হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, দখলদার ইসরায়েলের সামরিক অভিযান দক্ষিণ লেবাননে এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধের কারণে ইসরায়েলের জন্য খিয়াম শহর দখল কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে বলে জানায় আল মায়াদিন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননের ৯টি স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। দেইর মিমাস এবং আল-বাইয়াদাহ এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে ক্ষেপণাস্ত্র ও মেশিনগানের ব্যবহার দেখা গেছে।
ইসরায়েলি ক্ষয়ক্ষতি:
এসব সংঘর্ষে হিজবুল্লাহ তিনটি ইসরায়েলি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। যা খিয়াম শহরের পূর্ব দিকে, চামার পশ্চিম দিকে এবং আল-জিব্বাইন শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এর ফলে লেবাননে ইসরায়েলি স্থল আক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ধ্বংস হওয়া মেরকাভা ট্যাংকের সংখ্যা বেড়ে ৫৪-তে পৌঁছেছে।
খিয়াম শহরের লড়াই:
খিয়াম শহর দখলের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেও ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনী ৭ দিনের প্রচেষ্টার পরও এই শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। এর মধ্যে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর ২১০তম ডিভিশনের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি আরোপ করতে সফল হয়েছে।
উত্তর ফিলিস্তিনে রকেট হামলা:
এদিকে দখলকৃত উত্তর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় এবং বসতিগুলোতে ক্রমাগত রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ। রোববার সকালে ইসরায়েলের মেতুলা বসতিতে প্রায় ৬০টি রকেট আঘাত হেনেছে।
হিজবুল্লাহর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে কিরিয়াত শমোনা, আবিভিম, দিশোন এবং মেরন। এছাড়া গোলানি ব্রিগেডের প্রধান ঘাঁটি এবং মিশমার হাকর্মেল নামক বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিও হিজবুল্লাহর হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
ইসরায়েলের রিজার্ভ ফোর্স মেজর জেনারেল ইসরায়েল জিভ বলেছেন, লেবাননে সামরিক চাপ আমাদের জন্য বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে। এক পর্যায়ে এই চাপ স্বাভাবিক হয়ে গেলে প্রতিপক্ষ শক্ত অবস্থানে থাকবে এবং সমঝোতার পথ রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
লেবাননের পরিস্থিতি:
এদিকে লেবাননের ওপর ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩,৬৪৫ জন নিহত এবং ১৫,৩৫৫ জন আহত হয়েছে। লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলি সামরিক কার্যক্রমের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
লেবানন সীমান্তের এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের জন্য নতুন কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
সূত্র: আল-মায়াদিন