۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত
এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত

হাওজা / মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে নতুন প্রজন্ম প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্সিং বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ যেন ব্যাহত না হয় তেমন ব্যবস্থা করে গ্রামীণ অঞ্চলে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার নিষ্ক্রিয় রাখার প্রস্তাব করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে নতুন প্রজন্ম প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকার দলীয় এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত রাতে শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার উপায় খুঁজতে বলেছেন।

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে কুমিল্লা-৭ আসনের এই এমপি বলেন, রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ারগুলো নিষ্ক্রিয় রাখার উপায় খুঁজতে হবে।

প্রাণ গোপাল বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি সবসময় প্রযুক্তির পক্ষে। আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে, স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু আমাদের ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থাৎ যেভাবে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার হচ্ছে, আমার মনে হয় না আর বেশি দিন আমাদের এই প্রজন্ম প্রতিবন্ধী না হয়ে থাকতে পারবে। বিল গেটস নিজে বলেছেন উনি ওনার সন্তানকে ১৬ বছরের আগে মোবাইল ফোন স্পর্শ করতে দেননি। মার্টিন কুপার এক বছর আগে বলেন, আমি যদি জানতাম যে একজন ব্যক্তি, এই প্রজন্ম মোবাইল ফোনের সঙ্গে ৫-৬ ঘণ্টা আঠার মতো লেগে থাকবে, তাহলে এটা আবিষ্কার করা আমার জন্য একটা নির্মম ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি।

‘একই সঙ্গে বুকার প্রাইজ উইনার হাওয়ার্ড জ্যাকবসন বলেন, আগামী ২০ বছর পরে বিশ্বের জনসংখ্যা লেখাপড়ায় প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে, তারা প্রযুক্তি চালাতে পারবে কিন্তু কম্পোজিশন করতে পারবে না, কোনো কিছু শিখতে পারবে না। সুতরাং কোনোভাবে মোবাইলের কোনো একটা অ্যাপ তৈরি করে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ারগুলো নিষ্ক্রিয় করা যায় কি না অথবা সেই মোবাইল টাওয়ার যাতে ব্যবহৃত না হয় মানে ফ্রিল্যান্সিং বা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিকল্প পথ ছাড়া অন্য কোথাও যেন ব্যবহৃত না হয় সেই ক্ষেত্রে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।’ বলেন কুমিল্লা-৭ আসনের এই এমপি।

প্রাণ গোপাল বলেন, আমার রোগীর সংখ্যা যেভাবে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে, ১০ বছর থেকে শুরু করে সবারই একটা কথা কানে শো শো করে, ভু ভু করে, কানে শুনি না, লেখাপড়ায় মন দিতে পারি না। তাহলে আমরা কোথায় চলে যাচ্ছি। এই জায়গা থেকে কোনো কিছু একটা আবিষ্কার করা উচিত যেন রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজ একটু দূরে থাকে।

তিনি বলেন, শিক্ষার বিষয়ে ১০০ বছরের কথা চিন্তার কোনো বিকল্প নেই। এই শিক্ষা পেতে হলে দরকার একটা সুস্থ জাতি। সেই জাতির জন্য প্রয়োজন মেডিকেশন। আমাদের এই স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে অনেকেই অনেক সমালোচনা করেন। তারপরও কিন্তু বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা যে খুব কম উন্নতি লাভ করেছে তা আমি স্বীকার করবো না। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেকটাই উন্নতির পর্যায়ে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .