হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত ফাতিমা জাহরা (আ.)-এর শাহাদাতের স্মরণে হযরত আয়াতুল্লাহ হাফিজ বাশির হুসাইন নাজাফীর নেতৃত্বে ফাতিমীয়া মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি নাজাফ আশরাফের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে হযরত আমীরুল মুমিনীন (আ.)-এর মাজারে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে হাওজা ইলমিয়া নাজাফ আশরাফের বিপুল সংখ্যক আলেম, শিক্ষক, ছাত্র ও মুমিনগণ অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলে হযরত আমীরুল মুমিনীন (আ.) ও ইমাম জামানা (আ.)-এর খেদমতে অংশগ্রহণকারীরা হযরত ফাতেমা (সা.)-এর শাহাদাতের সমবেদনা পেশ করেন।
ফাতিমীয়া শোক দিবস; আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি আনুগত্যের নবায়ন।
এ উপলক্ষে আয়াতুল্লাহ বাশির হুসাইন নাজাফী বলেন, ফাতেমিদের শোকের পুনরুজ্জীবন আহলে বাইতের প্রতি আনুগত্য এবং প্রকৃত মুহাম্মদী ইসলামের নবায়নের বাস্তব প্রকাশ। তিনি বলেন, হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.) তার পিতা মহানবী (সা.)-এর দ্বীন রক্ষায় অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন।
সাইয়্যেদা জাহরা (সা.) মানবতার পরিপূর্ণতার প্রতীক
তিনি আরও বলেন, সাইয়্যেদা ফাতিমা জাহরা (রা.) মানবতার জন্য এক আদর্শ উদাহরণ। তারা আল্লাহর মানদণ্ডের মূর্ত প্রতীক, যা মানুষের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি নারীদেরকে অনুকরণীয় কন্যা, স্ত্রী ও মা হিসেবে হজরত জাহরার আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান।
ফাতিমীয়া শোক দিবস: পবিত্র আচার রক্ষা করা
আয়াতুল্লাহর ছেলে ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম শেখ আলী নাজাফী মিছিল সম্পর্কে বলেন, এই বার্ষিক মিছিল সব ধরনের জুলুম ও সন্ত্রাসকে অস্বীকার ও নির্দোষতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, সাইয়্যিদা জাহরা (সা.)-এর ওপর সংঘটিত নৃশংসতা ছিল প্রকৃতপক্ষে ইসলামী উম্মাহর উপর যে সমস্ত দুঃখ-কষ্টের সূচনা হয়েছিল।
আনুগত্য ও ত্যাগের বার্তা
হুজ্জাতুল ইসলাম শেখ আলী নাজাফী আরও বলেন, ফাতিমীয়া শোক দিবস হল আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার অবিরাম ঘোষণা। এটি একটি নিশ্চিতকরণ যে ন্যায়বিচারের জন্য আত্মত্যাগ অব্যাহত থাকবে, কারণ হজরত জাহরা (আ.) তার পিতার ধর্ম রক্ষায় আত্মত্যাগ করেছিলেন।
মিছিলের সমাপ্তি
এই মিছিলটি আমিরুল মুমিনীনের মাজারে শোক সমাবেশ দ্বারা অনুষ্ঠান শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হযরত আলী (আ.)-এর খেদমতে সমবেদনা পেশ করেন।