অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা সাকলাইন গাজী
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্ব,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
গত পর্বে আমরা তাক্বওয়ার বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছিলাম এবং এই ওয়াদা করেছিলাম যে আরও কিছু হাদিসের কথা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। কোন ভূমিকা না করে সরাসরি মূল লেখায় চলে আসি।
তৃতীয়: হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: ভালো কর্ম করার চেষ্টা করো, যদি ভালো কাজ নাও করতে পারো, আল্লাহের নাফরমানি করো না। কেননা, যে ব্যক্তি বসতবাড়ির জন্য ভিত্তি স্থাপন করে এবং তা ভাঙে না। তার গৃহ নির্মিত হয়ে যায়, যদিও তা ধিরে ধিরে হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি ভিত্তি স্থাপন করে , তা ভাঙতে থাকে, হতে পারে তার গৃহ কখনোই নির্মাণ হবে না।
চতুর্থ: জান্নাতের বৃক্ষ দহন করার আগুন।
হযরত রসূলে খোদা (স.) বলেছেন: যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহ বলবে, আল্লাহ তাঁর জন্য জান্নাতে একটি বৃক্ষ রোপন করেন। এই কথা শোনা মাত্রই কুরাইশের এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হয়ে বললো, যদি এমন হয় তাহলে তো জান্নাতে আমাদের অনেক বৃক্ষ হয়ে গিয়েছে। হযরত রসূলে খোদা (স.) বললেন, অবশ্যই, কিন্তু তোমরা খেয়াল রেখো , এখান থেকে অগ্নি পাঠিয়ে যেন সবকিছু কে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিও না।
পঞ্চম: হিংসা ঈমান কে শেষ করে দেয় যেমন আগুন কাঠ কে শেষ করে ফেলে। (উসূলে কাফী)
ষষ্ঠ: হারাম খাদ্য ইবাদত কে পুড়িয়ে ফেলে।
হযরত রসূলে খোদা (স.) বলেছেন, ক্বেয়ামত দিবসে এমন একটি জামায়েত উপস্থিত থাকবে, যাদের নেক-কর্ম তাহামা পাহাড়ের ওজনের মত হবে। তবুও তাদের জন্য বলা হবে , তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হোক।এই কথা শুনে কোন এক ব্যক্তি রসূলে খোদা (স.) এর জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (স.) তাঁরা কি নামাজ পড়তো না? তিনি (স.) বললেন, হ্যাঁ, তারা নামাজ আদায় করতো, সিয়াম পালন করতো এবং রাতের কিছু সময় ইবাদতে অতিবাহিত করতো , কিন্তু যখন দুনিয়ার কোন কিছু তাদের সামনে আসতো, তার উপরে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তো। ( হারাম - হালালের কোন পার্থক্য না করে)।
সুত্র: গুনাহানে কাবীরা (আয়াতুল্লাহ দাস্তে গাইব শিরাজী র.আ.)
ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পর্বে আরও কিছু হাদীসের বাণী নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।
হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে তুমি হারাম খাদ্য গ্রহণ থেকে রক্ষা করো।