۲۶ شهریور ۱۴۰۳ |۱۲ ربیع‌الاول ۱۴۴۶ | Sep 16, 2024
কোনো মুসলমান কি মহররম মাসে হিজরী নববর্ষের আনন্দ-উৎসব করতে পারে?
কোনো মুসলমান কি মহররম মাসে হিজরী নববর্ষের আনন্দ-উৎসব করতে পারে?

হাওজা / নবীর (সঃ) কলেমা পড়ো অথচ তাঁর (সঃ) আহলে বাইতের প্রতি বিন্দু পরিমান মুহব্বত নেই!

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, শোকাবহ মহররমে আপনাদের হিজরী নববর্ষের মোবারকবাদ গ্রহণ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই কিসের মোবারকবাদ জানাচ্ছেন? নবুয়তের ঘর লুট করার মোবারকবাদ? নবীর (সঃ) ঘরের বাচ্চাদের হত্যা করার মোবারকবাদ? নবী (সঃ) বংশের নিতর দেহের (লাশ) উপড় ঘোড়া দৌড়ানোর মোবারকবাদ? কি কারণে এই মোবারকবাদ? কি কারণে?

নূহের (আঃ) কিস্তি পর্বতে লেগেছিল, আদমের (আঃ) তাওবাহ কবুল হওয়া, ... (?) এসব মনে রাখলেও তোমরা হুসাইনকে (আঃ) ভুলে গেলে? তোমরা ৬ মাসের আলী আসগরকে (আঃ) ভুলে গেলে? রাসূলের (সঃ) সদৃশ ১৮ বছরের আলী আকবরের (আঃ) কথা ভুলে গেলে? যে ঘরে পর্দা কায়েম হয়েছে—ফাতেমার (সাঃ আঃ) কন্যা যয়নবকে (সাঃ আঃ) পর্দাহীন করে গলিতে-গলিতে ঘুরানোর কথা ভুলে গেলে? ভুলে গেলে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় হত্যা করা মজলুমদের কথা যারা হায় তৃষ্ণা, হায় তৃষ্ণা বলে চিৎকার করে কেঁদেছিল?

তোমাদের এখনো আহলে বায়েতের প্রতি রহম আসলো না? কেমন মুসলমান তোমরা? নবীর (সঃ) কলেমা পড়ো অথচ তাঁর (সঃ) আহলে বাইতের প্রতি বিন্দু পরিমান মুহব্বত নেই! যে জুলুম বনি ইসরাঈলরা তাদের নবীদের প্রতি করেছে ঐ জুলুম তোমরা বিশ্ব নবীর (সঃ) আহলে বাইতের প্রতি করেছ!

মূলত হিজরী নববর্ষে আনন্দ বা শুভেচ্ছা বিনিময়ের দু'টি কারন।একটা প্রকাশ্য কারন এবং অন্যটা অন্তর্নিহিত কারন।প্রকাশ্য কারনটা হচ্ছে এই দিনে এক সঙ্গে পুরা নবীবংশকে কতল করে ফেলা সম্ভব হয়েছিল; আর অন্তর্নিহিত কারনটা হচ্ছে অতীতে আহলে বাইতের আকা আবা সয়ং নবী করিম (সঃ)কেই তাঁর ভিটা-মাটি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে স্বদেশ ছাড়া করার বিজয়ানন্দ।

শুনো হারামির দল এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়! তোমরা ক্ষমতার লোভে যা খুশি তাই করতে পারো। তোমরা ক্ষমতার লোভে মাওলা মুহাম্মদ সঃ এর জানাজাও ছেড়ে দিয়েছিলে, তোমরা ক্ষমতার জন্য ফাতেমা সাঃ আঃ এর ঘরে আগুন দিয়েছো তোমরা লাথি মেরে তার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করেছো, তোমরা মাওলা আলীকে রশি দিয়ে বেধে টেনে নিয়ে গেছো! তোমরাই ক্ষমতার লোভে হাসান আঃ কে বিষ দিয়ে হত্যা করেছো! তোমরাই হত্যা করেছো মাওলা হুসাইন আঃ কে এজিদের পক্ষ নিয়ে! এ আর নতুন কি? এটাই তোমাদের বাপ দাদার শিক্ষা। আমরা মোটেই অবাক নই যে তোমরা ইমাম হুসাইন আঃ এর শাহাদাতের মাসে জশন পালন করবে!

হাশরের ময়দানে হুজুরে পাকের সামনে মাবুদের দরবারে কি করে মুখ দেখাবে? যাকে প্ৰাণের চেয়ে মহব্বত করতেন, যার একটু কান্না শুনলে সহ্য করতে পারতেন না, সেই ইমাম হুসাইন (আঃ) মর্মান্তিক, নির্মম, নৃশংস ভাবে কারবালার ময়দানে শহীদ হলেন।যাঁদের শহাদাত-মুসিবতের কথা স্মরণে স্বয়ং রাসূলে খোদা সা. কেঁদেছেন, কোন মুসলমান কি সেই মহররমে আনন্দ-উৎসব করতে পারে?

লেখাহ সৈয়দ হোসাইন উল হক

تبصرہ ارسال

You are replying to: .