۴ آذر ۱۴۰۳ |۲۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 24, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

অপর দিকে মুঘল যুগে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ হইয়া শান্তি স্থাপন ও উৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থার ফলে কৃষি , বাণিজ্য , শিল্প প্রভৃতির উন্নতি হইয়াছিল ।

পর্ব ২- অপর দিকে মুঘল যুগে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ

হইয়া শান্তি স্থাপন ও উৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থার ফলে কৃষি , বাণিজ্য , শিল্প প্রভৃতির উন্নতি

হইয়াছিল ।

... মধ্যযুগে বাংলার ঐশ্বর্য ও সম্পদ প্রবাদ বাক্যে পরিণত

হইয়াছিল । বাংলা সাহিত্যে ধনী নাগরিকদের বর্ণনায় বিস্তৃত প্রাসাদ , মণিমুক্তাখচিত বসনভূষণ এবং স্বর্ণ , রৌপ্য ও মূল্যবান রতনের ছড়াছড়ি । বৈদেশিক বর্ণনায়ও ইহার সমর্থন পাওয়া যায় । পঞ্চদশ শতকে চীনা রাষ্ট্রদূতেরা বাংলায় আসিয়াছিলেন । তাহাদের বিবরণ

হাতেও এ দেশের সম্পদের পরিচয় পাওয়া যায় ।

.... মধ্যযুগের শেষ ভাগে অষ্টাদশ শতাব্দীতে সরকারী কাগজপত্রে বাংলাদেশকে বলা

হইত ভারতের স্বর্গ । ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধি , প্রাকৃতিক শোভা , কৃষি ও শিল্পজাত দ্রব্যসম্ভার , জীবনযাত্রার স্বচ্ছলতা প্রভৃতির কথা মনে করিলে এই খ্যাতির সার্থকতা সহজেই বুঝা যায় । " (( দ্র : বাংলাদেশের ইতিহাস , ২য় খণ্ড ( মধ্যযুগ ) পৃ : ১৫৫ - ১৬৩ )) । তাই মধ্যযুগে একটানা ৬ শতাব্দী ধরে বাংলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি , প্রবৃদ্ধি ও শ্রীবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত । কিন্তু এই তারিখের পর থেকে বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কুশাসন , দু:শাসন , কালা শাসন , শোষণ ও বঞ্চনা শুরু হলে বাংলার সেই উন্নতি , প্রবৃদ্ধি , শ্রীবৃদ্ধি ও প্রগতি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে ও এদেশের ঐশ্বর্য ও ধন - সম্পদ ব্রিটিশ বেনিয়া ও তাদের দেশী বশংবদ তল্পি বাহকদের হাতে লুন্ঠিত  এবং এ দেশ ও জাতি পশ্চাদপদ অনুন্নত দারিদ্র্য ক্লিষ্ট দুর্ভিক্ষ কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত সর্বহারা জাতিতে পরিণত হয় যার যাতনা , গ্লানি ও দু:খ

আজও ভারতবর্ষ এবং আমরা ( বাংলার অধিবাসীরা ) ব্রিটিশ রাজের রেখে যাওয়া  উত্তরাধিকার হিসেবে ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছি !! 

প্রাকৃতিক দুর্যোগকে খুব চতুরতার সাথে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ও কাজে লাগিয়ে ভারতে ও বাংলায় মুহুর্মুহু বহু মারাত্মক দুর্ভিক্ষের প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছে ১৯০ বছরের অপরাধী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক ও কর্তৃপক্ষ যারফলে ৩০ মিলিয়ন বাংলার অধিবাসী ( ১৭৫৭ - ১৯৪৭ এই ১৯০ বছরে ) মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে । আসলে প্রাকৃতিক কারণের চাইতেও দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অনীহা , গাফিলতি ও কর্তব্য অবহেলায় এত অধিক সংখ্যক মৃত্যুর কারণ যা যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বললে অত্যুক্তি হবে না । …চলবে…

تبصرہ ارسال

You are replying to: .