হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলী সংবাদ মাধ্যম বলছে : ইসরাইলী ফরেনসিক বিভাগের পরিচালিত শহীদ সিনওয়ারের দেহের পোস্ট মর্টেম পরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে : " শহীদ মুজাহিদ কম্যান্ডার ইয়াহইয়া সিনওয়ার শাহাদাতের আগে তিন দিন না খেয়ে ছিলেন ! "
ভুখা ফাকা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় শাহাদাতের শরবত পান করে মহান আল্লাহর দীদার ( সাক্ষাৎ: লিকা উল্লাহ্ ) করেছেন ইয়াহইয়া সিনওয়ার । ধন্য ইয়াহইয়া সিনওয়ার।
হে শহীদ মুজাহিদ কম্যান্ডার!
তোমার ওপর সালাম। জিহাদের ইহদাল হুসনায়াইন দুটো উত্তম পুরস্কারের ( বিজয় ও শাহাদাত - এ দুটো উত্তম পুরুষ্কার) একটি অর্থাৎ শাহাদাত পেয়েছ তুমি। তুমি মহান আল্লাহর পথে নিবেদিত মুজাহিদ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত যারা জীবিত অমর এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক প্রাপ্ত যদিও আমরা যারা বস্তুবাদী দুনিয়ার ঘূর্ণাবর্তে মৃতবৎ তা উপলব্ধি করি না !! বীর মুজাহিদ মুক্তিযোদ্ধা তুমি আল - কুদস ও ফিলিস্তিন মুক্ত ও স্বাধীন করার সংগ্রাম ও জিহাদে ছিলে আত্মনিবেদিত ও আত্মোৎসর্গ কারী । সুলাইমানী , আবূ মাহদী , হানিয়ে, নাসরুল্লাহ ও সকল ফিলিস্তিনী, লেবাননী , সিরীয় , ইরাকী, ইরানী, ইয়ামানী শহীদের মতো তুমি কুদসের শহীদ , তুমি কুদসের শহীদ , তুমি কুদসের শহীদ ( শহীদুল কুদস ) । প্রথম কিবলা ও হারামুল আম্বিয়া অর্থাৎ বাইতুল মুকাদ্দাস উদ্ধারের পথে স্বীয় প্রাণ উৎসর্গ করেছ তুমি । মুসলিম বিশ্ব ও উম্মাহর ঢাল হয়েছ তুমি। তোমার পথ ও মত ( মাকতাব) হোক চিরস্মরণীয় এবং দুআ কর আমরাও যেন তোমাদের কুদসের শহীদানের রক্ত লাল কাফেলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তৌফিক ও সৌভাগ্য লাভ করতে পারি । আমরাও যেন তোমাদের সাথে মিলিত হতে পারি । হিংস্র রক্তপিপাসু নেকড়ে - হায়েনার পালের ( ইসরাইলী সেনাবাহিনী )
বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে আমৃত্যু লড়েছ তুমি। মৃত্যু অবধারিত জেনেও সংগ্রামের শেষ পর্যায়ে অস্ত্র হিসেবে লাঠি ছুড়ে মেরেছিলে তুমি। ঐ লাঠিটা ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী বরং ক্ষেপণাস্ত্র শুধু করে বাহ্যিক প্রলয় ও ধ্বংস। কিন্তু তোমার লাঠি করেছে শত্রুর অন্তর ও মনোবল খর্ব ও ধ্বংস এবং তোমাকে পরিণত করেছে কিংবদন্তির মহা সমর নায়কে ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান