হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান 'সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্র' করছিল দাবি করে মার্কিন মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তেহরান। সম্প্রতি ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে ইরান কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের বরাতে গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সিএনএনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কিছুদিন আগে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছিল, ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে ইরান। এ কারণে সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা জোরদার করেছিল সিক্রেট সার্ভিস।
কিন্তু, নিরাপত্তা বাড়ানোর পরও গত শনিবার (১৩ জুলাই) পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্পের ওপর হামলা এড়ানো যায়নি। এ ঘটনায় তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান এক সমর্থক, আহত হন আরও দুজন।
তবে শনিবারের ওই ঘটনার সঙ্গে এখনো ইরানের ষড়যন্ত্রের কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে সিএনএন।
ট্রাম্পের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২০ বছর বয়সী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ‘একাই’ জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন মার্কিন তদন্তকারীরা। হামলার পরপরই সিক্রেট সার্ভিসের গুলিতে নিহত হন ওই তরুণ।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি। সেসময় এই হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বলছে, এই ঘটনার পর থেকেই ‘সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইরানের হুমকিগুলো’ নজরে রেখেছে তারা।
বুধবার ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইরান ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, মার্কিন মিডিয়ার এই ‘দূষিত’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে তেহরান।
তিনি বলেন, ইরান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সশস্ত্র হামলায় জড়িত বা এ ধরনের পদক্ষেপের ইচ্ছা থাকা সম্পর্কিত দাবিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। দূষিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের জন্য এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে মনে করে তেহরান।
তবে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার আদেশ দেওয়ায় ইরান ট্রাম্পের বিচার করতে চায় বলে জানিয়েছেন নাসের কানানি।
সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা