বঙ্গানুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা সাকলাইন গাজী
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃতীয় পর্ব
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
গত দুই পর্বে আমরা মোটামুটি ছয়টি রেওয়াত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।এই পর্বে তাক্বওয়ার আরও কিছু রেওয়াত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
সপ্তম: মানুষের অধিকার হরণ করলে আমল কবুল হয়না।
হযরত রসূলে খোদা (স.) বলেছেন: আল্লাহের পক্ষ হতে আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে , আমি যেন আমার জাতিকে সাবধান করি, তোমরা আমার কোন ঘরে (মসজিদ) এমতাবস্থায় প্রবেশ করো না , যে তোমাদের কাঁধে আমার কোন বান্দার পাওনা/হক্ব (অধিকার) রয়ে গিয়েছে।যদি তারা নামাজেও দাঁড়ায় আমি (আল্লাহ) তাদের উপরে অভিশাপ (লানত) দিতে থাকবো , যতক্ষন না তারা আমার বান্দার অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে।
অষ্টম: রেওয়াতে বর্ণিত হয়েছে,
যেমন ভাবে মাটিতে পেরেক লাগানো থাকে তুমি যদি তেমন ভাবেও নামাজ পড়ো ।রোজা রেখে যদি শুষ্ক কাঠের মত এবং ধনুকের মত বেঁকে যাও। তবুও আল্লাহ তায়ালা তোমার থেকে কোন আমল কবুল করবে না, যতক্ষন না তুমি গুনাহ থেকে বিরত থাকার তাক্বওয়া অর্জন করে নিচ্ছো।
নবম: গুনাহ করলে দোয়া কবুল হয়না।
একদা জনাবে মূসা (আঃ) তাঁর এক সাহাবির নিকট থেকে কোথাও যাচ্ছিলেন, দেখলেন সে সিজদাতে আছে। যখন তিনি নিজের কাজ সম্পন্ন করে ফিরছিলেন তখনও তিনি দেখলেন সে ব্যক্তি সিজদাতেই আছে। জনাবে মূসা (আঃ) বললেন, যদি তোমার প্রয়োজনীয়তা পূরণ আমার হাতে থাকতো আমি পূরণ করে দিতাম, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহের ওহী অবতীর্ণ হলো। হে মূসা, যদি এই ব্যক্তি এত সিজদা করে যে তার গলা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়, তবুও যতক্ষন না এই ব্যক্তি আমার পছন্দনীয় কাজ করবে, এবং আমার নাফরমানি থেকে বিরত থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তার দোয়া কবুল করবোনা।
(অর্থাৎ বোঝা গেল গুনাহ করলে দোয়া কবুল হয়না।)
সুত্র: গুনাহানে কাবীরা (আয়াতুল্লাহ দাস্তে গাইব শিরাজী র.আ.)
ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পর্বে আরও কিছু হাদীসের বাণী আপনারদের সামনে উপস্থাপন করবো।।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলি মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম।