদিকে তথাকথিত বিজ্ঞানী , প্রযুক্তিবিদ , ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি সমূহ এ সব উদ্ভট আজব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যশ , খ্যাতি ও প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি বিস্তর অর্থও আয় করে থাকে । আরো বিস্ময়কর ও হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে যে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী উচ্চাভিলাসী সৌদি নিওম প্রোজেক্টের কিছু সমালোচনা করলেও অমানবিক এই প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন কারী জার্মান প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি সমূহের সমালোচনা করেন নি এবং এ প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে তাদেরকে বাধাও দেন নি বা দিচ্ছেন না !! এ ধরণের বহু কাজ ও প্রোজেক্ট সামনে বাস্তবায়ন করা হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির তথাকথিত উন্নয়ন ও প্রগতির দোহাই দিয়ে। আর এতে করে বিশ্বব্যাপী প্রকৃতি ও পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী দূষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ সাধিত হলেও এ সব স্বার্থপর বস্তুবাদী মুনাফাখোরের কিছুই যায় আসে না। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মানুষের অর্জিত ও সম্পাদিত কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবীর বুকে উদ্ভূত ফাসাদ ও বিপর্যয়ের প্রকৃত বাস্তব নমুনা হচ্ছে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের এ সব প্রকৃতি বৈরী এবং পরিবেশ ধ্বংসকারী কর্মকাণ্ড ও কার্যকলাপ। আজ পৃথিবী জুড়ে যে ফিতনা ও ফাসাদ দেখা দিয়েছে এবং মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করেছে তা আসলে লোভী বস্তুবাদী জালেম গোষ্ঠীর হাতের কামাই ও অর্জন ছাড়া আর কিছু নয়। মানব জাতির হস্ত যা কামাই ও অর্জন করেছে সে জন্য সাগর ও ভূখন্ডে ফাসাদের ( বিপর্যয় ) আবির্ভাব হয়েছে ( সূরা -ই কাসাস : ২৬ )

ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَ الْبَحْرِ بِمَا کَسَبَتْ أَیْدِي النَّاسِ .

আর মহান আল্লাহ ফাসাদ ( ফিতনা ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী) কে ভালোবাসেন না ও পছন্দ করেন না । ( সূরা -ই মায়েদা : ৬০ )

وَاللّٰهُ لَا یُحِبُّ الْمُفْسِدِيْنَ

আর তাই এ ধরণের ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ (হারাম ), অবৈধ , বেআইনি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ।

আর তাই মানব জাতিকেও এ সব ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টি কারীদের পথ অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে : আর মূসা ( আ) স্বীয় ভ্রাতা হারূনকে ( আ) বললেন : আমার সম্প্রদায়ের

( কওম ) মাঝে তুমি আমার প্রতিনিধিত্ব কর , সংশোধন ও সংস্কার ( ইসলাহ) সাধন কর এবং ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পথ অনুসরণ করো না । ( সূরা -ই আরাফ : ১৪২ )

اخْلُفْنِيْ فِيْ قَوْمِيْ وَ أَصْلِحْ وَ لَا تَتَّبِعْ سَبِیْلَ الْمُفْسِدِیْنَ .

পশ্চিমারা এবং তাদের পথ ও মত অনুসরণকারীরা যে অতীতের ফেরাউন , হামান , শাদ্দাদ ও নমরূদের মতোই পৃথিবীতে ফিতনা - ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী তাতে কোনো সন্দেহ নেই এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে পৃথিবী জুড়ে ফিতনা - ফাসাদ ও বিপর্যয় অব্যাহত থাকবেই এবং পরিণতিতে ধরনীর বুকে মানব জাতির অস্তিত্বই বিলুপ্তির মুখে পড়তে পারে!!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .