হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলাঃ তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতালা ইরশাদ করেন,
وَمِنَ الَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهٖ نَافِلَةً لَّكَ ۖ عَسٰۤى اَنۡ يَّبۡعَـثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحۡمُوۡدًا...
"এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করো, এটা তোমার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার রব (এতে) তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন!"
)সূরা বনী ইসরাইল- ৭৯(
আল্লাহতালা অন্যত্র ইরশাদ করেন,
وَالَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَامًا.
'‘আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।’'
(সূরা আল ফুরকান- ৬৪)
অন্যত্র এরশাদ করেন,
أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُو الْأَلْبَابِ
"যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের আশংকা (ভয়) রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না); বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।
)সূরা জুমার- ০৯(
_রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন,_ ''ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।''
(মিশকাতুল মাসাবিহ- ১১৬৭/২)
তিঁনি (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ''তিন ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ খুশি হন (হাসেন); যথাঃ
১. যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের জন্য উঠেন এবং নামাজ পড়েন।
২. সেই সকল জনতা, যারা নামাজের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।
৩. মুজাহিদ যারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।"
(মিশকাতুল মাসাবিহ- ১১৬০/২)
আল্লাহতালা আমাদেরকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের তওফিক দান করুক এবং তাঁর প্রিয় বান্দারের দলে সামিল করে নিক। আমিন।
লেখাঃ রাসেল আহমেদ রিজভী