۱۷ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۷ شوال ۱۴۴۵ | May 6, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী

হাওজা / (সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ) সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী রহঃ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় অমীয় বাণী। মায়ের সাথে সর্বদা সদাচরণ ও সদ্ব্যবহার করা।

عَنْ ذَکَرِیَّا بِنْ اِبْرَاهِیْمَ قَالَ کُنْتُ نَصْرَانِیًّا فَاَسْلَمْتُ وَحَجَجْتُ فَدَخَلْتُ عَلٰی اَبِیْ عَبْدِاللّٰهِ فَقُلْتُ اِنِّیْ کُنْتُ عَلَی النَّصْرَانِیَّةِ وَ اِنِّیْ اَسْلَمْتُ فَقَالَ وَ اَیُّ شَيْئٍ رَاِٴیْتَ فِی الْاِسْلامِ؟ قُلْتُ قَوْلَ اللّٰهِ عَزَّ وَ جَلَّ

وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِنْ أَمْرِنَا مَا كُنْتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَكِنْ جَعَلْنَاهُ نُورًا نَهْدِي بِهِ مَنْ نَشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

فَقَالَ لَقَدْْ هَدَاكَ اللّٰهُ ثُمَّ قَالَ :

اللّٰهُمَّ اِهْدِه ثَلاثًا

سَلْ عَمَّا شِئْتَ یَا بُنَیَّ

فَقُلْتُ اِنَّ اَبِیْ وَاُمِّیْ عَلَی النَّصْرَانِیَّةِ وَاَهْلَ بَیْتِیْ وَ اُمِّیْ مَکْفُوْفَةُ الْبَصْرِ فَاَکُوْنُ مَعَهُمْ وَاَکُلُ فِیْ آنِیَتِهِمْ

فَقَالَ یَاْکُلُوْنَ لَحْمَ الْخِنْزِیْرِ؟

فَقُلْتُ لا وَ لا یَمَسُّوْنَهُ

فَقَالَ لا بَآسَ فَانْظُرْ اُمَّكَ فَبَرَّهَا فَاِذَا مَاتَتْ فَلا تَکِلْهَا اِلٰی غَیْرِكَ کُنْ اَنْتَ الَّذِیْ تَقُوْمُ بِشَاْنِهَا وَلا تُخْبِرَنَّ اَحَدًا اَنَكَ اَتَیْتَنِیْ حَتّٰی تَاْتِیَنِیْ بِمِنٰی إِنْ شَآءَ اللّٰهُ قَالَ فَاَتَیْنتُه بِمِنٰی وَالنَّاسُ حَوْلَه کَاَنَّه مُعَلِّمُ صِبْیَانٍ هٰذَا یَسْاَلُه وَ هٰذَا یَسْاَلُه فَلَمَّا قَدِمْتَ الْکُوْفَةَ الْطَفْتُ لِاُمِّیْ وَ کُنْتُ اُطْعِمُهَا وَ اَفْلِیْ ثَوْبَهَا وَ رَأْسَهَا وَاَخْدِمُهَا

فَقَالَتْ لِیْ یَا بُنَیَّ مَا کُنْتَ تَضَعُ بِیْ هٰذَا وَاَنْتَ عَلٰی دَنِیْ فَمَا الَّذِیْ اَرٰی مِنْكَ مُنْذُهَا جَرَتْ فَدَخَلْتَ فِیْ الْحَنِیْفِیَّةِ

فَقُلْتُ رَجُلٌ مِنْ وَلَدِ نَبِیِّنَا اَمَرَنِیْ بِهٰذَا

فَقَالَتْ هٰذَا الرَّجُلُ هُوَ نَبِیٌّ

فَقُلْتُ لا وَ ٰلکِنَّه اِبْنُ نَبِیٍّ

فَقَالَتْ یَا بُنَیَّ اِنَّ هٰذَا نَبِیٌّ اِنَّ هٰذِه وَصَایَا الْاَنْبِیَآءِ

فَقُلْتُ یَا اُمَّهُ اِنَّه لَیْسَ یَکُوْنُ بَعْدَ نَبِیِّنَا نَبِیٌّ وَٰلکِنَّه اِبْنُه

فَقَالَتْ یَا بُنَیَّ دُیْنُكَ خَیْرُ دِیْنٍ اِعْرِضْهُ عَلَیَّ فَعَرَضْتُه عَلَیْهَا فَدَخَلَتْ فِیْ الْاِسْلامِ وَ عَلَمْتُهَا فَصَلَّتِ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاْءَ الْآخِرَةَ ثُمَّ عَرَضَ لَهَا عَارِضٌ فِیْ الَّیْلِ فَقَالَتْ یَا بُنَیَّ اَعِدْ عَلَیَّ مَا عَلَّمْتَنِیْ فَاَعَدْتَّه عَلَیْهَا فَاَقَرَّتْ بِه وَمَاتَتْ فَلَمَّا اَصْبَحَتْ کَانَ الْمُسْلِمُوْنَ الَّذِیْنَ غَسَّلُوْهَا وَکُنْتَ اَنَا الَّذِیْ صَلَّیْتُ عَلَیْهَا وَ نَزَلَتْ فِیْ قَبْرِه ۔

শেখ মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব কুলাইনী (রহঃ) নির্ভরযোগ্য সনদ সহ যাকারিয়া ইবনে ইব্রাহাহিম থেকে বর্ণনা করেন যে, যাকারিয়া বলেন : আমি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে হজ্জ করার উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা নগরে যাই। সেখানে পৌঁছে ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ)-এর সান্নিধ্যে উপস্থিত হই এবং বলি : আমি খ্রিষ্টান ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছি। তিনি (আঃ) বললেন, ইসলামের মধ্যে তুমি কি দেখেছ?

আমি বললাম : আল্লাহর এই বাণী।

وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِنْ أَمْرِنَا مَا كُنْتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَكِنْ جَعَلْنَاهُ نُورًا نَهْدِي بِهِ مَنْ نَشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

"এবং এমনিভাবে আমি আমার আমর এর মধ্য থেকে একটি রুহ আপনার দিকে ওহী করি, আপনি না কিতাব এর বিষয় জানতেন আর না ঈমানের বিষয়। তবে আমি এটিকে আলোকিত করে দিয়েছি যার দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে চাই হেদায়েত করি। আর নিঃসন্দেহে আপনি সঠিক পথ প্রদর্শক।"

সূরা শূরা, আয়াত ৫২..

স্পষ্টতই এই আয়াতটি উদ্ধৃত করে তিনি ইমাম (আঃ)-এর খেদমতে বলতে চেয়েছেন যে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণ এটাই যে, আল্লাহ তাআলা আমাকে পথনির্দেশন করেছেন। তিনি (আঃ) বললেন : আল্লাহ তাআলা তোমাকে পথ প্রদর্শন করেছেন।

অতঃপর তিনি (আঃ) তিনবার তার জন্য বললেন :

 اللْٰهُمَ اهْدِه

আল্লাহ তাআলা একে হেদায়েত করুন।

অতঃপর ইমাম (আঃ) বললেন : তুমি যা চাও জিজ্ঞাসা কর।

আমি জিজ্ঞাসা করি যে, আমার বাবা-মা এবং পরিবার খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী এবং আমার মা অন্ধ। আমি তাদের সাথে জীবন যাপন করি এবং তাদের পাত্রগুলি থেকে খাই।

তিনি (আঃ) বললেন, "তারা কি শুয়োরের মাংস খায়?"

আমি বলি : না, এমনকি তারা শুয়োরের মাংস স্পর্শও করেন না।

ইমাম (আঃ) বললেন : তোমার মায়ের প্রতি যত্নশীল হও এবং তার প্রতি সদ্ব্যবহার কর। আর যখন তিনি মৃত্যুবরণ করবেন তখন তার শবদেহ অন্যের হাতে তুলে দেবে না, বরং নিজেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে। আর আমার সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে অন্য কাউকে বলবে না এবং মেনার ময়দানে আবার আমার সাথে সাক্ষাত করবে। আর তখনও যেন কাউকে বলবে না যে, তুমি আমার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছো।

সুতরাং মেনার ময়দানে আমি ইমাম (আঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হই।আমি দেখলাম যে, লোকেরা এমন ভাবে তাঁকে ঘিরে রেখেছে ঠিক যেমন ভাবে শিশুরা শিক্ষককে ঘিরে রাখে। সবাই তাঁর (আঃ) থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে। সুতরাং আমি যখন কুফা নগরে প্রত্যাবর্তন করি তখন আমি আমার মায়ের সাথে খুবই সদয় আচরণ করতাম এবং সর্বদা তাঁর সেবায় নিযুক্ত থাকতাম। আমি তাঁকে খাদ্য খাওয়াতাম এবং তাঁর মাথা ও কাপড় পরিষ্কার করে দিতাম।

একদিন মা আমাকে বললেন : হে প্রিয় পুত্র! তুমি যখন আমার ধর্মে ছিলে, তখন আমার এতো সেবা করতে না। ইসলাম গ্রহণের পরে তুমি কেন আমার এত সেবা যত্ন করছো?

আমি বললাম : আমার নবী করিম (সাঃ)-এর এক সন্তান আমাকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন।

আমার মা জিজ্ঞাসা করলেন : তিনি কি নবী?

আমি বললাম : না, তবে তিনি (আঃ) নবীজির সন্তান।

আমার মা বললেন : এ জাতীয় ব্যক্তির পয়গম্বর হওয়া উচিত। কারণ তিনি যে শিক্ষা তোমাকে দিয়েছেন তা নবীদের নসিহত।

আমি বললাম : আম্মাজান, আমাদের নবী (সাঃ)-এর পরে আর কোন নবী নেই।

আমার মা বললেন : হে আমার পুত্র! তোমার ধর্ম সকল ধর্মের মধ্যে সবথেকে সেরা। আর আমাকে এই দ্বীনের ব্যপারে শিক্ষা দেও এবং এর ব্যাখ্যা কর।

সুতরাং আমি ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যা দিলাম এবং আমার মাও ইসলাম গ্রহণ করলেন। আমি তাঁকে দ্বীনের আদব শেখালাম। অতঃপর তিনি যোহর, আছর, মাগরিব ও এশার নামায আদায় করলেন। আর সেই রাতেই তিনি যখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলেন তখন তিনি আমাকে বললেন : হে আমার পুত্র! তুমি যা কিছু আমাকে শিক্ষা দিয়েছো তা আমার সামনে পুনরাবৃত্তি কর। সুতরাং আমি সব কিছু পুনরাবৃত্তি করলাম এবং আমার মা সব কিছু স্বীকার করলেন তথা ঐ রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। সকাল হলে মুসলমানরা তাঁকে স্নান করালেন এবং আমি তাঁর জানাযার নামায পড়লাম আর নিজেই তাঁকে কবরে শায়িত করলাম।

সূত্র, উসুল-এ-কাফী খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ২৩৩..

কেউ কতো ভাল কথাই না বলেছেন ।

آبادی میخانہ زویرانی ما است

جمعیت کفر از پریشانی ما است

اسلام بذات خود ندارد عیبی

ہر عیب کہ ہست در مسلمانی ما است

পানশালার জনসংখ্যা আমাদের দুর্দশার কারণে।

দিনদিন কাফেরের সংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের দুর্দশা ও অন্যান্য কারণেই জন্য।

ইসলামের মর্মার্থে কোন ত্রুটি নেই।

যা ত্রুটি আছে তা আমাদের মুসলমান হওয়ার মধ্যেই আছে।

লেখা: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .