হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ১- (ছাত্র) ড. খালিদ নাউফিল নামে জর্দানের শরিয়াত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার জন্য আসতেন।
আমি একমাত্র ছাত্র ছিলাম যে শিয়া মাযহাবের অনুসারী হয়েও তার ক্লাসে অংশ গ্রহণ করতাম। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিয়া মাযহাবের ব্যাপারে তার অন্তরে যে গােঁড়ামি ছিল তা প্রকাশ করতেন। একদিন তার সাথে নবীর (সাঃ) বারজন খলিফা ও তাঁর স্থলাভিষিক্তের ব্যাপারে আলােচনা করেছিলাম; আপনারাও তা শুনুন ও বিচার করুনঃ
শিক্ষকঃ আসলে হাদীস গ্রন্থসমূহে এমন ধরনের কোন হাদীসই নেই যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, 'আমার পরে আমার বারজন খলিফা আছে।' এ ধরনের হাদীস পরবর্তীতে তৈরী করা হয়েছে।
ছাত্রঃ প্রসঙ্গত আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন নির্ভরযােগ্য গ্রন্থে এই হাদীসটি বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে এরূপে যে, নবী (সাঃ) বলেছেন,
الخلفاء بعدي عشر بعدد نقباء بني اسرائيل و كلهم من قریش
"আমার পরের খলিফা হচ্ছেন, বনি ইসরাঈলে বারজন নুকবাগণের সংখ্যা অনুসারে আর তারা সকলেই হচ্ছেন কুরাইশ সম্প্রদায়ের থেকে।''
[সহীহ মুসলিম, কিতাবুল আম্মারা, খণ্ড-৪, পৃঃ- ৪৮২; মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড-৫, পৃঃ- ৮৬, ৮৯, ৯০, ৯২; মুসতাদরাকে সাহীহাইন, খণ্ড-৪, পৃঃ-৫০১; মাজমায়ে হিইছামী, খঃ-৫, পৃঃ-১৯০ ও ...!]
সুতরাং এই দলিলের ভিত্তিতে আপনাদের নির্ভরযােগ্য গ্রন্থসমূহেই এই হাদীস এসেছে।
শিক্ষকঃ যদি ধরে নেই যে, এই হাদীসটি গৃহীত হয়েছে। তাহলে তােমাদের শিয়াদের দৃষ্টিতে সেই বারজন খলিফা কারা?
ছাত্রঃ বিভিন্ন হাদীসের নির্ভরযােগ্য দলিল ও রেওয়ায়েতের মাধ্যমে আমদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, তাঁরা হচ্ছেন যথাক্রমেঃ
১. আমিরুল মুমিনিন আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ),
২. হাসান ইবনে আলী (আঃ),
৩. হুসাইন ইবনে আলী (আঃ),
৪. আলী ইবনুল হাসাইন (জয়নুল আবিদীন আঃ),
৫. মুহাম্মদ ইবনে আলী (আল বাকির) (আঃ),
৬. জাফর ইবনে মুহাম্মদ (আস সাদিক) (আঃ),
৭. মুসা ইবনে জাফার (আল কাযিম (আঃ),
৮. আলী ইবনে মুসা (আর রেযা (আঃ),
৯. মুহাম্মদ ইবনে আলী (আল জাওয়াদ) (আঃ),
১০. আলী ইবনে মুহাম্মদ (আল হাদী) (আঃ),
১১. হাসান ইবনে আলী (আল আসকারী) (আঃ),
১২. হজ্জাত ইবনুল হাসান, ইমামে যামান হযরত মাহদী (আজ্জালাল্লাহ তায়ালা ফারাজাহুশ শারিফ)।…চলবে…
সংগ্রহ ও সংকলনঃ রাসেল আহমেদ রিজভী