হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ২- আহলে বাইত কারা : আহলে বাইতের মর্যাদার ব্যাপারে সকলেই একমত তবে আহলে বাইত কারা এ ব্যাপারে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। নবী (সাঃ)এর আহলে বাইতকে চেনার একমাত্র পথ হচ্ছে হাদীস ও রেওয়ায়েত।
বিভিন্ন হাদীস ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ), হযরত আলী (আঃ), হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ), ইমাম হাসান (আঃ) ও ইমাম হোসাইন (আঃ) হচ্ছেন আহলে বাইত। জালালউদ্দিন সূয়ূতি তার তাফসীরে এ সম্পর্কে অনেক রেওয়ায়েত সনদ সহকারে নবী (সাঃ) এর সাহাবীদের থেকে বর্ণনা করেছেন।
তাবারসিও হযরত আবু সাঈদ খুদরী, আনাস বিন মালেক, ওয়াছেলা বিন আছকা, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ও উম্মে সালমা (রা.), জাবের বিন আব্দুল্লাহ ও হাসান বিন আলী (আঃ) সহ অন্যান্য সাহাবা সূত্রে এর উল্লেখ করে অসংখ্য হাদীস বর্ণনা করেছেন।
নবী পত্মী উম্মে সালমা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে তিনি নিম্নলিখিত আয়াতটির শানে নুযুল বর্ননা করতে গিয়ে বলেছেন :
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَ يُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
যখন এ আয়াতটি আমার গৃহে অবতীর্ণ হয়েছিল তখন আমার গৃহে সাতজন লোক ছিল। তারা হলেন জীবরাঈল (আঃ), মিকাইল (আঃ), নবী (সাঃ), আলী (আঃ), ফাতিমা (আঃ), হাসান ও হোসাইন (আঃ) এবং আমি ছিলাম দরজার মুখে। আমি রাসূল (সাঃ) কে প্রশ্ন করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আমি কি আহলে বাইতের মধ্যে গণ্য নই?’
উত্তরে তিনি বললেন, ‘না তুমি তাদের মধ্যে নও, তবে নিশ্চয় তুমি সঠিক পথে আছো; নিশ্চয়ই তুমি কল্যাণের মধ্যে রয়েছো; তুমি আমার স্ত্রীদের মধ্যে গণ্য।’
আনাস বিন মালেক থেকে বর্ণিত হয়েছে যে তিনি বলেছেন : ‘রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ছয় মাস পর্যন্ত ফজর নামাজের সময় ফাতিমার গৃহের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলতেন, হে আহলে বাইত, তোমাদের উপর সালাম ও দরুদ। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইচ্ছা পোষণ করেছেন তোমাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে। ’
...চলবে...
লেখকঃ মো. ফয়সাল বারী