۲۰ مهر ۱۴۰۳ |۷ ربیع‌الثانی ۱۴۴۶ | Oct 11, 2024
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
শিক্ষাক্রম এমন হওয়া উচিত যেন তা দক্ষ মননশীল সুশীল শিক্ষিত নাগরিক উপহার দেয়।

হাওজা / শিক্ষাক্রম এমন হওয়া উচিত যেন তা দক্ষ মননশীল সুশীল শিক্ষিত নাগরিক উপহার দেয়।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইত্তেফাকের এ খবর সংক্রান্ত মন্তব্য ও প্রস্তাব : সঠিক শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। শিক্ষার নামে হাবিজাবি কুশিক্ষা সত্যি অন্যায়। আবার অকার্যকর শিক্ষা প্রণালীও ঠিক নয় ।

শিক্ষাক্রম এমন হওয়া উচিত যেন তা দক্ষ মননশীল সুশীল শিক্ষিত নাগরিক উপহার দেয়। সে যেন নিজের কর্মসংস্থান নিজেই করতে সক্ষম হয় নিজের বেকারত্ব নিজেই ঘুচাতে পারে। হ্যাঁ দেশ , রাষ্ট্র , সরকার , সমাজ , পরিবার , আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধব যেন তাঁকে তাঁর কর্মসংস্থান, কর্মজীবন ও পেশায় সক্রিয় সাহায্য , সহযোগিতা ও সহায়তা করে । সবাই যদি পরস্পরকে সঠিক সাহায্য , সহযোগিতা ও সহায়তা করে তাহলে বেকার সমস্যা বহুলাংশে সমাধান করা সম্ভব । আর দক্ষতা সৃষ্টিকারী কার্যকর জীবন ও বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে বেকার সমস্যা থাকার কথা নয় ।

যে শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষিত অদক্ষ বেকার তৈরি করে তা আসলে অকেজো অকার্যকর শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা । এ ধরনের শিক্ষাক্রম ও ব্যবস্থার সংস্কার ও পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়। সঠিক ধর্মীয় ও নীতি নৈতিকতামূলক শিক্ষা যেন অবশ্যই উপেক্ষিত না থাকে । আসলে ব্যবহারিক বাস্তব জীবনমুখী দক্ষতা সৃষ্টিকারী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারবে না যদি না সঠিক ধর্মীয় ও নীতি - নৈতিকতামূলক জ্ঞান ও শিক্ষা বিদ্যমান না থাকে ।

ধর্মীয় ও নীতিনৈতিকতা মূলক শিক্ষা নিছক ব্যক্তিগত পারিবারিক বিষয় নয় বরং সামাজিক , সামষ্টিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ও বটে । আর এটা যদি ঠিক না হয় তাহলে কিছুই ঠিক হবে না। বস্তুবাদী শিক্ষাক্রম ও ব্যবস্থা পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যে মারাত্মক ক্ষতিকর ধ্বংসাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পৃথিবীর প্রকৃতি পরিবেশের ধ্বংস সাধন থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে হানাহানি, যুদ্ধ , অন্যায় ,অত্যাচার , অনাচার ও অশান্তি ছড়িয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি সমূহ ।

গাযায় পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সাহায্য , সহযোগিতা ও সমর্থন পুষ্ট আগ্রাসী গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী মানবতার শত্রু ইসরাইল বর্বর আক্রমণ ও আগ্রাসন চালিয়ে ৪০০০০ মানুষকে হত্যা এবং ৯০০০০ এর অধিককে আহত করেছে এই গত ১০ মাস ধরে যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী । ইসরাইল পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত ৮১০০০ টন বোমা , গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্বিচারে ব্যবহার করে ২৩ লাখ গাজাবাসীর ঘরবাড়ি, বাসস্থান , স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা , মসজিদ , গির্জা হাসপাতাল , কলকারখানা সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষের ওপর উপুর্যপরি বোমাবর্ষণ করেই যাচ্ছে এবং খাদ্য , ওষুধ , পানি , জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রায় সকল গাযাবাসীকে আশ্রয় ও সহায় সম্বল হীন দুর্ভিক্ষ কবলিত শরণার্থীতে পরিণত করেছে ! অথচ বিশ্ববাসী প্রতিবাদ করেও কিছুই করতে পারছে না । আর মানবাধিকার , গণতন্ত্র , বাক স্বাধীনতা, সভ্যতা , নীতি - নৈতিকতার ভণ্ড ও মিথ্যা দাবিদার অমানবিক অমানুষ পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছুই করছে না বরং ইসরাইলকে সাহায্য করেই যাচ্ছে এবং ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ওয়ার মেশিনকে সক্রিয় রাখছে যাতে এই অপরাধী মানবতা বিরোধী সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী মেকি যালেম রাষ্ট্রটি (ইসরাইল ) তার সকল অপরাধ ও অপকর্ম করেই যায় ।

আসলে এ ধরনের নিছক বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার কি কোনো মূল্য আছে যা পশ্চিমাদেরকে বিশেষ করে মার্কিনদেরকে এমন নরাধম , হিংস্র পশুর চেয়েও হিংস্রতর , অধিক পাশবিক ও অধম নররূপী পশু ও জানোয়ারে রূপান্তরিত করেছে । এ ধরনের চরম বস্তুবাদী শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা কি কল্যাণকর ? আর তা প্রবর্তন করলে আমরাও তো ঐ পশ্চিমা বস্তুবাদীদের মতোই এ ধরনের হিংস্র নরপশু ও রক্তপিপাসু হায়নায় রূপান্তরিত হব কি ? নারীধর্ষণ ও লাঞ্ছনা , নির্যাতন এবং অবৈধ অবাধ যৌন সম্পর্কে সয়লাব পাশ্চাত্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্মগ্রহণকারী শিশুদের ৪২% হচ্ছে জারজ ( অবৈধ সন্তান )( দ্রঃ Eurostar News)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নারীদের এক তৃতীয়াংশ জীবনে ধর্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নারী ছাত্রীদের ৬০% যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছে ( দ্রঃ ডেইলি মেইল অনলাইন Nearly 60% of female students say they have been sexually assaulted at university , surveys reveals / daily mail . co .uk ) ব্রিটেনের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় বস্তুবাদী শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে নারী নির্যাতন কেন্দ্রেও রূপান্তরিত হয়ে গেছে !!! ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতি তিন নারীর একজন অথবা ১৮৫ মিলিয়নের মধ্যে ৬১ মিলিয়ন শারীরিক অথবা যৌন ভায়োলেন্স অথবা উভয়টারই শিকার হয় ১৫ বছর বয়স থেকেই । যখন পুলিশের ওপর আস্থা নিম্ন পর্যায়ে তখন ভিক্টিমরা সম্ভবতঃ ভায়োলেন্সের কম

রিপোর্ট করে থাকে। দেখুন : Combatting violence against women in Denmark

আরেক উন্নত বস্তুবাদী দেশ জাপানের অবস্থা : Sexual assault in Japan ' Every girl was victim ( Al Jazeera, 8-3-2017 ) : জাপানে যৌন আক্রমণ প্রতিটি মেয়েই ভিক্টিম । জাপানের গণ পরিবহন সমূহে স্কুলগামী মেয়েদের ওপর যৌন হামলা সাধারণ বিষয় । তবে এখন আরো বেশি মেয়েরা এ ব্যাপারে কথা বলছে। ধর্ষণ অপরাধে সেরা দশের মধ্যে রয়েছে ১. দক্ষিণ আফ্রিকা , ২. সুইডেন, ৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ৪. ব্রিটেন, ৫.ভারত , ৬. নিউজিল্যান্ড, ৭.কানাডা , ৮. অস্ট্রেলিয়া, ৯ জিম্বাবুয়ে , ১০.ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড ( দ্রঃ ধর্ষণে শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্র - কানাডা, ব্রিটেন ও ভারত । গবেষণায় আরো ভয়াবহ তথ্য হলো : প্রতি বছর সুইডেনের জনগোষ্ঠীর ৬৮% ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার অপরাধীদের ৯৮ ভাগই কোনো দিন বিচারের সম্মুখীন হয় না । জর্জ ম্যান ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৩ জন নারীর ১ জন পুরো জীবনে একবার হলেও ধর্ষণের শিকার হন । ( দ্রঃ দৈনিক যুগান্তর , ২৬-১০-২০১৬ ) । স্মর্তব্য যে যে সব নারী ধর্ষণ ও যৌন আক্রমণের শিকার হয় তাদের প্রায় সবাই মানসিক আঘাত ও এ অবস্থার দু:স্বপ্ন ও স্মৃতি সমগ্র জীবন বয়ে বেড়ায় ।

তাই দেখা যাচ্ছে এ ধরনের বস্তুবাদী ভোগবাদী শিক্ষাক্রম ও ব্যবস্থা পশ্চিমা ইউরোপীয়দেরকে এবং প্রাচ্যদেশীয়দেরকে পশুর পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। আর সেই ধরনের শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা যে দেশেই বলবৎ থাকবে সে দেশের অবস্থা কেমন হবে ? অতএব চাক্ষুষ্মান চিন্তাশীল বুদ্ধিমান জ্ঞানী বিবেকবান ব্যক্তিগণ ! ভাবুন ও চিন্তা করুন ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .