۹ تیر ۱۴۰۳ |۲۲ ذیحجهٔ ۱۴۴۵ | Jun 29, 2024
মহানবী (সা.) এর বিদায় হজ ও গাদীরে খুম উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানবী (সা.) এর বিদায় হজ ও গাদীরে খুম উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাওজা / মহানবী (সা.) এর বিদায় হজ ও গাদীরে খুম উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি ইতিহাসের মহা গুরুত্ববহ ও তাৎপর্যপূর্ণ দুই দিবস মহানবী (সা.) এর বিদায় হজ ও গাদীরে খুম উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারী মাদরাসা-ই আলীয়া ঢাকা এর প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ। আন্তর্জাতিক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখার প্রতিনিধি ড. শাহবুদ্দিন মাশায়েখী রাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.) এর পরে যেহেতু আর কোনো নবী আসবেন না তাই বিদায় হজের ভাষণে আমাদের প্রিয় নবী তার উম্মতদের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়ে যান। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেন, তোমরা যতদিন পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না।

বিদায় হজের পর রাসূল (সা.) মদিনায় ফেরার পথে গাদির-এ খুম নামক স্থানে আল্লাহর নির্দেশে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হযরত আলীকে (আ.) সকল মুমিনদের নেতা বা মাওলা হিসেবে মনোনীত করেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার ৮০ মতান্তরে ৮৪ দিন পর আল্লাহর রাসূল (সা.) মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। বিদায় হজ সমাপনের পর তিনি মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন এহরাম পরা অবস্থায়। সঙ্গে ছিল সোয়া লাখ সাহাবি। পথে ১৮ জিলহজ মদিনার নিকটবর্তী গাদির-এ খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলে পবিত্র কুরআনের শেষ আয়াতের আগের আয়াত তথা সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'হে রসূল, পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ দেখান না।'

আল্লাহর পক্ষ থেকে এই নির্দেশ নাজিলের পর, রাসুল (সা.) গাদির-এ খুম নামক স্থানে আল্লাহর ওই ঘোষণাটি উম্মতকে জানিয়ে দেন অভিষেক উৎসবের আয়োজন করে। যখন রাসূল (সা.) গাদির-এ খুম নামক এলাকায় এসে থামলেন, তখন তিনি সবাইকে একত্রিত করলেন, হজরত আলীর (আ) হাত ধরে উপরে তুললেন এবং জনতার উদ্দেশে বললেন, তোমরা কি জান, আমি মুমিনদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি আওলা বা প্রিয়? লোকেরা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমি যাঁর মাওলা এই আলীও তাঁর মাওলা। হে আল্লাহ যে তাঁকে বন্ধু বানায় তুমিও তাঁকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কর, আর যে তাঁর সঙ্গে শত্রুতা করে তুমিও তাঁকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসানুল হাদী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের সুফী সারোয়ার মোস্তফা আবুলউলায়ী, ঢাকার বসুন্ধরা সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহ সুফী এইচ এম হানীফ নূরী, আহলে বায়েত গবেষক ও খতিব মাওলানা হাফেজ ফুয়াদ আল-মাহদী আল-ফারুকী, ভারতের মেদেনিপুর দরবার শরীফের মাওলানা মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইলাম ক্বাদেরী এবং বিশ্ব মানবতা ও সংহতি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী খান। অনুষ্ঠানে অনুবাদকের দায়িত্ব পালন করেন ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখার প্রশিক্ষণ ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আলী নওয়াজ খান প্রমুখ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .