۲۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 10, 2024
সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রিজভী

অনেকেই সুন্নাত ও মুস্তাহাবকে আলাদা আলাদা ভাবে বিচার করেন, যার ফলে এক ধরণের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তাই আল্লাহর আহকাম বা নির্দেশসমূহ বুঝতে হলে এ বিষয়টিও বুঝতে হবে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী : পর্ব ৪- অনেকেই সুন্নাত ও মুস্তাহাবকে আলাদা আলাদা ভাবে বিচার করেন, যার ফলে এক ধরণের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তাই আল্লাহর আহকাম বা নির্দেশসমূহ বুঝতে হলে এ বিষয়টিও বুঝতে হবে। এক হলো ‘ওয়াজিব’ কর্ম যা সম্পাদন করা অত্যাবশ্যকীয়, সম্পাদন না করলে গোনাহ এবং তা হবে শাস্তিযোগ্য। ‘মুস্তাহাব’ কর্ম হলো যা না করলে কোন গোনাহ নেই, কিন্তু করলে সওয়াবের অংশীদার হবে। অপরদিকে ‘মাকরূহ’ সেই আমলকে বলা হয় যা সম্পাদন না করলে সওয়াব, করলে কোন গোনাহ নেই। ‘হারাম’ তাকে বলা হয় যা করা নিষেধ, করলে গোনাহর ভাগীদার হতে হবে। ‘মুবাহ’ সেই কর্মকে বলা হয় যা সম্পাদন করা না করা সমান। অর্থাৎ, সম্পাদন করলে কোন সওয়াব নেই আবার না করলে কোন গোনাহ নেই। আবার এমন অনেক ‘মুবাহ’ কর্ম আছে যা সম্পাদন করার পর সম্বন্ধ বা গুরুত্বের কারণে সম্মানযোগ্য এবং তা মুস্তাহাব বা ওয়াজিবও হতে পারে। যেমন প্রতীকি ‘আলম’ (পতাকা) বা ‘তাবুত’ বানানো মুস্তাহাব কিংবা ওয়াজিব কর্ম না বরং এটি একটি ‘মুবাহ’ কর্ম। কিন্তু বানানোর পর যেহেতু হযরত আব্বাস (আঃ)-এর আলম অথবা ইমাম হোসাইন (আঃ) এর তাবুতের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে তাই সম্মানের যোগ্য । তেমনি মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার জন্য আপনার দৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি গোরস্থান থাকতে পারে। আপনি কোন গোরস্থানে দাফন করবেন এ সিদ্ধান্তটি ‘মুবাহ’। আপনি যে কোন গোরস্থানে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে পারেন। কিন্তু দাফন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উক্ত কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ওয়াজিব বলে বিবেচিত হবে।

অনেকেই বলে থাকেন “আমি মুস্তাহাব কাজ সম্পাদন করি কিন্তু সুন্নাত মানিনা”। যারা একথা বলেন তারা অজ্ঞ। তারা জানেন না যে মুস্তাহাব কর্মই ‘সুন্নাত’। জীবনের সৌন্দর্য ও বসন্ত সুন্নাতের দ্বারাই এবং জীবনের ওয়াজিব কর্ম ছাড়াও মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মুস্তাহাব কর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই মুস্তাহাব কোন আমল হোক অথবা মুস্তাহাব কোন নামাজ, এ সবকিছুই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাথেয়, জান্নাতের জামিন, মাসুমীন (আঃ)-এর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সর্বোত্তম উপায় এবং ভালবাসার উৎকৃষ্ট দলিল।

যদিও ‘সুন্নাতে রাসূল’ (সাঃ) এমন এক মুস্তাহাব আমল যার কারণে সাওয়াব অর্জন একথারই প্রমাণ বহন করে যে, এটিও শরীয়তের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) শরীয়তের শা’রে অর্থাৎ শরীয়তের বিধানদাতা। সমাপ্ত

تبصرہ ارسال

You are replying to: .