۱ خرداد ۱۴۰۳ |۱۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 21, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

রাগান্বিত হওয়া সত্ত্বেও মায়ের ধৈর্য এবং মাকে হাসিমুখে বলতে শুনবে যে ” না , কোনো অসুবিধা নেই

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান বলেন: সন্তান যখন রাগান্বিত হওয়া সত্ত্বেও মায়ের ধৈর্য এবং মাকে হাসিমুখে বলতে শুনবে যে ” না , কোনো অসুবিধা নেই ।

এটা কিছু না । ” যখন বাবাকে কঠোর হাড়ভাঙা পরিশ্রম ও খাটুনি করার পরেও আদব ও শিষ্টাচারের সাথে আচরণ করতে দেখবে তখন বয়স দশ বছর বেড়ে গেলে যে বুদ্ধি ও পরিপক্কতা আসে ঐ শিশু তাএক মুহূর্তের মধ্যে অর্জন করবে অর্থাৎ শিশু তার শিশুসুলভ অপরিপক্বতা থেকে বের হয়ে আসবে এবং পরিপক্ক হবে । এক মনস্তত্ত্ববিদ তিনটি শিশুকে তিনটা মিষ্টি দিয়ে বললেন : আমি এক ঘন্টা পরে তোমাদের কাছে আসব ।

যে তার মিষ্টি খাবে না তাকে আমি পুরস্কার দেব । তিনি সেখান থেকে বের হয়ে গেলে সাথে সাথে একটি বাচ্চা মিষ্টি খেয়ে ফেলে । আরেকজন বার বার মিষ্টির দিকে তাকাচ্ছিল কিন্তু মিষ্টি খাচ্ছিল না । অবশেষে সে নিজেকে আর সামলাতে না পেরে মিষ্টিটা খেয়েই ফেলে। তৃতীয় বাচ্চাটা মিষ্টির দিকে না তাকিয়ে অন্য তাকাচ্ছিল এবং এ ভাবে সে শেষ পর্যন্ত আর মিষ্টি খায় নি । ঐ মনস্তাত্ত্বিক তাঁর এ পরীক্ষাটা ৯০০টা শিশুর উপর চালিয়েছিলেন এবং যারা ধৈর্য ধরে মিষ্টি খায় নি তাদের নাম এবং যারা ধৈর্য ধারন করতে না পেরে মিষ্টি খেয়ে ফেলেছিল তাদের নাম ও স্কুলের ঠিকানা লিখে রেখেছিলেন ।

এর ঠিক ১৫ বছর পর তিনি ঐ ৯০০ জনের খোঁজ নিয়ে দেখতে পান যে যারা ধৈর্য ধারণ করে মিষ্টি খায় নি এমনকি গড় পরতা মেধার অধিকারী হয়েও জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং সাফল্য অর্জন করেছে । আর যারা ধৈর্য ধারন করতে পারে নি এবং মিষ্টি খেয়ে ফেলেছিল তারা হয় মাদকাসক্ত হয়ে গেছে বা জীবনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বা নানা সমস্যা ও জটিলতায় জড়িয়ে গেছে (এমনকি তাদের মধ্যে অনেকেই মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও) ।

তাই , বাবা-মায়ের ধৈর্য , সহিষ্ণুতা ও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা সুষ্ঠু শিশু প্রতিপালন ও সঠিক তরবিয়তের এক অন্যতম মুখ্য কারণ ও ফ্যাক্টর । আর তাদের ( পিতা মাতা ) ধৈর্যহীনতা ও অসহিষ্ণুতা সন্তানের সুষ্ঠু তরবিয়ত ও প্রতিপালনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ও অন্তরায় । সমাপ্ত

تبصرہ ارسال

You are replying to: .