হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: হযরত আয্রাইল (আঃ)-এর হৃদয় বিদারক কথা। আয়াতুল্লাহ শহীদ দাস্তগাইব (রহঃ) তাঁর “দাস্তানহাই-এ- শিগাফত্” নামক গ্রন্থে যিয়ারাতে আশুরার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন যা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
নাজাফ শহরের একজন ধর্মীয় আলেম প্রায় একশত বছর পূর্বে হযরত আয্রাইল (আঃ)-কে স্বপ্নেতে দেখেন। সালাম নিবেদনের পরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন : আপনি কোথা থেকে আসছেন? প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন :
শিরায থেকে মির্যা ইব্রাহিম মহল্লতির রুহ কবজ করে আসছি।
তিনি জিজ্ঞাসা করেন :
তাঁর আত্মা কোন অবস্থায় আছে?
তিনি (আঃ) বলেন :
বরজখের সেরা অবস্থানে এবং সেরা উদ্যানগুলিতে। আর মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর সেবা করার জন্য এক হাজার ফেরেশতা নিয়োগ করেছেন।
নাজাফের ওই আলেম জিজ্ঞাসা করেন : তাঁর পণ্ডিত প্রচেষ্টা, শিক্ষাদান এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ফলে তিনি কি এই পদে উপনীত হয়েছেন??
হযরত আয্রাইল (আঃ) বলেন : না! তিনি আবারো জিজ্ঞাসা করেন :
আচ্ছা জামায়াতের সাথে নামায পড়ার এবং শরীয়তের বিধিবিধানের ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণ কী?
তিনি (আঃ) বলেন : না।
তিনি আবারও জিজ্ঞাসা করেন : তাহলে ওই উচ্চ পদ তিনি কিভাবে লাভ করলেন?
হযরত আয্রাইল (আঃ) বলেন :
যিয়ারাতে আশুরা পড়ার কারণে।
বর্ণিত আছে যে, প্রয়াত মির্যা মহল্লতি তাঁর জীবনের শেষ তিরিশ বছর যিয়ারাতে আশুরা কখনই ত্যাগ করেন নি এবং যখনই অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে তিনি নিজে পড়তে না পারতেন, তখন কাউকে নিজের প্রতিনিধি নিয়োগ করে নিজের তরফ থেকে যিয়ারাতে আশুরা পড়াতেন।#
দাস্তানহায়ে শিগাফত্ হেকায়েত ১১০
(হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফে আশরাফ ইরাক)