হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়াদিল্লি ১৯/ এপ্রিল
মদিনার জান্নাতুল-বাকী কবরস্থান, যাতে নবী পরিবারের মহান ব্যক্তিত্ব এবং নবীর সাহাবীদের কবর রয়েছে, ১৯২৫ সালে পবিত্র হিজাজের উপর আলে সৌদ পরিবারের ক্ষমতা আসার সাথে সাথে ধ্বংস করে ফেলে বিগত এক শতাব্দী ধরে ইসলামী উম্মাহ এবং আল্লাহর রাসুল প্রেমিক ও আহলে বাইত প্রেমিকরা এই ঐতিহাসিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিরাম প্রতিবাদ করে আসছে এবং সৌদি সরকারের কাছে এর পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
তদনুসারে আহলে বাইত কাউন্সিল ইন্ডিয়া এবং অল ইন্ডিয়া শিয়া কাউন্সিল বাবুল ইলম, ওখলা বিহার, নয়াদিল্লিতে একটি প্রতিবাদ সভা ও মজলিসের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে মজলিসে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইমামিয়া হলের ইমাম মাওলানা শেখ মমতাজ আলী বলেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে আলে সৌদ তাদের ক্ষমতার শুরু থেকেই পবিত্র হিজাজ, মক্কা ও মদিনায় ইসলামের নিদর্শনগুলোকে মুছে ফেলা শুরু করে যেটিতে আহলে বাইত এবং সাহাবীদের স্মারক বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, শুধু জান্নাতুল-বাকীই নয়, মক্কার জান্নাতুল মওয়াল্লাহর মতো ঐতিহাসিক কবরস্থানও ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
সর্বভারতীয় শিয়া কাউন্সিলের সভাপতি মাওলানা জিনান আসগর মাওলায়ী তার বক্তৃতায় বলেছেন যে জান্নাতুল বাকীর ধ্বংস গত শতাব্দীর রসুল প্রেমিক ও তাঁর পরিবারের হৃদয়ে একটি ক্ষতের মতো, যার বিরুদ্ধে সর্বদা প্রতিবাদ করা হবে।
মাওলানা সৈয়দ মেহেদী জায়েদী বলেন, সৌদি সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে আমরা যত দ্রুত সম্ভব জান্নাতুল বাকী নির্মাণের দাবি জানাই।
আহলে বাইত কাউন্সিলের সেক্রেটারি মাওলানা জালাল হায়দার নাকভী বলেছেন যে জান্নাতুল-বাকী ধ্বংসের পর ১০০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।
এই উপলক্ষে, সর্বভারতীয় শিয়া কাউন্সিলের আবেদনে, সকল অংশগ্রহণকারী জান্নাতুল-বাকী নির্মাণের জন্য স্বাক্ষর প্রচারে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে তেলাওয়াতের দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা আলী কাউসার কাইফী এবং সুজখওয়ানি পরিবেশন করেন রাইস হায়দার জাইদী।
মজলিসে মাওলানা তালিব হুসাইন, মাওলানা সাজ্জাদ রব্বানী, মাওলানা আজহার আব্বাস সাংখানভী, মাওলানা মির্জা ইমরান আলী, মাওলানা মির্জা ইরফান আলী, কামার আব্বাস সরস্বীসহ বিপুল সংখ্যক মুমিনগণ অংশ নেন।