۴ آذر ۱۴۰۳ |۲۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 24, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

ভারতীয় উপমহাদেশের আলেম সমাজ ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক জবরদখল হলে দারুল হারব এবং বিধর্মী খ্রিষ্টান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ প্রবর্তিত ঈমান হরণকারী সেক্যুলার বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা হারাম বলে ঘোষণা দিয়ে আসলে সর্বহারা ও বঞ্চিত ভারতীয় মুসলমানদের ঈমান ও অস্তিত্বই রক্ষা করেছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শোষণ কবলিত

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: পর্ব ১- ভারতীয় উপমহাদেশের আলেম সমাজ  ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক জবরদখল হলে দারুল হারব এবং বিধর্মী খ্রিষ্টান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ প্রবর্তিত ঈমান হরণকারী সেক্যুলার বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা হারাম বলে ঘোষণা দিয়ে আসলে সর্বহারা ও বঞ্চিত ভারতীয় মুসলমানদের ঈমান ও অস্তিত্বই রক্ষা করেছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শোষণ কবলিত

হওয়ার আগে ভারত বর্ষে বিশেষ করে সূবেহ বাংলায় হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের বিদ্যা শিক্ষার উৎকৃষ্ট ব্যবস্থা ছিল । প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার লিখেছেন : " টমাস বাউরী ( ১৬৬৯ - ৭৯ খ্রী: ) বাঙালী ব্রাহ্মণের মানসিক উৎকর্ষের বিশেষ প্রসংশা করিয়াছেন । যাঁহারা নব্যন্যায়ের জন্য সমগ্র ভারতবর্ষে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন , এ প্রসংশা ন্যায্যত তাঁহাদের প্রাপ্য । এই প্রসঙ্গে ইহাও উল্লেখযোগ্য যে অন্যান্য অনেক বিষয়ে হীন হইলেও বাঙালী চরিত্রের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের স্পৃহা , এবং হিন্দু - মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েই বিদ্যাশিক্ষার উৎকৃষ্ট ব্যবস্থা ছিল ।" ( দ্র : রমেশচন্দ্র মজুমদার , বাংলাদেশের ইতিহাস , ২য় খণ্ড  ( মধ্যযুগ ) , ধর্ম ও সমাজ , পৃ : ২২৭ , পঞ্চম সংস্করণ , মার্চ ১৯৯৮ পরিমার্জিত সংস্করণ : ২০০৫ , প্রকাশক : শ্রী সুরজিৎ চন্দ্র দাস , জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যাণ্ড পাব্লিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড , কলিকাতা , ভারত )

আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসন শোষণের আগে  সুলতানী , মুঘল ও নবাবী আমলে সাধারণ মানুষের অবস্থা ও ব্রিটিশ আমলে সাধারণ মানুষের অবস্থার মধ্যে তূলনা করে রমেশ চন্দ্র মজুমদার লিখেছেন : " তবে ভাত কাপড়ের দু:খ হয়ত বর্তমান যুগের ( ব্রিটিশ আমল ও তৎপরবর্তী যুগ ) অপেক্ষা কম ছিল ।(( দ্র : বাংলাদেশের ইতিহাস , ২য় খণ্ড ( মধ্যযুগ ) , পৃ :১৬৪ )) " আর এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ব্রিটিশ শাসন ও শোষণে ভারতবর্ষ তথা বাংলার সাধারণ মানুষের ভাত কাপড়ের দু:খ অর্থাৎ অভাব ও দারিদ্র্য তীব্র ও শোচনীয় আকার ধারণ করেছিল ।

 ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের আগে বাংলার কয়েক শতাব্দী ধরে বিকাশিত উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে রমেশচন্দ্র মজুমদার লিখেছেন : " স্বাধীন সুলতানী আমলে অর্থাৎ দ্বাদশ হইতে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ধন - সম্পদে বিশেষ সমৃদ্ধ ছিল । দেশের শস্য সম্পদ , শিল্প ও বাণিজ্যই ইহার প্রধান কারণ । আর একটি রাজনীতিক কারণও ছিল ।

সপ্তদশ শতকের আরম্ভেই মুঘল শাসন বাংলাদেশে দৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইহা মুঘল সাম্রাজ্যের একটি সুবায় পরিণত হয় । ইহার পূর্বে চারি শতাব্দীতে বাংলাদেশ অধিকাংশ সময়ই স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল । এই সময় বাংলার সম্পদ বাংলায়ই থাকিত , সুতরাং বাংলাদেশ খুবই সম্পদশালী ছিল । …চলবে…

تبصرہ ارسال

You are replying to: .