রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান।
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইল কেন ২৫ টা মারাত্মক ফাইটার জেট কিনতে যাচ্ছে বোয়িং এর কাছ থেকে ? এর কারণ হচ্ছে যে গত ১লা অক্টোবরে ( ১-১০-২০২৪ ) ইরানের ওয়া'দায়ে সাদিক্ব ( সত্য প্রতিশ্রুতি) - ২ অভিযানে ইসরাইলের ২৫ থেকে ৩০ টি ফাইটার জেট ধ্বংস হয় দক্ষিণ ইসরাইলের নেকেব মরু এলাকায় অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে বড় ও সুরক্ষিত নেভাতীম বিমান ঘাঁটিতে যা ইরান দাবি করেছিল কিন্তু ইসরাইল তা স্বীকার করে নি । এখন ইসরাইল বলছে যে বোয়িং কোম্পানির সাথে বর্ধিত দূর পাল্লার ( লং রেঞ্জ ) এবং বেশি পরিমাণে পেলোড ( বোমা , গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ) ধারণ ও বহনে সক্ষম মারাত্মক ভয়াবহ এ সব এফ ১৫ জঙ্গি বিমান ক্রয়ের চুক্তি ইরানের জন্য বড় অসুবিধা ,বিপদ ও ট্রাবল হবে। এক কথায় এ সব অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান চট করে হুট করে তৈরি, ক্রয় ও তাহভীল ( ডেলিভারি) দেওয়া সম্ভব নয় । এগুলো ( এ সব অত্যাধুনিক ফাইটার জেট) নির্মাণ করতে দীর্ঘ সময় দরকার এবং বিরাট ব্যয় বহুল। আর বি -৫২ এবং বি সিরিজের জঙ্গি বিমান সমূহ তো এ সব অত্যাধুনিক ফাইটার জেটের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী ও আধুনিক। কিন্তু এ সব বি সিরিজের বিমান দিয়ে খোদ মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এই দুই সপ্তাহ আগে ইয়ামানের হুসি আনসারুল্লাহর অবস্থান সমূহের ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছিল । কিন্তু বাস্তবে সবাই দেখতে পেয়েছে যে হুথি আনসারুল্লাহর তেমন কিছু ক্ষতি করতে পারে নি মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বি সিরিজের ভয়ঙ্কর বোমারু বিমান সমূহ । আর হুথি আনসারুল্লাহ শক্তি ও ক্ষমতার দিক থেকে ইরানের সাথে তুলনাই করা যায় না । হুথি আনসারুল্লাহ ঐ হামলার পরেও অনেক বড় বড় আক্রমণ করেছে লোহিত সাগর ও ইসরাইলে । তার মানে হুথিদের সক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে ঐ বি বোমারু বিমানের হামলার পরেও। আর ইসরাইল এই অত্যাধুনিক ফাইটার জেট এনে কী ট্রাবল ও অসুবিধা তৈরি করবে ইরানের জন্য ? এই সব ফাইটার জেট গত এক বছরের
অধিক কাল ধরে বিরতি হীন ভাবে গাযা ও লেবাননে ব্যবহার করেও গাযা ও দক্ষিণ লেবানন দখল করতে পারে নি বরং হামাস ও হিযবুল্লাহর হাতে রণাঙ্গনে প্রচণ্ড মার খেয়েই যাচ্ছে যার প্রমাণ হলো ইসরাইলের সৈন্য ঘাটতি, গোলাবারুদ ও বোমা ঘাটতি, মিসাইল ঘাটতি , ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের ঘাটতি ও অভাব !
এগুলো হচ্ছে প্রচার যুদ্ধ যা ইসরাইল ও পশ্চিমারা ইরানের বিরুদ্ধে করছে।