হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যথাযোগ্য প্রশংসা কেবল তারই, যিনি আপন কুদরতের দ্বারা সৃষ্টি জগতকে পরিচালিত করেন এবং যিনি জীবন ও মৃত্যুর মালিক। দরুদ ও সালাম রাসূল (সাঃ) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি, যাঁরা নিজেদের সকল কিছুকে উৎসর্গ করে মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রচেষ্টা করেছেন।
সালাম ও দরুদ ইমাম মাহদী (আঃ)-এর প্রতি। আহলে বাইয়েত ফাউন্ডেশন খুলনার আয়োজনে নগরীর আলতাপোল লেনস্থ আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ইমামবাড়ীতে আহলে বাইত (আঃ) ফাউন্ডেশন খুলনার সভাপতি ও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভীর সভাপতিত্বে পবিত্র ঈদ-এ-গাদির উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজ করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মাদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে হাফেজ মাওলনা আব্দুল মান্নান, মুফতি আসাদুজ্জামান, পাক্ষিক ফজর পত্রিকার সম্পাদক এ্যাড. ড. জাকির হোসেন, কর্ণেল (অব.) ড. সেখ আকরাম আলী।
প্রধান অতিথি সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বলেন, আজ ১৮ ই জিলহজ্ব ইসলামের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মহাখুশির দিন। দশম হিজরির এই দিনে বিদায় হজ্ব থেকে ফেরার পথে, সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজেল হওয়ার পর রাসুল (সা.) গাদিরে খুম নামক স্থানে এক লাখ বিশ হাজারেরও বেশি হজ্ব ফেরৎ হাজী সাহাবাগনের সম্মুখে মাওলা আলীকে (আঃ) আল্লাহর খলিফা ও মুমিন উম্মাহর ইমাম হিসাবে নিযুক্ত করে নিজের স্থলাভিষিক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে তাঁর মনোনীত পরিপূর্ণ চুড়ান্ত ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দান করেন। এই দিনটি ঐতিহাসিক গাদীর দিবস বা ঈদে গাদীর হিসেবে খ্যাত।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ আলী মোর্তজা, হুজ্জাতুল ইসলাম আব্দুল কাইয়ুম, হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ আব্দুল লতিফ প্রমুখ। #