۱۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۳ شوال ۱۴۴۵ | May 2, 2024
যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যায় রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যায় রেকর্ড

হাওজা / বৃহস্পতিবার দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ডপ্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আত্মহত্যা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বছর আত্মহত্যায় রেকর্ড গড়েছে দেশটি। ২০২২ সালে দেশটিতে আত্মহত্যা করেছে ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ডপ্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আত্মহত্যা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব জেভিয়ার বেসেরা বলেছেন, ‘প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন আমরিকান বিশ্বাস করেন যে, তারা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে । "

দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত উক্ত সংবাদের বিশ্লেষণ :

পৃথিবীতে সবচেয়ে উন্নত , স্বর্গরাজ্য ( বেহেশত ) ও স্বপ্নপুরী বলে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন আত্মহত্যার হিড়িক ? কেন সে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে ? ১৯৪১ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার ছিল সর্বোচ্চ। সব পাওয়ার দেশে কেন সেই সুদূর ১৯৪১ সাল থেকেই আত্মহত্যা সর্বোচ্চ ছিল ?

বস্তুবাদী শিক্ষা , সংস্কৃতি, কৃষ্টি সভ্যতা , চোখ ধাঁধানো বৈষয়িক উন্নতি ও প্রগতি ইত্যাদি কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদেরকে মানসিক স্বাস্থগত সমস্যা এবং আত্মহত্যা থেকে বাঁচাতে ও নিরাপদ রাখতে পারছে না ?

কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর আত্মহত্যা খুবই সাধারণ নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ? !

মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য : প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন অর্থাৎ ৯০% মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করে যে তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে !!! তাহলে এ কেমন দেশ যে দেশের ৯০% অর্থাৎ অধিকাংশ বাসিন্দাই বলা যেতে পারে যে প্রায় গোটা জাতিটাই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত? যে দেশের অধিকাংশ জনগণই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ও ভুক্তভোগী সে দেশের জনগণ নি: সন্দেহে মানসিক শান্তিতে নেই। মানসিক অশান্তিতে থাকা ও ভোগা সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ এমনকি শারীরিক রোগ যন্ত্রণায় ভোগার চাইতেও। আর মার্কিন মুলুকে শারীরিক রোগ যন্ত্রণায়ও মানুষ তীব্রভাবে ভুগছে যার প্রমাণ হচ্ছে করোনায় এক মিলিয়নের অধিক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু এবং প্রতি বছর ভুল চিকিৎসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং এ সংখ্যার চেয়ে তিন চার গুণ বেশি মানুষ ভুল চিকিৎসার কারণে মারাত্মক স্থায়ী শারীরিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছে ! আবার আততায়ীর গোলাগুলিতে প্রতি বছর ২০ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হচ্ছে মার্কিন মুলুকে । তাহলে কোথায় গেল মার্কিন মুল্লুকের উল্লুক জনগণের জান ,মাল ও শরীর স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা?!! আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সকল শিল্পোন্নত দেশে ৪০% এর অধিক পুরুষ বন্ধ্যাত্ব ও যৌন অক্ষমতারও শিকার। আর এ কারণেই ঐ সব শিল্পোন্নত জাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে পৃথিবী থেকে ( আর মহান আল্লাহ ওদের বিলুপ্ত করুন ! )। তবে পশ্চিমা সভ্যতা যেভাবে ও মে হারে বিশ্বব্যাপী প্রসারিত হচ্ছে তাতে পৃথিবী ব্যাপী পুরুষের বন্ধ্যাত্ব ও যৌন অক্ষমতা বাড়ছে । আর এমন হতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে গোটা মানবজাতিও পৃথিবী থেকে শুধু এই একটিমাত্র কারণেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে! আর এ ক্ষেত্রে বিলুপ্ত হওয়ার বাকী কারণ একদম বিবেচনায় আনা হয় নি ।

এই হলো পাশ্চাত্য বা আধুনিক শিল্পোন্নত বস্তুবাদী সভ্যতা যা মানুষকে মানসিক সমস্যায় ভোগায় এবং মানুষকে বিশেষ করে পুরুষকে বন্ধ্যা ও যৌন ভাবে অক্ষম ও পঙ্গু করে গোটা মানবজাতিকে চারিত্রিক নৈতিক অধঃপতন সহ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে । আর এত উচ্চহারে ও উচ্চ সংখ্যায় আত্মহত্যা কিসের পরিচায়ক ও নির্দেশক ? আত্মহত্যা তীব্র হতাশা , প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও বিকৃতি এবং যন্ত্রণা বোধ থেকে উৎসারিত। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার এই উচ্চহার ও উচ্চ সংখ্যা প্রমাণ করে যে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দারা তীব্র ভাবে হতাশ ও নিরাশ । বিশ্বের সবচেয়ে তথাকথিত উন্নত ও ধনী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত ও মানসিক সমস্যাক্লিষ্ট দেশও বটে । আর সেই সাথে প্রমাণিত হয় যে মার্কিন জাতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে হতাশা গ্রস্ত ও নিরাশ জাতি‌ ।

তাহলে এ থেকে কি প্রমাণিত হয় না যে এই পশ্চিমা জগৎ বা পাশ্চাত্য যার চূড়ান্ত রূপ বা নমুনা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতা বস্তা পচা জিনিস ছাড়া আর কিছু কী ?!!! অথচ বিভিন্ন অপশ্চিমা দেশে পশ্চিমাদের পা চাটা কুত্তা সদৃশ ভক্ত ও অনুরক্তরা এই বস্তা পচা পুঁতি দুর্ঘন্ধময় পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং তারা দেশে দেশে এই বস্তাপচা অমানবিক পাশ্চাত্য সভ্যতা প্রসারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ? এরা সুস্পষ্ট রূপে চিহ্নিত। তাই এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ শুধু যুগের ন্যায্য দাবি।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .