۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক

হাওজা / প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পরিবারের কিছুসংখ্যক সদস্যকে আহলে বাইত বলা হয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৬- ইমাম বাকের (আঃ) কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে নবী (সাঃ) এর পর মানুষের পথ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নিস্পাপ ইমামগণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এরশাদ করেছেন, আল্লাহ বলেছেন :

إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرٌ وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ

‘অর্থাৎ নিশ্চয় (হে নবী) তুমি সতর্ককারী এবং প্রত্যেক জাতির জন্য পথ প্রদর্শক রয়েছে।’ (রা’দ : ৭)

এই আয়াত সম্পর্কে ইমাম বাকের (আঃ)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন :

‘রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ভীতি প্রদর্শনকারী। আর প্রত্যেক যুগে আমাদের আহলে বাইতের মধ্যে একজন ইমাম থাকবেন যিনি নবী (সাঃ) আল্লাহর কাছ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তার দিকে মানুষকে আহ্বান করবেন। নবী (সাঃ) এর পর প্রথম ইমাম হচ্ছেন হযরত আলী (আঃ)।

ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন :

‘সব সময়ই আল্লাহ তায়ালা আমাদের আহলে বাইতের মধ্যে থেকে কাউকে না কাউকে নির্বাচিত করেন, যে তাঁর কিতাবের আদ্যপ্রান্ত সব জানেন।’

তাঁর থেকে অন্য আরেক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে :

‘আল্লাহর কসম কোরআনের সমস্ত জ্ঞান ভান্ডার আমাদের নিকটে মজুদ রয়েছে।’

এটা মনে রাখা দরকার যে, আহলে বাইত কর্তৃক আল্লাহর বাণীসমূহকে ব্যাখ্যা দান এবং মানুষকে শিক্ষা দেয়ার বিষয়টি কোন নির্দিষ্ট আয়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট যুগের জন্যও নয়। বরং এটা সর্ব যুগের ও সর্ব কালের জন্য। এর যথার্থতা হাদীসে সাকালাইন থেকে ষ্পষ্টভাবে বোঝা যায়। কেননা ঐ হাদীসেই কোরআন ও আহলে বাইতের চিরস্থায়ী বন্ধনের কথা বলা হয়েছে যা কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

ইবনে হাজার হাইসামী কোরআন এবং আহলে বাইতের অব্যাহত বন্ধনের ব্যাপারে বলেছেন : সাকালাইনের হাদীস আহলে বাইতকে আঁকড়ে ধরার নির্দেশ দান করে এই বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করছে যে, কোরআন যেমন কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে এবং সেটাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে তেমনি আহলে বাইতও কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে এবং তাদেরকে কোরআনের মতই আঁকড়ে ধরতে হবে।

উল্লিখিত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, আহলে বাইত (আঃ) আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী এবং আল্লাহর পবিত্র বাণীর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তাদের সমতুল্য কেউ নেই। এর যথার্থতা পবিত্র কোরআনের সূরা আহযাবের ৩৩ এবং ওয়াকেয়ার ৭৭-৭৯ নং আয়াত :

 إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ * في كِتابٍ مَّكْنُونٍ * لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ 

অর্থাৎ নিশ্চয় এটি মহাসম্মানিত কোরআন যা গুপ্ত এক সুরক্ষিত গ্রন্থে আছে। পবিত্র লোকেরা ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করে না (করতে পারেনা)।

কোন কোন মুফাসসির (তাবাতাবাঈ) لا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ বাক্য কে كِتَابٍ مَّكْنُون বাক্যাংশের সিফাত (বৈশিষ্ট্য) হিসেবে বলেছেন। এই অবস্থায় আল্লাহর পবিত্র বাণীর অর্থ হবে যে, শুধুমাত্র যারা الْمُطَهَّرُونَ অর্থাৎ পবিত্র কেবল তারাই কোরআনের মূল উৎস ও এর অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। আর তাতহীরের আয়াতে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, আহলে বাইত (আঃ) হচ্ছেন সেই মুতাহ্হারুন বা পবিত্র ব্যক্তিবর্গ। অতএব তাঁরাই আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন।

ইমাম আলী (আঃ) বলেন :

‘আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সমস্ত পাপ পংকিলতা থেকে মুক্ত রেখেছেন। আমরা পৃথিবীতে মানুষের জন্য পথ প্রদর্শনকারী। আমরা সব সময় কোরআনের সাথে এবং কোরআন আমাদের সাথে; তারা কখনোই একে অপরের থেকে আলাদা হবে না।’

লেখকঃ মো. ফয়সাল বারী

تبصرہ ارسال

You are replying to: .