রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তূফানুল আকসার ১০০ তম দিবস : ১৪ জানুয়ারি,২০২৪ ছিল গাযা ইসরাইল যুদ্ধ বা তূফানুল আকসা অভিযানের ১০০ তম দিবস।
আগ্রাসী দখলদার হানাদার গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে
গাযাবাসী ফিলিস্তীনীদের তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ ও জিহাদ অব্যাহত রয়েছে। এ মুক্তি যুদ্ধের ১০০ তম দিবসেও ফিলিস্তীনী প্রতিরোধ মুজাহিদরা গাযা থেকে আশদূদ্ সহ বিভিন্ন ইসরাইলী শহর ও বসতিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র গাযার এমন সব স্থান থেকে ছোড়া হয়েছে যেগুলো ইসরাইলের দখল ও নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ইসরাইলী সেনাবাহিনী দাবি করেছিল !!! এখন ইসরাইলী জনগণের প্রশ্ন : যদি ঐ সব অঞ্চল ইসরাইলী সেনাবাহিনীর দখল ও নিয়ন্ত্রণে থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকে ফিলিস্তীনীরা কিভাবে ইসরাইলী শহর ও বসতি সমূহে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে ও নিক্ষেপ করছে ?!!! গাযার খান ইউনুসে হানাদার দখলদার ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামাসের আল - কাসসাম ও ফিলিস্তীনী আল - জিহাদ আল - ইসলামীর আল - কুদস ব্রিগেড যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে যা ফিলিস্তীনী প্রতিরোধ মুজাহিদদের ঐক্যের প্রতীকও বটে । গাযার সকল রণাঙ্গনে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত আছে ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে তা চলছে । অন্যান্য দিবসের মত ১০০ তম দিবসেও গাযার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ট্যাংক , সাঁজোয়া যান, বুলডযার ধ্বংস করেছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা । অনেক স্থান থেকে ব্যর্থ হয়ে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর পশ্চদপসরণ করেছে। ইসরাইলী সেনাবাহিনী এই অসম যুদ্ধে গাযা অঞ্চলের ৫০% জায়গা দখল করলেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ২০% ভূমি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন যারফলে গাযা ভূখণ্ডের মাত্র ৩০% ভূমি এখন ইসরাইলী সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে যেগুলোর বেশির ভাগ হচ্ছে উন্মুক্ত জনবসতিহীন জমি ও কৃষিক্ষেত্র । ইসরাইলী সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত গাযার কোন শহর পূর্ণ দখল করতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে নি এই ১০০ দিন ধরে চলমান যুদ্ধে । ইসরাইলী ১৪ নং টিভি চ্যানেল বলেছে : " এই ১০০ দিনে গাযা থেকে ইসরাইলে ৯০০০ ক্ষেপনাস্ত্র এবং ২০০০ ক্ষেপনাস্ত্র দক্ষিণ লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলকে ছোড়া হয়েছে। "
উত্তর গাযার যে সব জায়গা ইসরাইলী সেনাবাহিনী দখল করেছিল তার অর্ধেক ভূখণ্ডই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ মুক্তি যোদ্ধারা যুদ্ধ করে দখলদার হানাদার ইসরাইলী সেনাবাহিনীর হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছেন । ১০০ তম দিবসে গাযায় ইসরাইলের নির্বিচারে বোমাবর্ষণ ও গোলাবর্ষণে শুহাদার ( শহীদদের) সংখ্যা ২৪০০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং ৬২০০০ এর অধিক আহত যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী !!!
এই ১০০ তম দিবসে গাযা দখল , হামাসের ধ্বংস ও বিলুপ্তি এবং ইসরাইলী যুদ্ববন্দীদের উদ্ধার সহ ইসরাইল তার ঘোষিত লক্ষ্য গুলোর কোনো একটিও অর্জন করতে পারে নি । যুদ্ধে এটাই হচ্ছে ইসরাইলের চরম ব্যর্থতা ও পরাজয়ের চিত্র।