হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক কেন্দ্রে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসনের জবাবে শনিবার মধ্যরাতের পর ইরান শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরাইলের ওপর হামলা চালায়।
নিউইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে লিখেছে, ছয় মাসের গাজা যুদ্ধে হামাস ও তার মিত্ররা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিল তার চেয়ে ইরানের পাল্টা হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ছিল বেশি পরিশীলিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সরকার হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ দ্বারা উত্পাদিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেটের মুখোমুখি হয়েছিল, যার রেঞ্জ ১২ থেকে ২৫ মাইল এবং সিরিয়া থেকে ১০০ মাইল পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র দেখেছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, শনিবার রাতে পাল্টা হামলায় ইরান যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা খুবই শক্তিশালী ও দ্রুতগতির ছিল।
ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে যে, এই হামলায় ১৮৫টি ড্রোন এবং ৩৫টি ক্রুজ, সেইসাথে ইরান থেকে ১১০টি সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং ইরাক ও ইয়েমেন থেকে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস নিজেই তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলায় ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ২০০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে লিখেছে, ইরান তার প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে গত কয়েক দশকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে।
এবং এটি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের বৃহত্তম মজুদ রয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক হয়ে উঠছে।