রিপোর্ট: সৈয়দ বাকির মাজলিসী রিজভী (ছাত্র আল মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান)
তারিখ- ১ জুন, ২০২৪
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,
ভূমিকা:
ইরানে নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে বহির্বিশ্বে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। বিশেষ করে পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রায়ই শোনা যায় যে ইরানে নারীরা অত্যন্ত দমন-পীড়নের শিকার। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সম্প্রতি ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সদর দপ্তরে একজন নারী কাজ করছেন, যা নারীদের ক্ষমতায়নের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
মূল প্রতিবেদন:
ইরান একটি প্রাচীন সভ্যতা এবং ঐতিহ্যবাহী সমাজ হলেও, সেখানে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। অনেক সময়েই বিদেশি মিডিয়ায় ইরানের নারীদের অবস্থা সম্পর্কে একপেশে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়। তবে ইরানের ভেতরের বাস্তবতা বেশ ভিন্ন।
সম্প্রতি তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার অফিসে এক নারী কর্মী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এই ঘটনাটি ইরানে নারীদের কাজের সুযোগ এবং স্বাধীনতার এক উদাহরণ হিসেবে দাড়িয়েছে। ফটোগ্রাফগুলোতে দেখা যায় যে তিনি পুরো প্রক্রিয়াটি আত্মবিশ্বাসের সাথে সম্পন্ন করছেন।
এছাড়াও, ইরানে নারীরা বিভিন্ন পেশায় যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক এবং এমনকি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ইরানি নারীরা আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন অর্জন করে আসছেন।
ইরানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে নারীদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। যদিও কিছু সামাজিক ও আইনি বাধা রয়েছে, ইরানের নারীরা তাদের প্রতিভা ও ক্ষমতার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে।
উপসংহার:
ইরানের নারীরা যে স্বাধীন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে, তা প্রমাণিত বাস্তবতা। তাদের সাফল্য ও অগ্রগতি সারা বিশ্বের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। ইরানের নারীদের ক্ষমতায়ন এবং স্বাধীনতা নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার ভুল ধারণা ভাঙতে হবে এবং তাদের প্রকৃত চিত্রটি সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।
এমন ফটোগ্রাফ ও উদাহরণগুলোই প্রমাণ করে যে ইরানের নারীরা বাস্তবে কতটা স্বাধীন এবং সক্ষম। ইরানের নারীদের এই অগ্রগতির কাহিনী বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার সময় এসেছে।