۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۹ شوال ۱۴۴۵ | Apr 28, 2024
ইমাম বাক্বির ( আ:) এর শাহাদাত
ইমাম বাক্বির ( আ:) এর শাহাদাত

হাওজা / ইমাম বাক্বিরকে ( আ:) বিষ প্রয়োগ করলে তিনি ১১৪ হিজরীর ৭ যিল হজ্জ ৫৭ বছর বয়সে পবিত্র মদীনা নগরীতে উমাইয়া খলীফা হিশাম ইবনে আব্দুল মালেকের শাসনামলে শাহাদাত বরণ করেন ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ২- ইমাম সাদিক ( আ:) বলেন : যখন কোনো বিষয় আমার পিতাকে ( ইমাম বাক্বির আ: ) দু:খ দিত তখন তিনি পরিবারের সকল নারী ও শিশুকে একত্রিত হওয়ার আদেশ দিতেন । অত:পর তিনি প্রার্থনা ( দুআ ) করতেন এবং তারা সবাই আমীন বলতেন ।

ইমাম সাদিক (আ:) বলেন : আমার পিতা মহান আল্লাহর অনেক যিকর করতেন । কখনো কখনো আমি তার সাথে যেতাম । তখনও ( আমি দেখতাম যে ) তিনি মহান আল্লাহর যিকর করতেন । এমকি যখন তিনি জনগণের সাথে কথা বলতেন তখনও তিনি মহান আল্লাহর যিকর ( স্মরণ ) করা থেকে গাফেল ( অমনোযোগী ) থাকতেন না ।

আমি সবসময় দেখতাম যে তাঁর জিহ্বা নড়ছে এবং তিনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ - এর যিকর করছেন । তিনি ( আ:) আমাদেরকে জমা ( একত্রিত ) করে সূর্য্যোদয় পর্যন্ত মহান আল্লাহর যিকর করার নির্দেশ দিতেন ।

আর আমাদের মধ্য থেকে যে কেউ পবিত্র কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত তাকে তিনি আয়াত তিলাওয়াত করার আদেশ দিতেন এবং যারা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করতে পারত না তাদেরকে তিনি যিকর করার নির্দেশ দিতেন । ( দ্র : নিগাহী বার যিন্দিগীয়ে চাহর দাহ মাসূম (আ:) , পৃ: ২১৪ - ২১৫ )

হালাল রিযক ও রূযী ( বৈধ জীবিকা নির্বাহ ও আয় উপার্জন )  ইমাম বাক্বিরের (আ:) দৃষ্টিতে মহান আল্লাহর আনুগত্য করার শামিল ।

একদা ইমাম বাক্বির ( আ:) কৃষি কাজ তদারক করার জন্যে এমন এক সময় পবিত্র মদীনার আশেপাশে যাচ্ছিলেন তখন তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি এবং আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত গরম। 

পথিমধ্যে ইমাম বাক্বিরের ( আ:) সাথে মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদিরের সাক্ষাৎ হয় । তখন সে নিজেকে নিজে বলল : কুরাইশী বংশীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ( ( ইমাম বাক্বির ( আ:) )এই তপ্ত গরম আবহাওয়ায় পার্থিব সম্পদ আহরণ ও অর্থ উপার্জনের জন্য বের হয়েছেন !!  তাই সে মনে মনে ইমামকে নসিহত ( উপদেশ ) করার সিদ্ধান্ত নেয় !! এ জন্য সে ইমামের নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে সালাম দেয় ।

ইমাম ও  টানা নি:শ্বাস প্রশ্বাস নিতে নিতে এবং ঘর্মাক্ত অবস্থায়  তাকে সালামের জবাব দেন । তখন  মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির বলল :  মহান আল্লাহ আপনার কাজ কর্ম  ঠিকঠাক করে দিক। কুরাইশ বংশের এক গণ্যমান্য ব্যক্তি এই গরম আবহাওয়ায় দুনিয়া অন্বেষণের জন্য বের হয়েছেন । এমতাবস্থায় যদি আপনার মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন আপনি কী করবেন ?

তখন ইমাম বাক্বির ( আ :) বললেন : মহান আল্লাহর শপথ , এই অবস্থায় যদি আমার কাছে মৃত্যু উপস্থিত হয় তাহলে তা আমার কাছে এমন এক অবস্থায় উপস্থিত হলো যে আমি তখন মহান আল্লাহর আনুগত্যে মশগুল রয়েছি । কারণ আমি এ কাজের ( কৃষি ) মাধ্যমে  তোমার ও তোমার মতো লোকদের প্রতি নিজেকে মুখাপেক্ষী করা থেকে বিরত রাখতে

সক্ষম হচ্ছি । নিশ্চয়ই  তখন আমি মৃত্যু বরণ করতে ভয় পাব যখন আমি মহান আল্লাহর কোনো না কোনো নাফরমানি ও বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত থাকব ।

যখন মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির ইমাম বাক্বির (আ:) এর কাছ থেকে

এ জবাবটা শুনল তখন সে বলল :

মহান আল্লাহ আপনার উপর দয়া করুক । আমি আপনাকে নসিহত করতে চেয়েছিলাম । কিন্তু আপনি আমাকে হিতোপদেশ দিলেন । ( দ্র : প্রাগুক্ত , পৃ : ২১৩ - ২১৪ )

মহান আল্লাহ আমাদের জীবনে  আমাদেরকে ইমাম বাক্বিরের (আ:) সিরৎ , শিক্ষা ও আদর্শের অনুসরণ করার তৌফিক দিন। সমাপ্ত

লেখা: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .