হাওজা নিউজ বাংলা এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষয় : একজন না'মাহরাম (যে পুরুষের সঙ্গে নরীর পর্দা করা সঙ্গত এবং বিবাহ বসা বৈধ) মহিলার দিকে দেখার নিন্দা।
শেখ সাদুক্ব (রহঃ) নবী করিম (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন :
مَنْ مَلاءَ عَیْنَه مِنْ إمرأة حَرَامًا حَشَرَهُ اللّٰه یَوْمَ الْقِیَامَةِ مُسَمَّرًا بِمَسَامِیْرَ مِنْ نَارٍ حَتّٰی یَقْضِیَ اللّٰهُ تَعَالٰی بَیْنَ النَّاسِ ثُمَّ یُوْمَرُ بِه اِلَی النَّارِ
" যদি কোন ব্যক্তি কোন না'মাহরাম মহিলাকে দেখবে (কুদৃষ্টি), কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাআলা এমনভাবে তাকে পুনরুত্থান করবেন যে, আগুনের পেরেক তার শরীরে ফোটানো থাকবে এবং আল্লাহ তাআলা সমস্ত মানুষের হিসাব সম্পন্ন করার পর তাকে আগুনে নিক্ষেপ করার আদেশ দেবেন।"
(অর্থাৎ কিছু যাবৎ তাকে বেদনাদায়ক আযাব ভোগ করতে হবে)
সূত্র, সাফিনাতুল বিহার খন্ড ২ পৃষ্ঠা ১৭১..
শেখ সাদুক্ব (রহঃ) মহানবী (সাঃ) থেকে একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন :
"যে ব্যক্তি কোন না'মাহরাম মহিলার সাথে করমর্দন করবে কেয়ামতের দিন তার গলায় লোহার শৃঙ্খল থাকবে এবং তাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হবে। আর নির্দেশ দেওয়া হবে যে, একে আগুনে নিক্ষেপ কর। আর যে ব্যক্তি এমন মহিলার সাথে রসিকতা করে সে তার মালিকাধীন নয়, অর্থাৎ তার স্ত্রী এবং দাসী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে রসিকতা করে, তাকে প্রতিটি শব্দের জন্য হাজার বছর বন্দি থাকতে হবে।"
এবং তিনি বলেন :
"যে ব্যক্তি কোন নারী বা দাসীর সাথে নিষিদ্ধ যৌন মিলন করার ক্ষমতা রাখার পরেও, আল্লাহর ভয়ে তা থেকে বিরত থাকে, মহান আল্লাহ তাআলা তার উপর থেকে জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন এবং কেয়ামতের মহা ভয় থেকে তিনি তাকে নিরাপদ রাখবেন ও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।"
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।
লেখা: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)