۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
যে ব্যক্তি অপরাধীকে সহায়তা দান , তার পক্ষে ওকালতি করে ও তার সাফাই গায় সেও তার (অপরাধী) অপরাধে শরীক ও অপরাধী।
যে ব্যক্তি অপরাধীকে সহায়তা দান , তার পক্ষে ওকালতি করে ও তার সাফাই গায় সেও তার (অপরাধী) অপরাধে শরীক ও অপরাধী।

হাওজা / যে ব্যক্তি অপরাধীকে সহায়তা দান , তার পক্ষে ওকালতি করে ও তার সাফাই গায় সেও তার (অপরাধী) অপরাধে শরীক ও অপরাধী।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ব্যক্তি অপরাধীকে সহায়তা দান , তার পক্ষে ওকালতি করে ও তার সাফাই গায় সেও তার (অপরাধী) অপরাধে শরীক ও অপরাধী :

ইত্তেফাক পত্রিকায় মতামত বিভাগে " ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা যুদ্ধের ইতি টানতে হবে ।" -- এ শিরোনামের প্রবন্ধে লেখক- ডেনিস রস, দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির ফেলো গাযায় ইসরাইলের গণহত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে লিখেছে যে হামাসকে পরাস্ত করার জন্য গাযায় এত ভয়াবহ সংখ্যায় ফিলিস্তিনীদের প্রাণ হারান ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না ইসরাইলের! এতদ প্রসঙ্গে সে ( ডেনিস রস ) লিখেছে : " (অপরাধে শরীক ও অপরাধী)

ইসরায়েল যে নিষ্ঠুর উভয় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তা এড়ানোর কোনো উপায় তার ছিল না। ফিলিস্তিনিরা যে ভয়াবহ সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছে তা এড়িয়ে হামাসকে পরাস্ত করার অন্য উপায় হয়তো ইসরায়েলের হাতে ছিল না।" লক্ষ্যণীয় যে এই শয়তান খবীস পিশাচ মানবতাবিরোধী লেখক ( ডেনিস রস ) ইসরাইল যে ৩৪০০০ এর অধিক গাজাবাসীকে হত্যা করেছে তা গণহত্যা বলে উল্লেখ না করে এভাবে লিখেছে যে ফিলিস্তিনীরা গাযায় ভয়াবহ সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছে !! এখন প্রশ্ন : তাহলে এ ভয়াবহ সংখ্যায় ফিলিস্তিনীদের প্রাণ হারানোর কারণ কী ? কে বা কারা তাদের প্রাণ হারানোর জন্য দায়ী? এটা হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যা নয় কি ? গণহত্যাকারী কে ? 'প্রাণ হারান' বললে গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়া যায় । ইসরাইলের অপরাধ অর্থাৎ গাজাবাসীদের গণহত্যাকে লঘু করে দেখানোর জন্য এই পিশাচ খবীস কুলাঙ্গার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল পাচাটা লেখকটি গণহত্যার পরিবর্তে ভয়াবহ সংখ্যায় গাজাবাসীদের প্রাণ হারানোর কথা উল্লেখ করেছে। শুধু তাই নয় লেখক ( ডেনিস রস) এ অপরাধ করা থেকে বিরত থাকার কোনো উপায় ইসরাইলের না থাকা উল্লেখ করে লিখেছে এ ভাবে :

" হামাসকে পরাস্ত করার জন্য ভয়াবহ সংখ্যায় গাজাবাসীদের প্রাণ হারান ( আসলে গণহত্যা ) এড়ানোর অন্য কোন উপায় নাকি ইসরাইলেরও ছিল না । " অর্থাৎ এ ভাবে লেখা ও উপস্থাপন করার মাধ্যমে ঐ গণহত্যার অপরাধ ও দায়ভার থেকেও এই পিশাচ বদমাইশ লেখাটা ( ডেনিস রস ) গণহত্যার অপরাধে অপরাধী ইসরাইলকে বাঁচানোর ব্যর্থ অপপ্রয়াস চালিয়েছে।

এরপর এই বদমাইশ পিশাচ খবীস লেখকটা ইসরাইলের জয়গাণ ও বিজয়স্তুতি গেয়ে লিখেছে এভাবে যে " ইসরাইল নাকি হামাসকে পরাজিত করেছে!"

ইসরাইল হামাসকে আসলেই পরাজিত করে থাকলে গাযা কেন দখল করতে পারে নি প্রায় সাড়ে ছয় মাস যুদ্ধ করেও ? এখনও কেন গাযায় হামাসের তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ ও সংগ্রাম চলছে? অথচ ১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব - ইসরাইল যুদ্ধে এই ইসরাইল সবচেয়ে শক্তিধর আরব রাষ্ট্র মিশরের হাত থেকে এই গাযা ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছিল মাত্র কয়েক ঘন্টায়। আর ইসরাইল কর্তৃক ১৭ বছর ধরে জলে - স্থলে - অন্তরীক্ষে আরোপিত সবচেয়ে কঠোর ও কঠিন অবরোধের শিকার ৩৫০ বর্গ কিলোমিটারের ছোট্ট ভূখণ্ডটি ( গাযা ) ৩০০,০০০ এর অধিক সৈন্য ও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও এফ -৩৫ এর মতো সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা পশ্চিমাদের সার্বিক রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন পেয়েও হারামজাদা নরপিশাচ নরপশু ইসরাইল কেন ছয় মাসাধিককাল ধরে গাযা দখল করতে পারে নি এবং হামাস ও অন্যদের হাতে ইসরাইলী যুদ্ধবন্দীদের একজনকেও উদ্ধার করতে পারেনি গাযায় দীর্ঘ সাড়ে ৬ মাসকাল প্রচণ্ড যুদ্ধ , আগ্রাসন ও নির্বিচারে ভয়ানক ও ভয়াবহ ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও গণহত্যা করেও ? !!!

হামাসকে পরাজিত করতে কেন এত মানুষকে হত্যা করতে হবে ? তার মানে গাযার অধিবাসীদের অধিকাংশই হামাস সমর্থক । তারা হামাস সমর্থক না হলে তারা হামাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে হামাসের লোকজনদেরকে ধরে ইসরাইলের হাতে সোপর্দ করত এবং জনসমর্থন বিহীন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ একদমই করতে পারত না। হামাসের গণভিত্তি ও গণ সমর্থন আছে বলেই হামাসের সাথে যুদ্ধে না পেরে গাযায় ইসরাইল গণহত্যা ও সব ধরণের যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে । এই হতচ্ছাড়া খবীস শয়তান পশ্চিমাদের ধামাধরা ও পোষ্য এই লেখক এখন প্রকাশ্যে ওর ইহুদী যায়নবাদী প্রভুর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছে। পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইসরাইল যুদ্ধে জিতার জন্য যে গণহত্যা করছে তা এই খবীস শয়তান জাহান্নামের কীট ইহুদী খৃষ্টানদের ধামাধরা ও পোষ্য লেখকটি ( ডেনিস রস) ইসরাইলের নিন্দা করছে না । এ এবং ওর প্রভুদের দৃষ্টিতে হামাসই মূল দোষী ফিলিস্তিন জবরদখল কারী ইসরাইল নয় ! এই লেখক ওর মতো তথাকথিত পশ্চিমাদের পোষ্য লেখক , বুদ্ধিজীবী ( বুদ্ধুজীবী বলাই শ্রেয় ) ও গবেষকরা আসলে বিবেকবোধ , সত্য , ন্যায় , ন্যায্য অধিকার , আদর্শ ও নিয়মনীতিতে মোটেও বিশ্বাসী নয় । এরা সব বস্তুবাদী শয়তানী শক্তির পূজারী । এরা বিশ্বাস করে যে যে শক্তিশালী সেই সত্য ও ঠিক । দুর্বলের সাথে সত্য নেই। দুর্বল অবশ্যই ক্ষমতাবান শক্তিধরদের পদানত থাকবে এবং তারা (শক্তিধরগণ ) যদি প্রয়োজনে দুর্বলদের পদদলিত , পিষ্ঠ চূর্ণবিচূর্ণ,ধ্বংস ও মেরে কেটে সাবার করেও দেয় তাহলে সেটাই হবে ঠিক , সত্য ও ন্যায়

!! এই লেখকের দৃষ্টিতে ন্যায্য অধিকার হত , ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত , অত্যাচারিত , নিগৃহীত , বাস্তু - ভিটা থেকে বলপূর্বক বহিষ্কৃত উচ্ছেদ কৃত ফিলিস্তিনী জনগণ ও সকল ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগঠন , দল ও যোদ্ধারা হল যালেম , দোষী ও অপরাধী এবং যায়নবাদী ইহুদী বাদী , দখলদার জবরদখলকারী , চরম বর্ণ- বৈষম্যবাদী , গণহত্যাকারী , মানব শিশু ও নারী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলীরা মযলূম ও হকদার !!!

তাই এই হতচ্ছাড়া খবীস শয়তান অভিশপ্ত মাল'ঊন লেখকটি ( ডেনিস রস ) ইসরাইল কর্তৃক গাযায় গণহত্যা ও ঐ ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধসমূহ সমর্থন করছে এবং মানবতাবিরোধী এ জঘণ্য অপরাধে ইসরাইলের পক্ষে ওকালতি করছে ও সাফাই গাচ্ছে । আর যারা অপরাধকারীর অপরাধের সমর্থক ও তার পক্ষে ওকালতি করে ও সাফাই গায় তারাও অপরাধীর সাথে অপরাধে অংশীদার এবং একসমান অপরাধী । আর অপরাধী গণহত্যাকারী ইসরাইলকে সমর্থন এবং ইসরাইলের গণহত্যার পক্ষে ওকালতি করে ও সাফাই গেয়ে এই হতচ্ছাড়া খবীস ইবলীস শয়তান লেখকটি( ডেনিস রস ) গাযযায় গণহত্যা ও সবধরণের যুদ্ধাপরাধে ইসরাইলের সাথে শরীক ও যুদ্ধাপরাধী । ইসরাইল গণহত্যা সহ সব ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ করেই যাচ্ছে গাযায় ।

কোথায় গেল এই লেখক ( ডেনিস রস ) , ইসরাইল ও এর পশ্চিমা সদা প্রভুদের সত্য , ন্যায় , গণতন্ত্র , স্বাধীনতা , মানবাধিকার, মানবতা ও মানবতাবাদের মুখরোচক বুলি ও গীত ?!! এই লেখক ইসরাইল ও পশ্চিমাদের মতোই মানবতাবিরোধী এবং মানবতার বড় দুশমন (শত্রু)। জানোয়ারের চাইতেও অধম এ সব অসভ্য নির্লজ্জ কপট মুনাফিকের মুখে স্বাধীনতা , গণতন্ত্র, সত্য -ন্যায় , মানবতাবাদ ও মানবাধিকারের বুলি ও শ্লোগান মোটেও শোভা পায় না । যেন তা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনি উচ্চারণেরই অনুরূপ।

ইত্তেফাক কিভাবে এই হতচ্ছাড়া বদমাইশ লেখকের (ডেনিস রস ) ইসরাইলের গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া এ প্রবন্ধটা অনুবাদ করে পত্রিকায় ছাপাতে পারল ? এ প্রবন্ধটা ছাপিয়ে আসলে এ পত্রিকাটিও (ইত্তেফাক) কি ইসরাইল কর্তৃক গাযায় গণহত্যার অপরাধে শরীক ও অপরাধী হতে চাচ্ছে ?!!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .