হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোনো মাদক গ্রহণ করেছেন কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক চিকিৎসক রনি জ্যাকসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কের মঞ্চে বাইডেন- ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তার এ বক্তব্য জন্ম দিয়েছে নতুন আলোচনার। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
চলতি বছর ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দেশটির সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, তীব্র বাক্যবাণে একে অপরকে ঘায়েল করছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরমধ্যেই আগামী ২৭ জুন হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঐতিহাসিক বিতর্কের প্রথম পর্ব। এদিন সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে দর্শক ছাড়াই বিতর্কে অংশ নেবেন ট্রাম্প ও বাইডেন। আর ১০ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বিতর্কটি আয়োজন করবে এবিসি নিউজ। বিতর্কের মঞ্চে মুখোমুখি হওয়ার আগেই বাইডেনের মাদক পরীক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক চিকিৎসক রনি জ্যাকসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্মক্ষমতা-বর্ধক পদার্থ গ্রহণ করতে পারেন বলে সংশয় থেকেই এমন পরামর্শ বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে জ্যাকসন হোয়াইট হাউসে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাইডেনের মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তার মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’
স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া ২০২০ সালেও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তার মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। এবার জ্যাকসনের মন্তব্য ট্রাম্পের সেই দাবির পালে নতুন হাওয়া দিল।
কখনো হোঁচট খাওয়া বা কখনো সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে আসে ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের শারীরিক দুর্লতার বিষয়টি। শুধু তাই নয়, খেই হারিয়ে এক প্রেসিডেন্টের জায়গায় আরেক প্রেসিডেন্টের নামও বলতে দেখা গেছে বাইডেনকে।